শান্তিনগর ইস্টার্ন প্লাসের সামনে থেকে রিক্সায় উঠলাম, এমন সময় দেখি এক লোককে ধরে বেড়ধক মারধর শুরু করছে জনতা। চিরচেনা এমন দৃশ্য অগ্রাহ্য করে রিকসাওয়ালা কে চলতে বললে পাশে থাকা স্ত্রী থামিয়ে দিলো। আবেগী হয়ে সে নিজেই লোকাটাকে বাঁচাতে যাওয়ায় আমিও গেলাম। কেউ কারো দিকে তাকানোর সময় নেই, চলছে এলোপাতাড়ি মাইর। এ যেন বহু প্রতীক্ষিত বাসনা পূরণ করার পালা।
আমি গিয়ে সজোরে বললাম, এই থামুন। বিষয়টা আমি দেখতেছি। আমি কে তা না ভেবে আওয়াজের কারণে কয়েকজন সুযোগ করে দিলো কাছে ভিড়াবার। গিয়ে দেখি ধরাশায়ী লোকটি উপুড় হয়ে বুকে চেপে ধরছে কিছু একটা। একজন তা জোর করে বেরও করলো।
দেখি আমি হতবাক হয়ে গেলাম, শান্তি নগরে এমন অশান্তি সৃষ্টি করা কারিগরের হাতে ১ লিটারের একটা সয়াবিন তেল। ভদ্রলোকের চেহারা দেখে তাকে ছেঁচড়া চোর মনে হয় নি। হয়তো অভাবের কারণে এমনটি করছে কিংবা সময়ের কারণে তেলও মহামূল্যবান চুরির বিষয়বস্তু হয়ে গিয়েছে।
সে যাই হোক, আমি ভাবছি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পিছনে অবদান রাখা বিশিষ্ট সিন্ডিকেটদের হাতের নাগালে পেলে জনতা কেমনটা করতো।
-মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
অ্যাডভোকেট
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১২