somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নেড়া যতবার বেলতলায় যায়

১২ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের দেশে একটা ভুল প্রবাদ প্রচলিত আছে যে নেড়া বেলতলায় একবারই যায় | কিন্তু আমি দেখছি যে নেড়া বার বার বেল তলায় যায় | প্রবাদের কথা অনুযায়ী নেড়া একবার বেলতলা গিয়েছিল ঠিক কি করতে গিয়ে ছিল তা জানাজায়নি| আমরা ধরে নেই বেলতলার প্রতি নেড়ার একটা বিশেষ আকর্ষণ ছিল | হতে পারে বেলতলায় অনেক ভালো হওয়া বয় বা বেলতলায় ইয়ে করতে অনেক ভালো লাগে যাই হোক বেলতলা নেড়ার প্রিয় জায়গা | একদিন সে বেলতলায় গেছে আর কোথা থেকে আসে এক দমকা হওয়া|তারপর কি থেকে যে কি হয়ে গেল সেটা জ্ঞান ফেরার আগে সে বুঝতে পারল না |এনিওয়ে বেলতলায় সে কি করতে গিয়েছিল তা সে কোন মতেই মনে করতে পারল না |সেটা মাথায় সদ্য গজে ওঠা আলুর কারণেই হোক আর আলু ওঠার ব্যথার কারণেই হোক |সে কিছুতেই মনে করতে পারল না আর এই কারণেই নাকি আলুর কারণেই বেলতলার প্রতি তার প্রীতিতে ভাটা পরে গেল জেগে উঠলো তীব্র রাগ (আসলে ভয় ) |এই নেড়া কি আর বেলতলায় যায় ? তার তো যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে | এভাবেই দিন কেটে যাচ্ছিল , তা অনেক দিন পর তার এক বন্ধু বেলতলায় যাওয়ার প্রস্তাব করলে সে প্রত্যাখান করে |এরপর অনেক ভাবে বুঝানোর পর তার বন্ধু যখন নিশ্চিত করলো যে বেলগাছে বেল নাই তারপর সে রাজি হয় | যাই হোক তারা আবার বেলতলায় গেল | দুর্ঘটনা যে দ্বিতীয় বার ঘটবে না এমন তো কেও কখনো বলেনি | তো আমাদের নেড়ার মাথায় দ্বিতীয় বারের মত আলু গজালো এখন সে দিনে-রাতে চোখে বেল দেখে | এই ঘটনার কিছুদিন পর সে জানতে পারে যে বেল গাছ কাটা হচ্ছে তো এই ব্যাপারে যে তার অত্যাধিক উত্সাহ থাকবে এটাই স্বাভাবিক |মানুষের (মানবিক কি না জানিনা) বৈশিষ্ট অনুযায়ী সে ঈর্ষা করতে তার আপন ভাই কেও ছাড়েনা আর বেলগাছ তো কোন ছাড় | একটা ফলবতী বৃক্ষ কে আঘাত করলে তো সে নিউটনের দ্বিতীয় সুত্র অনুযায়ী একটু আধটু রিয়াকশন করবেই , তো বৃক্ষ তার শরীর থেকে কিছু ফল ফেলে এই রিয়াকশন টুকু করলো আর তাতে যা হবার তাই হলো | আমাদের নেড়া তৃতীয় বারের মত মাথায় কিছু আলু পেল |


আমাদের সাম্প্রদায়িকতার শুরু ঠিক কবে এটার সঠিক কোন ইতিহাস নাই | পুন্ড্র নগর কে যদি বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন নগর ( ডয়েচে ভেলের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন নগর পুন্ড্র নগর ) হিসেবে ধরে নেওয়া হয় তাহলেও আমাদের সাম্প্রদায়িকতার শুরু অনেক আগে থেকে আর তার প্রমান পুন্ড্র নগরের অদূরে ধংশ প্রাপ্ত বৌদ্ধ মঠ আর গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চল আর দক্ষিন পচিমাঞ্চলে তাদের অনুপস্থিতি | শুধু দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে তাদের বসবাস এটাই প্রমান করে যে তারা কোন এক কালে এই সব অঞ্চল থেকে বিতাড়িত হয়েছিল | আমাদের জানা ইতিহাস, ১৯৪৭ এ দেশ বিভাগের সময় রক্তের বন্যা | ১৯৭১ এও আমরা কম সাম্প্রদায়িক ছিলাম না | তারপর ও আরো ছোট-খাটো অনেক ঘটনায় ঘটেছে | প্রত্যেক ঘটনা ঘটার পর আমরা অকপটে শিকার করেছি আর বলেছি যে এই ভুলের পুনুরাবৃতি আর যেন না হয় | ভুল থেমে থাকেনি বার বার ঘটেছে এবং ঘটছে | হয়ত সেই দিন আর হুব বেশি দেরিনাই যখন হামলার শিকার সংখালঘু পরিবারের পিতার মত মেয়েকে বাঁচাতে আমাদেরও বলতে হবে "বাবা ও তো ছোট , তোমরা একজন একজন করে যাও " | পাকি আর তাদের দোসররা আমাদের মা বোনদের উপর অত্যাচার করেছিল , নির্বিচারে মানুষ মেরে ছিল , ঘরবাড়ি জালিয়ে ছিল আর এইকারণে আমরা তাদের ঘৃনা করি তাদের ফাসি চাই | আমরা আমাদের কবে ঘৃনা করব ? আমরা আমাদের ফাসি কবে চাইব ?

যে দেশের অসাম্প্রদায়ক সরকার এই ধরনের ঘৃণ্য ঘটনা ঘটার পর ও নির্বিকার বসে থাকে | লালন , নজরুলের মত অসাম্প্রদায়ক , সাম্যবাদীর জন্মের পরেও সাম্প্রদায়কতা চলতে থাকে , সে দেশের মানুষ বার বার বেলতলায় যাবে , মাথা ফেটে মরার আগ পর্যন্ত যাবে |
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×