somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সর্বনাশা খেলা

০৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মহাজোট সরকার ‘দিন বদলের সনদ’ নিয়ে ক্ষমতায় বসেই যে ধরনের তুঘলকি এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ শুরু করেছে তাতে যুগপৎভাবে দেশবাসী হতবাক এবং উৎকণ্ঠিত। আওয়ামী লীগের আন্দোলনের ফসল ড. ফখরুদ্দিনের অবৈধ সরকার যে প্রশাসন সাজিয়ে গিয়েছিল তা তছনছ করে ফেলা হয়েছে। এখন প্রশাসনে চলছে বদলি আতঙ্ক এবং নজীরবিহীন বদলি বাণিজ্য। অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে সরকার নিজেই সৃষ্টি করে চলেছে বিশৃঙ্খলা এবং ভেঙ্গে দেয়া হচ্ছে চেইন অব কমান্ড। শত শত সরকারি কর্মকর্তাকে ওএসডি করে বসিয়ে রাখা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনে ইতিহাসে যা হয়নি সরকার এবার তাই করেছে এবং সেখানেও সৃষ্টি হয়েছে অস্খিরতা।

সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধীদলকে সরকারের একটি অংশ বলে গণ্য করা হয়। ডেপুটি স্পিকার পদটি বিরোধী দলকে দেয়ার কথা ঘোষণা করেও ওয়াদা ভঙ্গ করলো আওয়ামী লীগ। বিরোধীদলের সংসদ সদস্যদের সংসদে বসার আসন নিয়ে সরকার যা করলো তাতো রীতিমত ন্যক্কারজনক। সংসদে প্রদত্ত ভাষণে প্রেসিডেন্ট ইয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার নামটা পর্যন্ত উচ্চারণ করলেন না। উপরন্তু শেখ ফজলুল করিম সেলিম প্রেসিডেন্ট জিয়াকে পাকিস্তানের দালাল বললেন। জিয়া পরিবার তথা বেগম জিয়া সম্পর্কে অশালীন এবং অশ্লীল বক্তব্য দেওয়া হলো।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও যাবতীয় অঙ্গ সংগঠনগুলো নির্বাচনী সাজানো প্রক্রিয়ায় বিজয় লাভের পর থেকে দেশের যাবতীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করা শুরু করে দিল। সচিবালয়ে শ্লোগান দিয়ে মন্ত্রীদের অভ্যর্থনা জানানো থেকে শুরু করে দলীয় ক্যাডারদের অত্যাচার, অনাচারে সচিবালয় বলতে গেলে এখন অস্খির এবং অচল। দলীয়করণে চ্যাম্পিয়ন আওয়ামী লীগ এবার দেশবাসীকে দেখিয়ে দিল কিভাবে আগের সরকারের সব সিদ্ধান্ত উল্টিয়ে দেয়া যায়। আওয়ামী লীগদের মামলা মোকদ্দমা পর্যন্ত প্রত্যাহার শুরু হলো এবং প্রতিপক্ষের উপর নতুন মামলা চাপানো শুরু হলো।

প্রধানমন্ত্রীর এক উপদেষ্টা বললেন, সংবিধান সংশোধন করে স্বাধীনতাবিরোধীদের শাস্তি দিতে হবে এবং তাদের চাকরিচ্যুত করতে হবে। প্রশ্ন হলো, যারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছিলো তারা ক’জনই বা বেঁচে আছেন যে সংবিধান সংশোধন করে তাদের চাকরি থেকে বঞ্চিত করতে হবে। তবে একটা ব্যাখ্যা আছে সেটা হলো কেউ যদি আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করে থাকে বা করে তাহলে সেই স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে গণ্য হবে এবং এ জন্যই সংবিধান সংশোধন করা প্রয়োজন। আওয়ামী লীগের নিয়োজিত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সম্প্রতি তার এক বক্তব্যে বলেছেন, একমাত্র মুসলমানরাই সন্ত্রাসী অন্য কোন ধর্মের লোক সন্ত্রাস করে না। সংবিধান থেকে ইসলাম বাদ দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতা আনতে হবে। পিলখানার ঘটনা নিয়ে সরকারের সর্বনাশা খেলায় দেশবাসী দারুণভাবে উদ্বিগ্ন। জনগণের ও সেনাবাহিনীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দিন দিন ক্ষোভে পরিণত হচ্ছে। সকাল সাড়ে নয়টায় খবর পাওয়া সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী বা সেনা প্রধান তাদের বাঁচানোর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সাড়ে এগারটার মধ্যে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এটা যদি সত্য হয় তাহলে দুপুরে প্রধানমন্ত্রী কেন খুনীদের সাথে তার বাসভবনে আলোচনা করে তাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করছেন? ডিএডি তৌহিদকে কে খুঁজে বের করলেন এবং তাকে বিডিআরের কমান্ডার বানানো হলো কিভাবে? যে ১৪ জন প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করলেন তাদের প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত করলেন কে বা কারা?
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×