somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আধুনিক রূপকথা- জেলে আর সাত এলিয়েন

১৫ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক দেশে ছিল এক জেলে। একদিন জেলে মাছ ধরতে যাবে। জেলের বউ জেলেকে সাতটা স্যান্ডউইচ বানিয়ে দিল, পথে খাওয়ার জন্য। জেলে স্যান্ডউইচ নিয়ে রওনা হলো মাছ ধরতে। পথিমধ্যে জেলের দারুন খিধা লাগলো। জেলে তখন একটা গাছের নীচে বসে স্যান্ডউইচের প্যাকেট বের করে বলল, "একটা খাব, দুইটা খাবো, সাত সাতটাকে চিবিয়ে খাবো।"

ঐ গাছে বাস করতো সাতটা এলিয়েন। তারা যখন শুনলো জেলে সাতটাকেই চিবিয়ে খাবে, তখন তারা খুব ভয় পেল। তারা গাছ থেকে নেমে এসে জেলেকে বলল, "ভাই আমাদের খেওনা। এই নাও একটা নন স্টিক কড়াই। এখানে হাত রেখে, তুমি যে খাবার চাবা, তাই পাবা।"

জেলে তখন ওই কড়াইতে হাত রেখে বলল, "আমি ফ্রাইড চিকেন আর রাইস চাই।"

ওমনি জেলের সামনে ফ্রাইড চিকেন আর রাইস হাজির হলো। জেলেতো মহাখুশী।

নাচতে নাচেতে জেলে বাড়ির দিকে চলল। পথে জেলের খুব ঘুম পেল। জেলে তখন তার এক বন্ধুর বাসায় গেল। সেখানে যেয়ে জেলে তার বন্ধুকে নন স্টিক কড়াইয়ের গুনাগুন দেখিয়ে একটা ঘুম দিল।

এই ফাকে জেলের লোভী বন্ধু কড়াই বদল করে ফেলল। ঘুম থেকে উঠে জেলে সেই নকল কড়াই নিয়ে বউয়ের সামনে যেয়ে বলল, "আমি এখনই চিকেন তন্দুরী আর বান চাই।" কিন্তু কিছুই বের হলো না। জেলে তো গেল রেগে। সে আবার ঐ গাছটার নীচে গিয়ে বলল, "একটা খাব, দুইটা খাবো, সাত সাতটাকে চিবিয়ে খাবো।"

এলিয়েনগুলো আবার ভয় পেল। তারা নেমে এসে বলল আমরা তো একটা নন স্টিক কড়াই দিয়েছি, ওতে তো যা চাবেন তাই পাবেন। আবার আমাদের খাবেন কেন। ডায়েট বলেও তো একটা কথা আছে।

জেলে তখন তাদের সব কিছু বলল। সব শুনে তারা বলল, "আপনার ঐ বন্ধুই ঐ কড়াই সরায়েছে। আচ্ছা, আপনি এক কাজ করুন আমরা আর একটা কড়াই দিচ্ছি, আপনি সেটা নিয়ে আবার আপনার সেই বন্ধুর বাসায় গিয়ে ঘুম দেন"

জেলে তাই করলো। জেলের বন্ধু সেই ফাকে কড়াই চুরি করে সেই কড়াইতে হাত দিয়ে অনেক খাবার চাইল। কিন্তু সেখান থেকে বের হলো ছোট ছোট অসংখ্য রোবট। তারা একযোগে সেই লোকের উপর হামলা চালালো আর বলল জেলের কড়াই ফিরিয়ে দে। জেলের বন্ধুটা তখন বাপ বাপ করে সেই আসল কড়াই ফিরিয়ে দিল।

আর জেলে সেই আসল কড়াই নিয়ে নাচতে নাচতে বাড়ির দিকে চলল।


(ছোট বেলায় পড়া একটা রুপকথার গল্পকে কিছুটা আধুনিক করে আপনাদের উপহার দিলাম। গল্পের কাহিনী ঠিক রেখে শুধু উপকরনটাই বদল করেছি)
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৫১
১৯টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×