somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পর্ণোস্টার

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লিডাচিনালিওন। ছোট নাম লিডা । ক্যারিয়ার গড়তে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে যখন ক্লান্তশ্রান্ত এবং কিছুটা বিধ্বস্ত তখন সে তার নিজের ভেতরে ডুব দিল । হাতরে হাতরে খুঁজে পেল তার ভেতরের শক্তির জায়গা । প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই একটা দিক খুব সবল থাকে , সে তার সেই সবল দিকটা হাতরে পেয়ে শিহরিত হল খানিকটা । জগতের অধিকাংশ মানুষ সেটি বুঝতে পারে না তার শক্তির জায়গাটা কোথায় । কেবল কারা কিভাবে সফল , কতটা সফল সেসবের অনুকরণ করে । আর হাবি খায় ।

অনেক ভেবেচিন্তে সে তার ক্যারিয়ার পরিকল্পনা ফাইনাল করে । তারপর লেগে পড়ে পড়ায় । সেই প্রাচীন কাল থেকে মানুষের স্টাইল , ধরণ , রুচি , আসন ইত্যাদির সচিত্র পদ্ধতি নেট ঘেঁটে ঘেঁটে বের করে । পৃথিবীর তাবৎ ধর্মগ্রন্থগুলো পড়ে , জানতে থাকে তাদের রুচিভিত্তিক পদ্ধতি । একটা ফিল্ম আর্কাইভ তৈরী করে লিডা । ফিল্ম দেখে মানুষ সহজে অনেক কিছুই শিখে যায় । আপনি একটা দেশের ভাষা শিখবেন ? সে দেশের ফিল্ম দেখুন । আপনি একটা দেশের আচার - ব্যবহার , সভ্যতা ভব্যতা জানবেন ? সে দেশের মুভি দেখুন ? আরব দেশ থেকে , মিশর থেকে তাগলিগে মাঝে মাঝে একদল লোক আল্লার রাস্তায় সময় দিতে আসে , চিল্লা দিতে আসে । ভারতবর্ষে আসলে এরা হিন্দি বলে । এমন এক মিশরী যুবকের সাথে দেখা হয়েছিল । তার মিশনারী কাজে আমার কাছে কিছুদিন আসে । তার সাথে ইংরিজিতে ই সমস্ত বাৎচিত চলে । আমাকে অবাক করে দিয়ে মাঝে মাঝে সে হিন্দি আওড়াতো । মৃদু হাসি দিয়ে জানতে চাই হিন্দিটা সে কিভাবে শিখেছে ? ভদ্র লোক । আল্লার রাস্তায় বেরিয়ে তো আর মিথ্যে বলতে পারে না ! সে বলেছে হিন্দি সিনেমা দেখে শিখেছে । আর একবার সুদানী যুবক । আরেক বার আবুধাবির লোক । এরা সবাই বলেছে সিনেমা দেখে তারা হিন্দি ভাষাটা আয়ত্ব করেছে । মিডলইষ্টে হিন্দি সিনেমা হিট হলে পরে সেটা ইন্ডিয়ায় হিট হয় । আর হলিউডি সিনেমা জাপানে হিট হলে পরে সেটা পৃথিবীব্যপি হিট হয় । এমন একটা কথা বাজারে প্রচার আছে ।

যাইহোক লিডা যেহেতু ক্যামেরার সামনে কাজ করবে তাই সে কাজটা আয়ত্ব করতে সিনেমাটাকেই বেছে নেয় । বাস্তবযুদ্ধের সৈনিকরা যেখানে প্রয়োজনে সিনেমাকে শিক্ষনীয় মানে সেখানে লিডা কেনো বাদ যাবে ?
এদিক সেদিক খোঁজ খবর নিয়ে নতুন ক্যারিয়ার গড়ায় লেগে পড়ল । কাজ এগিয়ে নিতে লাগল দ্রুত গতিতে । প্রথম মুভিটা যখন বের হয় দর্শক সেটাতে কেমন সাড়া দেবে তা নিয়ে লিডার মনে ভয়ের অন্ত ছিল না । পরিচালক দৃশ্য শ্যুট করতে গিয়ে লিডাকে আনাড়ি বলে অনেক গালাগাল দিলেও সেরা কাজটা করিয়ে নিল দক্ষতার সাথে । লিডার সকল ভাবনা ছাপিয়ে সেই মুভি সারা বিশ্ব একেবারে কাঁপিয়ে দিল ।
টিনএজ , মধ্যবয়সী , নতুন পুরাতন প্রায় সকল দম্পতির একান্ত সময়গুলো লিডার মুভি ছাড়া যেন আর চলেই না , এমন একটা অবস্থা ।

বন্ধু বান্ধবদের ব্র্যাকেটবন্ধী গল্পের আড্ডায় আলোচনার বিষয় লিডা । উহ ! জোস ! দোস্ত জোস ! টিনএজ বালিকা যারা সদ্য তাদের গোপন অভিলাস শরীর ও মনে জাগিয়ে তুলছে , শ্রেণী কক্ষে শিক্ষকের বোর মডেল নিয়ে আলোচনা শেষ করে যেতেই তারা তাদের লিডামডেলের আলোচনা শুরু করে , চোখ , কান , ঠোঁট রক্তিম করে । আর একাকি দুয়েকজন হাবাগোবা ছেলে তাৎক্ষনিক তাদের সেই ক্ষণে এসে গেলে টিজিং করে করে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে ,,,

সেই থেকে শুরু । প্রথম মুভিটায় সাড়াজাগানোর পেছনে কারণ ছিল লিডার আনাড়িপনা । আনাড়িপনাতেই দর্শক আপ্লুত হয়েছিল । তারপর প্রায় বছর খানেক বিরতি । লিডার পরিচালকও সেটাই চাইছিলেন । দর্শক নিশ্চয় একই মাল বারবার খাবে না ! আবার লিডা যেহেতু প্রথমেই সবার মনে দাগ কেটেছে তাই তার পরবর্তী আকর্ষণের জন্য একটা আকাঙ্ক্ষা তৈরী হবে ।
প্রতিক্ষা যত দীর্ঘ হয় আকাঙ্ক্ষা তত তীব্র হয় ।
পরিচালক দর্শক সাইকোলজি বুঝে সময় নিলেন আর সেই সময়ে লিডাকে গড়ে নিলেন ভিন্ন্ এক রূপে ।
এরই মধ্যে একবার এক জগদ্বিখ্যাত এক নীলম্যাগাজিনে লিডার সাক্ষাৎকার প্রকাশ পায় লিডা বলেছিলো মানুষের মনে দেহজ কাম-কেলি নিয়ে যে ধারণা বিরাজ করে লিডা তার ধরণ পাল্টে দেবে । লিডা এক ইশতেহার নিয়ে আসে কামরসিক পাঠকের সামনে । শরীর একটি কামকুণ্ড । তার প্রতিটি প্রত্যঙ্গের রয়েছে আলাদা আলাদা মজা লুটার চাহিদা , মানুষ অধিকাংশ- সেটা জানে না । এই চাহিদার আগুন সম্পূর্ণ নেভাতে হলে প্রতিটি প্রত্যঙ্গের ডিজায়ার কে ফুলফিল কর । অনুধারণ কর তোমার শরীর তোমার কাছে কী চায় । কেনো তুমি অবিরত পুড়ছ , প্রতিনিয়ত ? প্রতিদিন ? একদিন কাম কর আর দশ দিন কর কাজ । শরীরের কামপ্রবৃত্তিকে পুড়াতে হবে ভাল করে । আর সেটা কামেই । একদিনেই তাকে এভাবে পুড়াও যেনো দশদিন শরীর না জাগে । কাজের সময় কামের প্রবেশাধিকার নেই । আবার কামের সময় কাজের ...

কামের জগতে লিডা যেনো নতুন দর্শন নিয়ে আসে ।
লিডার সেই ধরণ পাল্টে দেবার নেশায় মানুষ মাছের মত চোখ নিয়ে অপেক্ষা করে ।

দ্বিতীয় মুভিতে দর্শক লিডাকে একেবারে নতুন রূপে দেখে তার প্রথম মুভিতে যেখানে সে ছিল আনাড়ি , সেখানে দ্বিতীয়টাতে পুরোই উল্টো । একজন দক্ষ এবং আগ্রাসী লিডাকে পায় দর্শক । লিডা দর্শক সাইকোলজি ভাল করে রপ্ত করে । সে জেনে গেছে মানুষ তার কাছে কী চায় , কতটা চায় আর কিভাবে চায় । সেই চাহিদানুসারে সেও ডেলিবারি দিতে থাকে একের পর এক হট কেক । পর্দার পেছনে আর সামনের মানুষ বাহবা দিতে ভুলে না । তারা তাকে জানিয়ে দেয় বুঝিয়ে দেয় যেন লিডার জন্মই হয়েছে মানুষের ভাললাগানোর জন্য । দুহাতে টাকা আর টাকা । টপ ম্যাগাজিনগুলোর কাভারপেজে লিডার লাস্যময়ী ছবি স্থান পায় । লিডা যেন এক টর্নেডো প্রবল শক্তিতে সবাইকে ভাসিয়ে নেয় , সবা্ইকে ছাপিয়ে যায় । তার সফলতার পেছনে তার মেধা , দক্ষতা , প্রজ্ঞা , পরিশ্রম , ছলাকলা -চাতুরী সমান ভূমিকা রেখেছে ।
কথায় আছে ,
প্রেমের চেয়ে যদিনা কর ঢের ছেনালিপনা
হা হা ! খোদার কসম মাথার দিব্যি
আর যা-ই চাও সজনি
প্রেম দেব না !

লিডার নামে এক নতুন যুগের সূচনা হয় নীল জগতে । লিডাযুগ । চালু হয় সম্পূর্ণ এক নতুন স্টাইলের ......লিডা স্টাইল । লিডা মডেলের অনুকরণ করে রসিক রঞ্জনকারীরা নিজেদের রঞ্জিত করে ।

ব্যবসায় বাজার বলে কথা । সময় আর চাহিদা মোতাবেক ডেলিবারি ব্যবসায়ের জন্য অপরিহার্য । দুই হাতে টাকা গুণতে গুণতে আর নিজেকে ক্যামেরার সামনে উজার করে দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে লিডা । সেই ক্লান্তির ছাপ তার শরীরে মনে অভিনয়ে সর্বোপরি দর্শকের মনে পড়ে । ওয়াসিম আকরাম একওভারে ছয়টি বল ছয় রকম ডেলিবারি দিত । ব্যাটসম্যান খেলতে বিষম খেত । সেটাও আর কতদিন ? একসময় ব্যাটসম্যান সব বুঝে যায় । ধরুন আমাদের ফিজ । তার অভিষেকের সময়গুলো চিন্তা করুন । কেমন ঝলমলে । আর এখন কিংবা তারও পরে ম্লান হবে না কিছুটা ?
ঠিক তেমনি লিডার সব জারিজুরি একসময় দর্শকের কাছে গতানুগতিক হয়ে যায় । লিডারও প্রয়োজন ফুরিয়ে আসে । পরিচালক , প্রযোজক , দর্শক আর কেউ তেমনটা চায় না তাকে। যাকে বলে নিরব প্রত্যাখান । জগৎ এমনই নিরবে নিভৃতে কত কিছু প্রত্যাখ্যাত হয় । কত ফুল ঝলক দেখিয়ে ঝরে যায় ।

লিডার সময়টা খুব খারাপ যাচ্ছে । বিষন্নসময় । তার মনে হতে থাকে ব্যবহারের পর তাকে জাস্ট ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে । কিন্ত্ত তা তো নয় । একসময় সে খুব দাপুটে ছিল , এখন সময় ফুরিয়েছে । এমনি করে সব ফুরায় । লিডা সে কথা বুঝতে চায় না । তার বিত্ত বৈভব সব আছে তবুও সে নিজেকে পরাজিত ভাবে । প্রতিশোধের আগুন জ্বলে তার মাঝে । কার প্রতি প্রতিশোধ নেবে সে ? নিজেকে উন্মুক্ত করে আয়নার সামনে দাঁড়ায় । শরীর দেখে । সে তো বুড়িয়ে যায়নি , তবুও তার এত বড় পতন ! সে মানতে পারে না । এখন কী করবে লিডা ? তার অফুরন্ত সময় । যেখানে সে- সমাজের একটি ভিন্ন কোণের মানুষ , সবখানে তার প্রবেশাধিকার নেই । তার ব্যথা বুঝবার কেউ নেই । এখন সে কি করবে ? তার সময় কাটবে কি করে ? ভাবতে ভাবতে খুব ক্লান্ত লাগে । সে কাউকে বিয়ে করবে ! সংসার ! আর প্রতিরাতে সংগম ! পারিশ্রমিক ! বিনা পারিশ্রমিকে সংগম ! সে ভাবতেই পারে না । তার শরীর আছে , যৌবন আছে তবু নাকি সে ফুরিয়ে গেছে । রাগে , ক্ষোভে সমস্ত দুনিয়াকে আখচিবান চিবাতে থাকে ।

এভাবে কিছুদিন ।আরো দিন যায় ..... দিন যেতে থাকে ।

তারপর সে ধাতস্ত হতে চায় , মানিয়ে নেয়া । এমনই হয় , হঠাৎ তারার পতন হলে কিছুটা বিস্ফোরণ , আগুন- ছড়াবেই ।
লিডার সেরকমই হয়েছিল । তার দৈহিক আগ্রাসীভাব ক্রমশ ম্রিয়মাণ হতে থাকে । ক্লান্তির ছাপ পড়ে মন ও শরীরে ।

লেকের ধারে , পার্কে , সমুদ্রে পৃথিবীর যেখানে গেলে মানুষের চোখ জুড়ায় লিডা নিঃসঙ্গ ঘুরে । ভালো লাগে তার । বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারে ।

.................................................................................................................................................
.......................................................................................................................................................

এমনি একদিন এক পাদ্রী তাকে অনুসরণ করে , বলে মা - এত বিষন্ন কেনো তুমি , কোন কারণে অনুশোচনায় ভুগছো ?
পাদ্রীর চোখ স্থির , শাদা যেন মার্বেলের একজোড়া চোখ , ভাবলেশহীন যে চোখে কোন ভয় ,চাওয়া পাওয়া কিছুই নেই তবুও প্রশান্তিদায়ক । সে চোখের দিকে তাকিয়ে লিডা আশ্বস্থ্য হয় । তার মনে হতে থাকে এই প্রথম কেউ তাকে হৃদয় দিয়ে মমতা দিয়ে অনুধাবণ করছে এবং ডাকছে । ছোটবেলায় মা - বাবা এমন করে ডাকতো এরপর এ দীর্ঘ জীবনে এত জৌলুস আর প্রতিপত্তির জীবনে কেউ তাকে একটিবার এমন মায়ায় ডাকেনি ।

-বাবা আমি পাপি ,আমার ছিল অন্ধকারের জীবন । পাদ্রী লিডাকে আশ্বস্ত্য করে । জগতে সবাই পাপি মা । তারপরও আমাদের অণুসূচণা করতে হয় । ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা চাইতে হয় । আমার কুটিরে এসো একদিন তোমার সব গল্প শোনা যাবে , আসবে তো ?

লিডা পাদ্রীর কুটিরে যায় । গল্পোচ্ছলে সব বলে । তার বর্তমান অবস্থা , মানসিক যন্ত্রণার কথা । পাদ্রী লিডার হাতে একটি বই ধরিয়ে দেয়-নাম " ক্ষমার পথ "। বলে সময় করে পড়ো আর সে অনুযায়ী কাজ করো আশা করা যায় ঈশ্বর তোমায় ক্ষমা করবেন ।

এভাবেই লিডার সাথে পাদ্রী আর গীর্জার একটা সম্পর্ক গড়ে উঠে । আশা যাওয়া , বই পড়া , মিশনারি কাজে অংশগ্রহণ করা একটা নৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় । লিডা যেনো নতুন এক জগতের সন্ধান পায় । শান্তির জগত । তার মনের আগুন নিভে আসে ধীরে ধীরে ।
তার হৃদয়ের গহীনে বেদনাঘরে পোকারা আস্তে আস্তে মরে যায় । পরকাল হয়ে উঠে আরাধ্য , মুক্তি তার পেতে হবে । শি বিলিভড ইন দ্যা ডে অব জাজমেন্ট । তাই তাকে কিছু ভাল কাজ করে যেতে হবে ।

একদিন লিডার ইচ্ছে হল কিছু লিখবে । বইয়ের নাম ঠিক করে ফেলে সে -'অন্ধকারের জীবন ' । লিখতে লিখতে একদিন সে ঢাউস সাইজের এক বই লিখে ফেলে । বইটি লিডা পাদ্রী সাহেবকে দেখায় । পাদ্রী কৌতুহল প্রকাশ করে । লিডার থেকে চেয়ে নিয়ে সম্পূর্ণ বইটি পড়ে পাদ্রী মশায় । তাঁর চোখে ভিন্ন এক আলো এসে পড়ে । এ বইয়ে জগতের কল্যাণ হবে এমন অনেক উপাদান খুঁজে পায় ।
বইটি প্রকাশ করলে কেমন হয় লিডা ? জগতের মানুষ কিছু শিখুক এ বই থেকে ? লিডা সানন্দে রাজি হয় । পাদ্রী মহাশয় কতিপয় প্রকাশকের সাথে আলাপ করে বইটি প্রকাশের ব্যবস্থা করেন । নামিদামি এক প্রকাশক বইটি প্রকাশ করতে খুব আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং লেখককে বই বিক্রির উপর মোট টাকার একটা পার্সেন্টেজ দিবেন বলে আশ্বাস দেন । পাদ্রী মশায় লিডাকে সে কথা জানান এবং রাজি হতে অনুরোধ করেন ।

- হ্যালো , লিডা বলছেন ?
-জ্বি ,বলছি ।
-আমি নটরাজ প্রকাশনির স্বত্ত্বাধিকারী বলছি । ম্যাডাম আপনার বইয়ের প্রথম সংস্করণ বাজারে এসেছে । এবং বইটি ভালোই সাড়া ফেলেছে ,প্রথম সংস্করণ প্রায় শেষ হবার পথে । আপনাকে অভিনন্দন । সময়মত আপনাকে রয়্যালটি বুঝিয়ে দেয়া হবে ।

- ধন্যবাদ জানবেন জনাব । জেনে ভাল লাগলো ।

পাদ্রী মহল বইটির প্রোমোট করে পৃথিবীব্যাপি । পাপ থেকে পুণ্যের জগতে আসা এক নারীজীবনের আখ্যান আর ধর্মীয় মিশনারীয় উদ্দেশ্য দুটোই সার্ভ করে এ বই ।

- হ্যালো , লিডা বলছেন ?
- হ্যা বলুন!
-আমি .....প্রকাশনী থেকে বলছি । আপনার বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণ ও শেষ হতে চলল । সময়মত আপনার রয়্যালটি পেয়ে যাবেন ।
- জ্বি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানবেন জনাব ।

এদিকে সারা পড়ে যায় সারা দুনিয়ায় । এক নিষিদ্ধ জগতের নারীর বয়ান তার বই সবার মুখে মুখে আলোচিত হয় । সেই জগত কেনো খারাপ , কেনোইবা তার ফিরে আসা ..... আহা ! মানুষ এমনি করে সব ফিরে আসুক আলোর দিকে !

মানুষ বই কিনেই চলছে ।

লিডা ফোনের অপেক্ষায় থাকে , অপেক্ষায় থাকে রয়্যালটির ।

ধর্মকামী মানুষ লিডার উদাহরণ দিয়ে দিয়ে জগতের সব নারীকে ধর্মের দিকে আসার নছিহত চালু রাখে । লিডা কাহিনী রাষ্ট্র হয়ে যায় ।
ধর্মপাড়ার লোকজনের আলোচনার কেন্দ্র লিডা ।

- হ্যালো লিডা , আপনার বই মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়ে গেছে , শত শত ভাষায় অনুবাদও চলছে । বাজারে চাহিদাও অনেক । আপনাকে আপনার রয়্যালটি বুঝিয়ে দেয়া হবে ।
- ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন ।


-হ্যালো লিডা --
-হ্যালো লিডা ---
-হ্যালো লিডা ---

লিডার চিত্তে বষন্ত খেলা করে । মিলিয়ন মিলিয়ন বই বিক্রি আর কোটি কোটি ডলার রয়্যালটি প্রাপ্তি !
শরীর ও মন হাসতে থাকে হাসতেই থাকে .........


সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:২০
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×