লেনিনের আমলে সোভিয়েত ইউনিয়নের অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা তথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব তখন ছিলেন ফেলিক্স দ্জেরজিনস্কি । কেজিবি নামে সুপরিচিত প্রতিষ্ঠানের আদিরূপ একেভিডি-র উদ্যেক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি । আর নাদিয়া ক্রুপস্কায়া ছিলেন লেনিনের স্ত্রী ।
এক শিল্পী ছবি এঁকেছেন । ছবির নাম ‘পোল্যান্ডে লেনিন’ । ছবিতে দেখা যাচ্ছে শুধু দুজোড়া পা । এক নিরেট দর্শক প্রশ্ন করলেন, পাগুলো কার ?
-- কেন, ফেলিক্স দ্জেরজিনস্কি এবং নাদিয়া ক্রুপস্কায়ার । - শিল্পীর উত্তর ।
-- কিন্তু ছবির নাম তো ‘পোল্যান্ডে লেনিন’ । তা লেনিন কোথায় ?
-- আঃ এটাও বোঝেন না ? লেনিন তো পোল্যান্ডে !
যৌথ খামারে জুতোর সরবরাহ এসেছে মাত্র একজোড়া । সেই জুতো জোড়া কাকে দেওয়া হবে তা নিয়ে মিটিং চলছে । অনেকে দীর্ঘ বক্তৃতা দিলেন । সবার শেষে উঠলেন যৌথ খামারের ডিরেক্টর । তিনি বললেন : আমি প্রস্তাব করছি, জুতোজোড়া আমাকে দিয়ে দেওয়া হোক । এই প্রস্তাবের পক্ষে যারা, তাঁরা চুপ করে বসে থাকুন । আর সোভিয়েত শাসনব্যবস্থার বিপক্ষে যাঁরা, তাঁরা হাত তুলুন !
স্তালিন ফোন করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টকে :
-- গমের সরবরাহ আসতে দেরি হচ্ছে কেন ?
-- বন্দর শ্রমিকরা লাগাতার ধর্মঘটে নেমেছে । বেতন বাড়ানোর দাবি করছে তারা ।
-- কেন, আপনাদের দেশে কি পুলিশ নেই ?
সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং চলছে । কমরেড পপস্কি উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, কমরেড স্তালিন আমি মাত্র তিনটি প্রশ্ন করতে চাই । যদি আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে শিল্পোন্নত দেশ হয়ে থাকি, তাহলে আমাদের মোটর গাড়ি কলকারখানার কি হল ? যদি আমরা কৃষিতে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দেশ হয়ে থাকি, তাহলে আমাদের দৈনন্দিন রুটির কি হল ? যদি আমরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পশুপালক দেশ হয়ে থাকি, তাহলে আমাদের রোজকার মাংসের কি হল ?
কমরেড স্তালিন রুক্ষ চোখে তাকালেন কমরেড পপস্কির দিকে । যেন তিনি বিশ্বাসই করতে পারছেন না এমন সব প্রশ্ন শুনতে হবে । তারপর তিনি বললেন ইতিমধ্যেই আমরা যথেষ্ট দেরি করে ফেলেছি । আজ আর এইসব প্রশ্নের জবাব দেবার মত অবকাশ নেই । পরবর্তী বৈঠকে আমি এইসব প্রশ্নের যথোচিত জবাব দেব ।
পরের সপ্তাহে মিটিং শুরু হল । পার্টির এক সদস্য উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, আমার শুধু একটাই প্রশ্ন আছে -- কমরেড পপস্কির কি হল ?
এক রাজনৈতিক কৌতুক রচয়িতাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ক্রুশ্চেভের কাছে । ক্রেমলিনে ক্রুশ্চেভের খাস মহল দেখে সে ত হতবাক । বিড়বিড় করে সে বলল
-- কি দারুন সব আসবাবপত্র ! কি দামী দামী কার্পেট ! পর্দা !
ধৃত লোকটিকে আশ্বস্ত করার ভঙ্গিতে ক্রুশ্চেভ বললেন
-- অচিরেই আমাদের দেশের প্রত্যেকের ঘরে ঘরে এসব থাকবে ।
-- কমরেড ক্রুশ্চেভ । কৌতুক রচয়িতা এবার জোর গলায় প্রতিবাদ জানাল, এটা ঠিক হচ্ছে না । হয় শুধু আপনি চুটকি বলবেন, নয় তো শুধু আমি !