somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ভাঙা তরী
ভুলেও ভাবা যাবে না আমি কোন রাজনীতির সাথে জড়িত! আমি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক মুক্ত আগাছা। ছোটবেলা থেকেই বাবা আর মায়ের উপর নির্ভর করে চলছি। এখনও চলছি তাদের পিছু-পিছু...জানিনা কবে আমার এই পিছু চলা বন্ধ হবে!!!

এভাবে আর কত দিন?

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লিথা গোরামের মতে, আমাদের জীবন আমাদের ইচ্ছার উপর নয় আমাদের কর্মের উপর দন্ডায়মান। কর্ম মানুষকে বড় করে, অর্থ নয়। অথচ মানুষ সেই অর্থকে কাছে পাবার আশায় নিজের কর্মটাকে আরো বিস্তৃত করছে দিনকে দিন। এখানে কর্ম নয়, অর্থই মূল। কর্মেরও শ্রেণিবিভাগ রয়েছে। অধিক অর্থলাভের আশায় কর্ম আবার চিরদিন মানুষের হৃদয়ে স্থান লাভের কর্ম। দুটি দুই জিনিস। এই দুই প্রক্রিয়ায় কর্ম সম্পাদনের মাধ্যমেই জীবিকা নির্বাহ করছে মানবজাতি। অনন্তকাল এ প্রক্রিয়াটি মানুষের মধ্যে অব্যাহত থাকবে। এটিই হচ্ছে স্রষ্টার ‘জগৎগঠণতন্ত্র’র মূলমন্ত্র।

সমাজের মানুষজন আজ বড্ড মাতাল হয়ে টাকার পিছনে ছুটাছুটি করছে। একজনকে ঠকিয়ে অন্যজনের জয় নিশ্চিত করছে। আর সেই জয়ের পিছনেও টাকার গন্ধ নিহিত থাকে। রাত-দিন তাদের অবিরাম ছুটাছুটি যেন তাদেরকে এক অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে দিচ্ছে। যে পর্যায়ে মানুষ তার মনুষ্যত্বকে বিসর্জন দিয়ে মানুষরূপী জন্তু-জানোয়ারে রূপ নিতে একটুও দ্বিধাবোধ করছে না। আমি এখানে সেই পর্যায়ের কথা বলছি। যে পর্যায়ের মানুষেরা অভাব-অনটনে সংসার পরিচালনার কষ্ট বুকে লালন করে রাতের বেলায় ঘুমাতে যায়। পুবের আকাশে যখন সূর্যটা মিটমিটিয়ে জ্বলে উঠে সমস্ত অন্ধকারকে দূরে ঠেলে দিয়ে আলোকিত করতে শুরু করে আর তখনই মাথায় ঘুরপাক খায় সাংসারিক খরচপাতির। গায়ে কাথা মোড়িয়ে একটু আরাম-আয়েসের সুযোগ আর হয়ে উঠে না। বেরিয়ে পড়ে আয়ের উৎসের সন্ধানে।

আমাদের এ জগত সংসারের সাধারণ নিয়ম-নীতির একটি হলো- কর্ম করে বেঁচে থাকো। কর্মই ধর্ম তাতে থাকো মত্ত। নৈতিক মূল্যবোধকে আঁকড়ে ধরে সৎ পথে উপার্জনের কথা বলা হয়ে থাকে প্রতিটি ধর্মেই। আমরা যে যেই ধর্মের অনুসারি হই না কেন, আমাদের টাকা উপার্জনের মাধ্যমটা হতে হবে হালাল। আজকাল টাকা উপার্জনের জন্য কতজনই বা বৈধ রাস্তা অবলম্বন করে থাকে? এমন প্রশ্নটাকে বুকে ধারণ করে অনেকেই জড়িয়ে পড়েন অবৈধ পথে। দু’হাত দিয়ে টাকা কুড়িয়ে বুকে তুলে নেন। তবে ক্ষণস্থায়ী সেই মুহূর্তটার সময়কালও কতদিন? এমন প্রশ্ন কারো মনে উদিত হয় না একটি বারের জন্যও। পবিত্র কোরআনের আয়াত উদ্ধৃতি দিয়ে বলা বাহুল্য, প্রতিটি প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। ক্ষুদ্র অণূজীব থেকে শুরু করে জীব জগতের প্রত্যেককে এবং বহুকোষী জীবের প্রত্যেকটি জীবকোষই এক একটি জীবন্ত সত্ত্বা। একদিন আপনার সেই অবৈধ পথের উপার্জন বন্ধ হবে। জবাবদাহিতার জন্য ক্ষণস্থায়ী জীবনের যাবতীয় সুকর্ম ও অপকর্মের হিসাব-নিকাশও প্রস্তুত করতে হবে।

কাউকে জিম্মির মাধ্যমে ভয়-ভীতি প্রদর্শন কিংবা ক্ষমতার অপব্যাবহার প্রয়োগের মাধ্যমে টাকা-পয়সা উপার্জন অবৈধ। আর সেই উপার্জনের টাকা আপনি-আমি, দুনিয়ার কেউ কাজে লাগাতে পারি না। সেই উপার্জনের টাকা আপনার সংসারের কাজে খরচ করেন, ছেলে-মেয়েদের পেছনে খরচ করেন দেখবেন কিছুদিন পর তার ফলাফলটা স্পষ্ট। প্রত্যক্ষভাবে না হউক পরোক্ষভাবে কোন দুর্ঘটনা কিংবা সংসারের অভাব-অনটন আর অশান্তির জন্য দায়ী সেই অবৈধ পথের উপার্জন। কারণ সেটাতো হালাল নয়, হারাম উপার্জন। আপনার সন্তান কিংবা আপনার প্রিয়জনের অসুখ-বিসুখ। অতঃপর ডাক্তারের কাছে ছুটাছুটি বাবাদ ওই অবৈধ পথে উপার্জনের চেয়েও আরো বেশি খরচ হয়ে যায়।

তাই আর দেরী না করে আজ থেকে বৈধ পথে টাকা-পয়সা উপার্জনের চেষ্টা করুন, মানুষকে মূল্যায়ন করুন দেখবেন আপনাকেও অন্যরা মূল্যায়ন করছে। এভাবে আর কতদিন ওই পথে হাঁটবেন? তার কি অবসান হওয়া বলে মনে করেন না আপনি???

সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০০
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯



একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×