somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাস্তব এবং সত্য ঘটনা একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম !!!

২২ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৮:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল সিজারের মাধ্যমে একসঙ্গে পাঁচটি সুস্থ-সবল শিশুর জন্ম দিয়েছেন গোপালগঞ্জের শিমু বেগম (২৩)। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার করপাড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গফ্ফার খানের স্ত্রী। পাঁচ সন্তানের মধ্যে একজন ছেলে ও চারজন মেয়ে।
শিমু বেগমের স্বামী গফ্ফার খান জানান, তার স্ত্রীর শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক ভারি হওয়ায় প্রথমে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে পরীক্ষা করানো হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর ডাক্তাররা বলেন, গর্ভে চারটি সন্তান আছে। তবে প্রত্যেকেই সুস্থ রয়েছে। এরপর ডেলিভারির সময় ঘনিয়ে এলে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের ডাক্তারদের পরামর্শে ভালো চিকিত্সার জন্য ১৭ জুলাই রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এবারও ডাক্তাররা পরীক্ষা করে দেখেন শিমু বেগমের গর্ভে চারটি সন্তান রয়েছে। তিনদিন মেডিকেলের ডাক্তাররা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখেন। অবশেষে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করানো হয়। তবে চারটি নয় একে একে পাঁচটি সন্তানের জন্ম দেয় শিমু বেগম। চারটি সন্তান শিশু ওয়ার্ডে রাখলেও তুলনামূলকভাবে ওজন অনেক কম হওয়ায় একটি সন্তানকে ইনটিভেটরে রেখেছেন ডাক্তাররা।
এই জটিল অপারেশনে নেতৃত্ব দেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লেবার গাইনি ইউনিট-২ ওয়ার্ডের প্রধান ডা. জান্নাতুল ফেরদৌসী। এছাড়া গত ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন এই ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্টার ডা. পাপড়ি খানম। প্রতিটি সন্তানের ওজন হয়েছে গড়ে প্রায় দুই কেজি করে। এ সম্পর্কে সদ্য জন্মগ্রহণ করা পাঁচটি সন্তানের পিতা গফ্ফার খান বলেন, আমরা খুবই আনন্দিত যে, এ ধরনের একটি বিরল ঘটনা আমাদের পরিবারে ঘটল। তিনি আরও বলেন, মাহে রমজানের প্রথম দিনে আল্লাহর এই নিয়ামক আমাদের জন্য বিরাট পাওয়া। তিনি স্ত্রী ও সন্তাদের জন্য সবার কাছে দোয়াও চাইলেন।
অপরদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়লে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে ডাক্তার, সেবিকা ও সাধারণ দর্শনার্থীদের ভিড় বেড়ে যায়। সবাই সন্তানদের ও তাদের মাকে এক নজর দেখার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এ চাপ সামলাতেও কর্তব্যরত ডাক্তার ও সেবিকাদের সাময়িক হিমসিম খেতে হয়। উল্লেখ্য, এর আগে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একসঙ্গে চারটি সন্তান প্রসব করেছিলেন এক মা। তবে সন্তানগুলো সবাই বাঁচেনি।
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×