ইংলিশ সিনেমার চেয়ে বাংলা সিনেমা কতটা ডিজিটালাইজড ভাবুন তো :
১. একটা ইংলিশ সিনেমা মাত্র ৭ দিন বা ১মাসের ঘটনা নিয়ে তৈরী হয় । কিন্তু , একটা বাংলা সিনেমা ২০ বছরের ঘটনা নিয়ে তৈরী হয় ।
২. ইংলিশ সিনেমায় ভিলেনের সহচরকে মারতে যে সময় লাগে ,তার চেয়ে কম সময়ে , বাংলাদেশের সিনেমা টাইম ট্রাভেল গতিতে ২০ বছর পার করে ।
৩. ইংলিশ সিনেমায় খুব নিম্নমানের পোশাক ব্যবহৃত হয় , যেগুলো ছিড়ে যায় । কিন্তু বাংলা সিনেমায় , নায়িকা ছোট বেলায় যে পোশাক পড়ে ছাগলের পিছনে দৌড়াতে দৌড়াতে বড় হয় , বড় হয়েও সেই একই পোশাক থাকে ,যেটিও নায়িকার সাথে সাথে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় বড় হয় , কোন ছিড়া ফাটা নাই ।
৪. ইংলিশ নায়কদের চেয়ে বাংলা সিনেমার নায়করা বেশি শক্তিশালী , কারন , ইংলিশ নায়করা ঐ চিকনা আর জিরো সাইজের নায়িকাদের লটকাতে যে রকম আহ উহ করে চিল্লায় , অথচ , বাংলা সিনেমার নায়করা এক মোটা আটার বস্তা লটকিয়েও ক্লান্ত হয়না ।
৫. ইংলিশ নায়কদের চেয়ে বাংলা সিনেমার নায়করা বেশি কর্মঠ . কারন , ইংলিশ এক নায়ক বছরে সর্বোচ্চ দুটি সিনেমা করতেই ক্লান্ত হয় কিন্তু বাংলাসিনেমার সাকিব খান বছরে আঠারোটা ছবি করেন . . .কর্মঠ ছেলেটা ।
৬. বাংলা ও ইংলিশের সবচেয়ে বড় যে ব্যাপার তা হলো ডিরেক্টরদের ক্রিয়েটিভিটি , ইংলিশ ডিরেক্টররা ৭দিনের ঘটনা ৩ঘন্টায় প্রকাশ করতে ১০০কোটি টাকা ব্যয় করেন আর আমাদের বাংলা সিনেমার ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টররা ২০বছরের ঘটনাকে মাত্র ৩ঘন্টায় প্রকাশ করেন ১কোটি টাকা ব্যয়ে ।
৭. ইংলিশ সিনেমার ক্যামেরাম্যানদের চেয়ে বাংলাসিনেমার ক্যামেরাম্যানরা বেশি ভালো কারন তারা দরজার চিপা , জানালার ফুটা , দিয়েও ভিডিও করতে পারেন ।
..............................