আসামি পক্ষে নিযুক্ত বিজ্ঞ আইনজীবী কোনো প্রকার শুনানী ব্যতীত চুপ করে বসে ছিলেন। আদালত আইনজীবী সাহেবের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইনজীবী সাহেব জানালেন-
মক্কেল ভিতরে যাক।
: ঘটনা কী বলুন তো?
না মানে স্যার, মক্কেলের পিতা-মাতা এখানে উপস্থিত আছেন। মক্কেল এতো বেশি মাদকাসক্ত যে, সংশোধনের জন্য ভিতরে পাঠানোর ব্যতীত বিকল্প কোনো উপায় নেই।
আদালত জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিলেন। পুলিশ নিয়ে যাওয়ার সময় মা কাপড়ের ব্যাগ আর খাবার দিয়ে দিলেন। ছেলে মা'কে জড়িয়ে বলছে, 'মা, দোয়া করিও'। মা ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। বাবা একটু দূরে দূরে অভিমানের সুরে আস্তে আস্তে হাঁটছে। অদ্ভুত! যেন উভয়ে তাদের স্ব স্ব স্থান হতে অসহায়ত্বের ভূমিকায়। মায়ের বাধ্য ছেলের মতো ছেলে জেলে চলে যাচ্ছে। যেন তার ব্যক্তিসত্তা তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। জনম দুঃখিনী মায়ের কষ্টও যেন সে উপলদ্ধি করছে মাদকাসক্ত একজন তরুণের বাস্তবতা হয়তো ঠিক এমনই নিয়তির নির্মমতা যেখানে আত্মসমর্পণ করে চলে কারো নিকট কোনো অভিযোগ না দিয়ে।
- নিরু, পৃষ্ঠা ৫৩
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩৪