বাংলাদেশে একটি খুনের অপরাধীকে যদি আইনসঙ্গতভাবে প্রকাশ্যে খুন করা হয় এবং দৃষ্টান্ত হিসেবে রাখা হয়, আর তার কারণে যদি বিশ টুকরা পচিশ টুকরা কিংবা ব্রিফকেসের ভিতরে লাশের ঘটনা শুন্যের কোটায় চলে আসে, তবে অমি অন্তত তেমন আইনকে স্যালুট জানাই, এবং অনেকেই জানাবেন।
সকল বিচারকের বড় বিচারক (আহকামুল হাকিমীন) আল্লাহ রব্বুল আলামীনের আইনকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্ল করা যাদের জীবনের লক্ষ্য, ইসলামকে হেয় প্রতিপন্ন করা যাদের শপথের দায়িত্ব, তারা বাদে বাকি সকলেই স্বীকার করবেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান অপরাধকে শুন্যের কোটায় নিয়ে আসতে সক্ষম। পৃথিবীর ইতিহাসে জিরো ভায়োলেন্স রেট যদি কখোনো কোন সমাজে থেকে থাকে তবে তা ইসলামী সমাজে। হযরত ওমর ফারুক রা. যখন প্রধান বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, এক পর্যায়ে খলিফা আবু বকর রা. এর কাছে ইস্তফা দিতে আসলেন এবং বললেন, "আমাকে এমন এক দায়্ত্বি দিয়েছেন যে আজ পর্যন্ত একটি মামলাকে পরিচালনা করতে হয়নি।" এমন অপরাধ মুক্ত সমাজের অন্যতম কারিগর ছিল দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান।
মহান আল্লাহ যে আইনে এবং বিধানে মানুষের কল্যাণ হয়, তেমন বিধানই মানবজাতির জন্য দিয়েছেন মহাপবিত্র আল কুরআনে। কিছু দুরাচার সবসময়ই আল্লাহর বিধানকে বিকৃত করে বা খণ্ডিতভাবে উপস্থাপন করে ইসলামী সমাজের বিরুদ্ধে বিষেদাগারের চেষ্টায় লিপ্ত ছিল। কিন্তু সমস্যা হলো, ওদের ষড়যন্ত্র কখোনোই সফল হবেনা।