মাশরাফি বিন মুর্তজা আর লোটাস কামালের অন্তরঙ্গ মুর্হূতের একটি ছবি...................
পরিকল্পনামন্ত্রী আ.হ. ম মুস্তফা কামাল। তাঁর মেয়ে নাফিসা কামাল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের চেয়ারম্যান। সে সুবাদে আবার কুমিল্লার সন্তান হিসেবেও দায়িত্বটা কিন্তু কম নয়। ক্রিক্রেট যুদ্ধে জয়ী হবার আনন্দও তাঁর মধ্যে বিরাজমান। তাছাড়া ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি রয়েছে বেশ দুর্বলতা। ক্রিকেটপ্রেমী হিসেবে সুপরিচিত বটে, আবার দেশের স্বার্থে বৃহত্তর পদবী (আইসিসি সভাপতি) থেকেও পদত্যাগ করার ইতিহাস রয়েছে তাঁর।
এদিকে মাশরাফি বিন মর্তুজা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সফল অধিনায়ক। বিপিএল-২০১৫ এর কুমিল্লা ভিক্টোয়িান্সকে নেতৃত্বদানকারীও তিনি। শারীরিকভাবে ফিট না থাকা সত্ত্বেও পা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়েই চালাচ্ছেন দল। পুরোদমেই চালিয়ে যাচ্ছেন সৈন্য-সামন্ত নেতৃত্বের কাজটাও। মাশরাফি বাংলাদেশের এক অনন্য নাম। একদিনে সম্ভব হয়ে উঠেনি সকলের অন্তরে স্থান করে নেওয়ার জন্য বিসর্জন দিতে হয়েছে অনেক কিছু। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ কিংবা ডু অর ডাই ম্যাচের পুরো ভারটা কিন্তু তাকেই সামলাতে হয়। একটু বিশ্রাম নিতে মন চাইলেও যেটা সম্ভব হয়ে উঠেনা। শারীরিক অসুস্থতার জন্যও বসে থাকেন না বাসাতে। ফিরে যান অনুশীলনে, অনুশীলনে না নামলেও পাশ থেকে টাইগার বাহিনীদের উৎসাহ-উদ্দীপনার মাধ্যমে উজ্জীবিত রাখেন সর্বদা। ফর্মুলা তৈরির বস..তো তিনিই। দুর্দান্ত বোলিং আর নেতৃত্ব যেন তাকে দিয়েছে সেরাটা। আর যখন তিনি কথা বলেন তখন পুরো শরীরের লোমগুলো খাড়া হয়ে জোগান দেয় যুদ্ধে নেমে পড়ার। মনে হয় তাকেই পুঁজি করে নেমে পরি ক্রিকেট যুদ্ধে। বিশেষ করে বাহিরে দেশসমূহের সাথে যখন নিজ দেশের জয়ের নায়ক হন মাশরাফি তখনই তাকে বুকে টেনে নিতে ইচ্ছে করে। যাক এতকিছু বললে হয়তবা অনেকে আমাকে খুব আবেগী ভাববে। সর্বশেষ একটি কথাই বলা বাহুল্য, মাশরাফি...........মাশরাফিই। তার বিকল্প মাস্টার পিস তৈরি হবে কিনা সেটা নিয়ে সন্দিহান আমি। এমন মাস্টার পিস দলে থাকাটা যেমনটা সৌভাগ্যের ঠিক তার অনুপস্থিতিও দলের জন্য একদিন দুর্ভাগ্য ভয়ে আনবে। ফিরে যাই মূল কথায়.................
২ ডিসেম্বর ২০১৫। চট্টগ্রামের জহুরুল আহমেদ স্টেডিয়ামে কুমিল্লা ভিক্টোয়িানস আর ঢাকা ডায়নামাইট্স দলের খেলা চলছিল। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪১ রান করেছিল কুমিল্লা। ঢাকা আটকে যায় যায় ৬ উইকেটে ১৩১ রানে। মাশরাফি ফিট ছিলেন না; একটু পরপরই খোড়াচ্ছিলেন। নাসির হোসেনের ক্যাচ নেওয়ার পর টান লাগল হ্যামস্ট্রিংয়ে। বোলিং করছিলেন স্রেফ কয়েক পা দৌড়ে। খানিকক্ষণ মাঠের বাইরেও ছিলেন। আবার ফিরে বোলিং করেছেন। এত প্রতিকূলতার মাঝেও ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ১৮ রান দিয়ে নিয়েছেন রায়ান টেন ডেসকাটের মহাগুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৩