...আসামী পক্ষের আইনজীবী আরো কিছু বলার অনুমতি প্রার্থনা করলে আদালত সুযোগ না দিয়ে বাদিনী ও আসামীকে নিয়ে তার খাস কামরায় কথা বলার কথা জানান। বিচারকের সাথে বাদিনী ও আসামী খাস কামরায় ঢুকলো। বিচার তাদেরকে ১৫ মিনিট সময় বেঁধে দিয়ে বের হয়ে আসলেন। ১৫ মিনিটই পর বের হতে বললেন। এজলাসে এসে বিচারক সিনিয়দের ১৫ মিনিট অপেক্ষা করার জন্য অনুরোধ করে। ১৫ মিনিট পর আদেশ হবে। এর মধ্যে অন্যমামলার শুনানি চলছে। ১৫ মিনিট পার হয়ে গেলেও বাদিনী ও আসামী বের না হওয়ায় তাদেরকে রিমাইন্ড দিলো পেশকার। ২ মিনিট পর পুরো কোর্ট রুমবর্তী আইনজীবী, সাংবাদিক ও বিচারকের সামনে তারা স্বামী স্ত্রী হাসতে হাসতে বের হলো। পুরো কোর্ট রুম অট্টহাসিতে ভরে গেল। বিচারকের বিচক্ষণতা ও সময় উপযোগী পদক্ষেপ এ একটা সংসার জোড়া লেগে গেল।
পরের দিন বিভিন্ন মিডিয়াতে বিভিন্নভাবে রস মাখিয়ে নিউজ আসলো। খায়রুল সাহেবের পত্রিকার শিরোনাম হলো “ খাস কামরায় ১৫ মিনিট।
- অসমাপ্ত জবানবন্দী, পৃ-৯১
কোর্ট বিষয়টাই শান্তার কাছে একটা এলার্জির নাম। তার পেছনে বিভিন্ন কারণ আছে। শান্তাদের পারিবারিক জায়গা জমি নিয়ে সেই ছোট বেলা থেকেই তার বাবা কোর্টে মামলা চালিয়ে আসছে। শাস্তার বয়স এখন তেইশ। মামলার বয়স পঁচিশ। কিন্তু কোন সমাধান নেই। মাসের মধ্যে এক-দুই বার শুধু গিয়ে উকিলকে টাকা দিয়ে আসা ছাড়া যেন কোন অগ্রগতিই নেই। দুই বৎসরের
মধ্যে সমাধান করে দিবে বলে উকিল সাহেব মামলা নিলেও এখনো সমাধান করতে পারছেন না। অথচ শান্তাদের জমিগুলোর সমপরিমান টাকা ইতোমধ্যে যেন উকিলের পকেটেই চলে গেল। এই থেকে শান্তা উকিল নামটি শুনতেই
নারাজ। তার উপর এ উকিল যে তার উপর ভর করবে কে জানতো?
- অসমাপ্ত জবানবন্দী, পৃ-৩৯
-মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
অ্যাডভোকেট
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
০১৭৩৩৫৯৪২৭০ ( কল করার পূর্বে হোয়াটস্অ্যাপে ম্যাসেজ দিন)
লেখক- আইন বিষয়ক উপন্যাস 'নিরু" এবং 'অসমাপ্ত জবানবন্দী', মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস 'মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ' এবং 'একাত্তরের অবুঝ বালক' ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫