ক’দিন আগে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মি: মনমোহন সিং বাংলাদেশ সফর করে গেলেন। এই সফর নিয়ে মিডিয়ায় যে হারে উচ্চবাচ্য করা হয়েছে, দেশের জনগণকে যে আশার বাণী শোনানো হয়েছে, কার্যত তার যে কিছুই হয়নি, সেটাতো দেশবাসী নিজের চোখেই দেখতে পেলেন। তিস্তা নদীর পানি বন্টন নিয়ে চুক্তি হবার কথা ছিল সেটা হয়নি। এ নিয়ে দু’দেশের সরকারই নাখোশ। একে অপরের প্রতি দোষ ও দায় চাপাচ্ছেন চুক্তি না হবার কারণে। বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সকল মন্ত্রী-উপমন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরাই কার্যত নাখোশ। আওয়ামি লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব আশরাফতো দেশবাসীকে আশার বাণী শোনালেন এই বলে যে, আগামি তিন মাসের মধ্যেই তিস্তা চুক্তি হবে।
কিন্তু আমরা এই ‘আমজনতা’ আজ তিন মাস আগেই বলে রাখলাম, তিস্তা চুক্তি হবে না। হবে না, কারণ তিস্তা চুক্তি করে ভারতের কী লাভ হবে? বলবেন ট্রানজিট নেবে, তারা চুক্তি করবেই। বোকার স্বর্গে বাস করছেন। বাংলাদেশ সরকার জেনে শুনে তার নিজ দেশবাসীকে ধোঁকা দিচ্ছে। আসল সত্য হলো, ভারত ট্রানজিট বাংলাদেশ সরকারের নিকট থেকে নিয়ে নিয়েছে এবং আমাদের সরকারও দিয়ে তা দিয়েছে চলতি বৎসরের গেল জানুয়ারি মাসে যখন শেখ হাসিনা ভারত সফর করেন, তখন। এখন যেটা হচ্ছে তা নাটক, স্রেফ নাটক।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




