আমার এক ক্লায়েন্ট সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়ায় নোয়াখালী থেকে ঢাকা আসতে না পারায় বিজ্ঞ আদালতে সময় চাইলাম গতকাল। ট্রায়ালের মামলা, ২ জন সাক্ষী উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও আদালত আসামির সময়ের প্রার্থনা মঞ্জুর করলেন এক্সরে রিপোর্ট দাখিল করার শর্তে। আসামিকে বলার পর এক্সরে করতে গেল নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে। আমার ক্লায়েন্ট জানালো, ভাই এখানে এক্সরে করার ব্যবস্থা নাই। আমি বললাম, ভাই ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের এক্সরে করার ব্যবস্থা নাই এটা পাগলেও বিশ্বাস করবে? আমাকে অফিসিয়াল কারো সাথে কথা বলার ব্যবস্থা করুন। অফিসিয়াল একজনকে ফোনে ধরাই দিলো। তিনি অবাক সুরে আমাকে জানালেন, এটা তো সবাই জানে এখানে গত ১৫ দিন ধরে এক্সরে ফিল্ম নাই! তার ভাবখানা এমন, ১৫ দিন ধরে এক্সরে ফিল্ম নাই এটাই স্বাভাবিক বরং না জানাটাই আমার অপরাধ হয়েছে।
পরে হাসপাতালের অফিসিয়াল নাম্বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলাম। কল দিলাম জেলা সিভিল সার্জন সাহেবকে, তিনি জানালেন বিষয়টি দেখভাল করার এখতিয়ার হসপিটাল কর্তৃপক্ষের।
দেশের প্রথম শ্রেণীর জেলা নোয়াখালীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এক্সরে করার ব্যবস্থাই না থাকলে গত ১৫ দিন ধরে হাসপাতালটি নাগরিকদের কি সেবা দিয়ে যাচ্ছে? বিষয়টি কি গত পনের দিনে কারোরই নজরে আসে নি!
-মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
আইনজীবী
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৭