somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এ সময়ের সর্দি-জ্বর

১৮ ই মে, ২০১৩ ভোর ৬:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বছরের কিছু কিছু সময় আসে যখন সর্দি-জ্বর বেড়ে যায়। বৈশাখের এ সময়টাতে প্রতিদিন বেশকিছু রোগী সর্দি-জ্বর নিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে প্রচণ্ড জ্বর আসছে, কিন্তু শুধু প্যারাসিটামল সেবনে দু-একদিন পর জ্বর আপনাআপনি ছেড়ে যাচ্ছে। কারও কারও ক্ষেত্রে বেশ কিছুদিন জ্বর থাকছে। এ সময়ের বেশিরভাগ জ্বরই ভাইরাল জ্বর, তাই দুশ্চিন্তার কারণ নেই। এক সপ্তাহের মধ্যে এ জ্বর ভালো হয়ে যায়। অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের প্রয়োজন পড়ে না বললেই চলে। তাই নিজে নিজে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তবে জ্বর নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে আপনাকে। এ বিষয় নিয়েই আজকের আলোচনা।

জ্বর কমাতে ভালো কাজ করে স্পঞ্জিং। ১০১০ ফারেনহাইট বা তার বেশি হলে রোগীর পুরো শরীর স্পঞ্জিং করিয়ে দিতে হবে। প্রায় ১০ মিনিট অবিরাম স্পঞ্জিং করলে তাপমাত্রা ১-২০ ফারেনহাইট নামানো সম্ভব। স্পঞ্জিং করার সময় হালকা করে ফ্যান ছেড়ে রাখতে হবে। তবে রোগীর শরীরে সরাসরি বাতাস না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। একটি ছোট গামছা বা রুমাল পানিতে ভিজিয়ে শরীর ভিজিয়ে দিতে হবে, অপর একটি শুকনো ছোট গামছা দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। মনে রাখবেন, যে কোনো জ্বরেই স্পঞ্জিং উপকারী এবং এভাবে প্রয়োজনে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই করা যায়। ঠাণ্ডা লাগলে পানির পরিবর্তে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন।

জ্বর ১০২০ ফারেনহাইট বা তার বেশি হলে সিরিয়াসলি নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে রোগীর খিঁচুনি এবং রোগী জ্ঞানও হারাতে পারে। বিশেষ করে পাঁচ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের এটি বেশি হয়। খিঁচুনির ইতিহাস থাকলে রোগীকে চিকিৎসকের নির্দেশে ডায়াজিপাম দিতে হয়। জ্বর বেশি বা কম মাত্রায় থাকুক না কেন গোসল করতে নিষেধ নেই। তবে নিউমোনিয়া বা শ্বাসতন্ত্রে প্রদাহ থাকলে গোসল না করানোই ভালো। এমন বেশি জ্বরে মলদ্বারে প্যারাসিটামল সাপোজিটরি ব্যবহার করতে হবে।

জ্বর ১০০০ ফারেনহাইট বা তার বেশি হলে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ব্যবহার করতে হবে। দিনে সাধারণত চারবার ট্যাবলেট ব্যবহার করা যায়। তবে প্যারাসিটামল তো অ্যান্টিবায়োটিকের মতো নয় যে কোর্স অনুযায়ী খেতে হবে। জ্বর থাকলেই তা ব্যবহার করা যায়। তবে কোনো অবস্থাতেই ২০টির বেশি ট্যাবলেট বা সাপোজিটরি ব্যবহার করবেন না। এতে লিভার ফেইলুর হতে পারে। কোনো অবস্থাতেই জ্বর নামানোর জন্য এনএসএআইডি যেমন ডাইক্লোফেনাক, ইনডোমেথাসিন, নিমেসুলেমাইড, এসপিরিন জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। তাতে জটিলতা বেড়ে রোগীর মৃত্যুঝুঁকি বাড়ে। ১০৩০ ফারেনহাইট বা তার বেশি জ্বর টানা তিনদিন থাকলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকের নির্দেশমতো অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন, নিজের খেয়াল-খুশিমতো নয়।

যে কোনো জ্বরে পানীয় খাওয়ানোর প্রতি জোর দেওয়া হয়, এতে রোগীর শরীরে হাইড্রেশন হয় এবং দেহের তাপমাত্রা বের হয়ে যেতে সাহায্য করে। পানি, ডাবের পানি, ওরস্যালাইন, ডালের পানি, ফলের রস এ ক্ষেত্রে উপকারী। স্যুপ, দুধ, হরলিকসও খাওয়া যায়। এ ছাড়া অন্যান্য পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

এ সময় মুখ তিতা হয়ে যায় বলে ভিটামিন-সি বা টকজাতীয় ফল খাওয়া প্রয়োজন। এতে করে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
তবে জ্বরের সঙ্গে কাশি থাকলে তা যন্ত্রণা বাড়ায়। এটি সহজেই সারতে চাচ্ছে না। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এটা ভালো হতে বেশ কিছুদিন সময় নিতে পারে। কুসুম গরম পানিতে আদার রস, লেবুর রস, মধু, তুলসী পাতার রস, লং মিশিয়ে দিনে ৩-৪ বার পান করলে আরাম পাবেন। কাশির সঙ্গে যদি হলুদ বা লালচে কফ হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শে অবশ্যই অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে।

সংবাদের সূত্র এই লিংকে
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×