অনেকেই প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস সাহেবের মামলাটি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। মামলাটির বিচার কাজ প্রত্যক্ষ করার প্রেক্ষিতে সহজভাবে বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
মামলাটি কে করেছে, কোথায় করেছে, আসামী কারা?
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর গ্রামীন টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীন টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও শাহজাহান এই চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান।
মামলার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ গুলো কী ?
শ্রম আইন,২০০৬ এর ৪ এর (৭), (৮) এবং ১১৭ ও ২৩৪ ধারার বিধান প্রতিপালন না করায় অভিযোগটি আনায়ন করা হয়। এই অভিযোগগুলো প্রতিপালন না করা শ্রম আইনের ৩০৩(ঙ) এবং ৩০৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অর্থাৎ শ্রম আইন,২০০৬ এর ৪ এর (৭), (৮) এবং ১১৭ ও ২৩৪ না মানলে কী সাজা হবে তা বলা আছে শ্রম আইনের ৩০৩(ঙ) এবং ৩০৭ ধারায় ।
তাহলে শ্রম আইন, ২০০৬ এর ৪ এর (৭), (৮) এবং ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় কী আছে?
শ্রম আইন, ২০০৬ এর ৪ এর (৭), (৮) ধারায় বলা হয়েছে চাকুরী স্থাযীকরণের বিষয়টি। ১১৭ ধারায় বলা হয়েছে ছুটি মঞ্জুর করার কথা এবং ২৩৪ ধারায় শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও একটি শ্রমিক কল্যাণ তহবিল এর কথা বলা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ হলো, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও (১০১ জন শ্রমিকের) তাঁদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি এবং লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।প্রাসঙ্গিকক্রমে আরো একটি অভিযোগ হলো, গ্রামীণ টেলিকমের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য তাদের নিজস্ব নীতিমালা আছে, যা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক বরাবর পাঠানো এবং অনুমোদন নেওয়া হয় নি।
মামলা ও বিচারের সময়কাল:
২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর শ্রম ট্রাইব্যুনালে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। যা বি,এল,এ (ফৌজদারী) মামলা নং— ২২৮/২০২১ মূলে নথিভুক্ত হয়। গত বছরের ৬ জুন মামলার অভিযোগ গঠিত হয়। ২২ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয় এবং ১লা জানুয়ারী রায় প্রদান করা হয়।
এসব অভিযোগের বিষয়ে আসামী পক্ষের যুক্তিঃ
অভিযোগ নং ০১: চাকুরী স্থায়ীকরণ না করা
ধারা ৪(৭)(৮): প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক/কর্মচারীদের শিক্ষানবীশকাল সমায়ান্তে আইনের বিধান অনুযায়ী স্থায়ীকরণ করা হয়নি।
আসামী পক্ষের যুক্তি হলো, গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তা—কর্মচারীদের নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী চুক্তি—ভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হয়। কারণ গ্রামীণ টেলিকম যে সকল ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে সেগুলি চুক্তি—ভিত্তিক এবং নির্দিষ্ট মেয়াদান্তে তা নবায়নের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়। নোকিয়া কেয়ার, হুয়াওয়ে কেয়ার এবং পল্লীফোন কার্যক্রম ৩ বছরের চুক্তি অনুযায়ী পরিচালিত হয় এবং ৩ বছর পর আবার চুক্তি নবায়ন করে তা পরিচালনা করা হয়। যেহেতু গ্রামীণ টেলিকমের কার্যক্রম উপরেল্লিখিত প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে চুক্তির ভিত্তিতে পরিচালিত হয়েছে, সেজন্য গ্রামীণ টেলিকমের সকল কর্মকর্তা—কর্মচারীকে চুক্তি—ভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবসায়িক চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির সাথে সাথে অনুরূপভাবে কর্মকর্তা—কর্মচারীদের চুক্তির মেয়াদও বৃদ্ধি করা হয়েছে। গ্রামীণ টেলিকমের সকল কর্মকর্তা—কর্মচারীকে স্থায়ী কর্মীর মতোই প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচ্যুইটি, অর্জিত ছুটি, অবসরকালীন ছুটিসহ সবই প্রদান করা হয়ে থাকে।
অপরদিকে শ্রম আইন ২০০৬ এর ৪ এর উপ—ধারা (৭) এর বিধান অনুযায়ী শিক্ষানবীশকাল শেষে বা তিন মাস মেয়াদ বৃদ্ধির পর কনফারমেশন লেটার দেওয়া না হইলেও সংশ্লিষ্ট শ্রমিক স্থায়ী বলিয়া গণ্য হইবে। যেহেতু শ্রম আইনের মধ্যে উক্ত লংঘনের প্রতিকার দেয়া আছে, ফলে তা কোনভাবেই ফৌজদারী অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না, শ্রম আইন অনুযায়ী তা প্রশাসনিক ও সিভিল মোকদ্দমার বিষয়।
অভিযোগ নং ০২: বাৎসরিক ছুটি নগদায়ন না করা
ধারা—১১৭ বিধি ১০৭ মোতাবেক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক/কর্মচারীদের আইনের বিধান অনুসারে মজুরীসহ বাৎসরিক ছুটি প্রদান, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ প্রদান করা হয় না বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে গ্রামীণ টেলিকমের বক্তব্য হলো:-
১. গ্রামীণ টেলিকমের অর্জিত ছুটি সংক্রান্ত নীতিমালা ২০০২ সালে প্রণয়ন করা হয়েছে, যা ১লা জানুয়ারী ১৯৯৭ সাল থেকে কার্যকর করা হয়েছে। যদিও শ্রম আইন ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত।
২. বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ ধারা ৩(১) অনুযায়ী “প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নীতিমালা থাকিতে পারে। তবে তা শ্রম আইনে উল্লেখিত সুবিধা হতে কম হতে পারবেনা।”
৩. গ্রামীণ টেলিকমের নীতিমালায় বছরে ৩০ দিন অর্জিত ছুটির বিধান রেখে ছুটির নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে, যেখানে শ্রম আইন অনুযায়ী প্রতি ১৮ কর্ম দিবসের জন্য ১ দিন ছুটি। সেই হিসেবে গ্রামীণ টেলিকমের ক্ষেত্রে গড়ে বছরে সর্বোচ্চ ১৪ দিন অর্জিত ছুটি সাধারণত সকল কর্মী প্রাপ্য হন। অর্থাৎ গ্রামীণ টেলিকম শ্রম আইনের সুবিধার চেয়ে অধিক হারে অর্জিত ছুটি প্রদান করে থাকে।
৪. গ্রামীণ টেলিকমের অর্জিত ছুটি নগদায়নের ক্ষেত্রে একজন কর্মকর্তা/কর্মচারী প্রতি ৩ বছরে ৩০ দিনের ছুটি নগদায়ন করতে পারবে এবং ৬০ দিন ছুটি জমা রাখতে পারবে।
৫. ছুটি নগদায়নের ক্ষেত্রে শ্রম আইনে গ্রামীণ টেলিকমের ক্ষেত্রে কর্মকর্তা—কর্মচারীরা প্রতি বছরে ১৪ দিন পেয়ে থাকেন যার ৭ দিন নগদায়ন হবে এবং বাকী ৭ দিন জমা থাকবে। আর গ্রামীণ টেলিকমের প্রচলিত ছুটি নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি ৩ বছরে ৩০ দিন ছুটি নগদায়ন করে থাকে। অর্থাৎ বছরে গড়ে ১০ দিন নগদায়ন হচ্ছে। এই নগদায়নের ক্ষেত্রে শ্রম আইনের চেয়ে বেশি দেয়া হয়েছে।
শ্রম আইনের ১১৭(৭) ধারায় উল্লেখ আছে যে, কোন শ্রমিক অর্জিত ছুটির জন্য দরখাস্ত করিলে যদি মালিক কোন কারণে উহা না— মঞ্জুর করেন তাহা হইলে উক্ত না— মঞ্জুরকৃত ছুটি সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের মূল অর্জিত ছুটির সাথে অতিরিক্ত পাওনা হিসাবে যুক্ত হবে। যেহেতু শ্রম আইনে এর প্রতিকারের বিধান আছে তাই তা কোনভাবেই ফৌজদারী অপরাধ নয়। শ্রম আইন অনুযায়ী তা প্রশাসনিক ও সিভিল মোকদ্দমার বিষয়।
উল্লেখ্য যে, গ্রামীণ টেলিকমে বাৎসরিক ছুটি নগদায়ন ১৯৯৭ সাল থেকে চালু করা আছে যা শ্রম আইনের চেয়ে অধিক। পরবর্তীতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের নির্দেশে ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ তারিখের বোর্ড সভায় শ্রম আইন মোতাবেক প্রদান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, যা ১লা জানুয়ারী ২০২১ থেকে কার্যকর করা হয়েছে। বিষয়টি গত ২৯/০৮/২০২১ তারিখে পত্রের মাধ্যমে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে জানিয়ে দেয়া হয়, অথচ এ বিষয়ে তারা ০৯/৯/২০২১ তারিখে মামলা করেছে।
অভিযোগ নং ০৩ : অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল শ্রম আইনের ২৩৪ ধারা অনুযায়ী গঠন করা হয় নাই :
অভিযোগে বলা হয়েছে যে, ধারা ২৩৪ অনুযায়ী শ্রমিক অংশ গ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয় নাই এবং নীট লভ্যাংশের ৫% উক্ত দুটি তহবিল এবং শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন ২০০৬ অনুযায়ী গঠিত তহবিলে নির্দিষ্ট হারে প্রদান করা হয়নি।
এক্ষেত্রে গ্রামীণ টেলিকমের বক্তব্য :
গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানী আইনের ২৮ ধারায় সৃষ্ট প্রতিষ্ঠান। এর লভ্যাংশ বিতরণযোগ্য নয় বিধায় নীট প্রফিটের ৫% WPPF প্রদান করার সুযোগ নেই। গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানী আইন ১৯৯৪ এর ২৮ ধারা অনুযায়ী নিবন্ধিত নট ফর প্রফিট কোম্পানী। কোম্পানী আইন অনুযায়ী এরলভ্যাংশ বিতরণযোগ্য নয়। অলাভজনক কোম্পানী হওয়ায় এর অর্জিত মুনাফা বিতরণ করা হয় না কারণ এর কোন শেয়ার হোল্ডারনেই।
উল্লেখ্য যে, গ্রামীণ টেলিকম সহ তাঁর সৃষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের কোন মালিকানা ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে নেই। প্রফেসর ইউনূস গ্রামীণটেলিকমের অবৈতনিক চেয়ারম্যান। এর থেকে তিনি কোন সম্মানী বা আর্থিক সুবিধা নেন না।
গ্রামীণ টেলিকমের নিজস্ব নীতিমালাল অনুমোদন সংক্রান্তেঃ
গ্রামীণ টেলিকমের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য নিজস্ব নীতিমালা আছে, যা অনুমোদনের জন্য ২০১৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক বরাবর পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু আবেদন বিষয়ে গ্রামীণ টেলিকমকে কোনো কিছু অবহিত করা হয়নি। এরপর ২০২১ সালের ২৫ আগস্ট পুনরায় গ্রামীণ টেলিকম নিয়োগের নীতিমালাসহ সংশ্লিষ্ট নীতিমালা অনুমোদনের জন্য মহাপরিদর্শক বরাবর পাঠানো হয়। কিন্তু এ বিষয়ে যথাযথ আদেশ দেওয়া হয়নি মর্মে গ্রামীণ টেলিকম থেকে বলা হয়।
দেওয়ানী মালনা না করে সরাসরি ফৌজদারি মামলা কেন?
শ্রম আইনের ২৩৪ ধারার বিধান লঙ্ঘিত হলে ২৩৬ ধারায় অনেকগুলো প্রতিকারের বিধান রেখেছে। যেগুলো দেওয়ানী প্রকৃতির। কিন্তু শ্রম আইনের ২৩৬ ধারার উপরোক্ত বিষয়গুলো উল্লেখ না করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর বিবাদীগণের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন সরাসরি। অর্থাৎ শ্রম আদালতের দেওয়ানী ও ফৌজদারি উভয় ধরনের বিচার করার এখতিয়ার রয়েছে। তবে, সাধারণত প্র্যাকটিস হলো আগে দেওয়ানী প্রতিকার চাওয়া এবং তাতে সমাধান না হলে ফৌজদারি এ্যাকশন।
মামলায় গ্রামীণ টেলিকম কেন আসামী নয়?
গ্রামীন টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীন টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও শাহজাহান এই চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হলেও মূল প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ টেলিকমকে আসামী করা হয় নি।এই বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি হলো, দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের আসামী করা হয়েছে বিধায় প্রতিষ্ঠানকে আসামী করা হয় নি।কারণ, দায়িত্বরতরা দায় এড়াতে পারেন না।
সর্বোচ্চ সাজা কেন?
আদালত রায়ে বলেন অভিযোগগুলো সন্দেহতাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় শ্রম আইনের ৩০৩(ঙ) ধারায় সর্বোচ্চ সাজা ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদন্প অপরদিকে ৩০৭ ধারায় সবোর্চ্চ সাজা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে ৩০ দিনের মধ্যে শ্রম আইন অনুযায়ী, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ীকরণসহ লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
জেলে যেতে হয় নি কেন?
আদালতে তাদের আইনজীবীরা আইনের বিধান মোতাবেক আপীলের শর্তে জামিন চাইলে আদালত ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করার শর্তে পাঁচ হাজার টাকার বন্ডে আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন। অর্থাৎ আগামী একমাসের মধ্যে তাদের শ্রম আপিলেট ট্রাইবুনালে আপিল করতে হবে।
বিচার ব্যক্তির নয় অপরাধেরঃ
আদালত রায়ে বলেন নিঃসন্দেহে প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস নোবেলজয়ী সম্মানিত ব্যক্তি। কিন্তু বিচার হলো অপরাধের, ব্যক্তির নয়!
- মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
অ্যাডভোকেট
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
০১৭৩৩৫৯৪২৭০ ( কল করার পূর্বে হোয়াটস্অ্যাপে ম্যাসেজ দিন)
লেখক- আইন বিষয়ক উপন্যাস 'নিরু" এবং 'অসমাপ্ত জবানবন্দী', মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস 'মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ' এবং 'একাত্তরের অবুঝ বালক' ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৫৮