দেশে নতুন রোগের প্রাদুর্ভার ঘটেছে। ইতিপূর্বেকার ইঁদুর দেহ থেকে প্ল্যাগ, পাখির বার্ডফ্লু, শুকরের এইচএন২ এর মত বাআল সমাজে দ্রুত সংক্রমন ঘটছে এই নতুন রোগ "জিয়াতংক" । পাগলা কুকুরের জলাতংকের চেয়েও মারাত্মক ও বিধ্বংসি এই রোগ। জলাতংকের প্রতিষেধ হিসেবে আগেকার ১৪ টি ইনজেকশনের বদলে হালে টিকা আবিস্কৃত হয়েছে, কিন্তু জিয়াতংক রোগের কোন প্রতিষেধক বা টিকা আবিস্কৃত না হওয়ায় চিকিৎসক গবেষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাআলদের নিয়ে। অতি দ্রুত এর প্রতিষেধক দিতে না পারলে বাআলের অত্যাচারে জনগনের নাভিশ্বাস উঠতে পারে ।
সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হলো রাষ্ট্রের প্রধাননির্বাহী ও তাঁর পর্ষদ ইতোমধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে উদভ্রান্ত আচরন শুরু করেছেন, তাদের কে রাস্তায় রাস্তায়, অলিতে গলিতে খুন্তি-হাতুড়ি নিয়ে "জিয়া"র নাম উপড়ে ফেলতে দেখা গেছে, এমনকি জিয়া নামধারী নিরীহ মানুষও তাদের কোপানলে আতংকে দিনাতিপাত করছে। নির্বাহি পরিষদের এই উদ্ভট আচরন রাস্ট্রের সম্মান, নিরাপত্তার ব্যাঘাত বলে বোদ্বা মহলের ধারনা।
রোগের উপসর্গঃ
১. জিয়া'র নাম দেখলেই মৃগি রোগীর মত খিঁচুনি হওয়া
২. জিয়া'র নাম শুনলে দাঁত কিড়মিড় করা, হাত পা ছোঁড়া, ঘেউ ঘেউ করা ।
৩. শরীরে খুজলি বিখাউজ হওয়া
৪. হামেশা বগলের নিচে খুন্তি বাটাল রাখা আর জিয়ার নাম দেখলেই তা উপড়ে ফেলা।
৫. সর্বদা জিয়াতংকে ভোগা
চিকিৎসাঃ
দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা অহির্নিশী গবেষনা করেও এখন পর্যন্ত কোন প্রতিষেধক আবিস্কার করতে পারেননি, তবে আপদকালিন জরুরী চিকিৎসা হিসেবে তাদের ধরে এনে 'থার্ড ডিগ্রী' দিতে বলা হয়েছে।
তাছাড়া দেশের নামি দামি অভিজ্ঞ চিকৎসক, কবিরাজদের কাছ হতে রাস্ট্রের প্রধান নির্বাহি ও তার পোষ্যদের চিকিৎসার জন্য মূল্যবান পরামর্শ /চিকিৎসা পদ্বতি আহবান করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি