সত্য কথা হচ্ছে, যা সকলেই জানেন এবং যা কারোরই অস্বীকার করার সুযোগ নেই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকাশ্য সমাবেশে তার কর্মীদের লগি বৈঠা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ার জন্য নির্দেশ দেন এবং সে মোতাবেক আওয়ামীলীগের কর্মী বাহিনী লগি বৈঠা নিয়ে ২০০৬ সালের ২৮শে অক্টোবর জামায়াত ও শিবির কর্মীদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে একের পর এক খুন করতে থাকে। সেই সামাবেশে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের রেকর্ড আজো আছে, তার কর্মীদের কর্মকাণ্ডের রেকর্ডও আজো আছে। এত দ্রুত কেউ যদি তা অস্বীকার করতে চায় তবে নিতান্তই বোকামী হবে। বাংলাদেশের মানুষ সহজেই ভুলে যায় সত্য, কিন্তু তাই বলে মাত্র তিন বছরের মাথায় ভুলে যায় না। অস্বীকার যারা করে, তাদের উচিত আরো কয়েকবছর পরে অসত্য মনগড়া তথ্যগুলো উপস্থাপন করা।
মানুষ খুন করতে "লগি বৈঠা" ব্যবহার করা যায় তা এদেশের মানুষ ২০০৬ সালের আগে জানতো না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমেই এদেশের মানুষ জানতে পারে এবং শিখে নেয় যে মানুষ খুনের জন্য একে ৪৭ ইত্যাদির সাথে সাথে আরো কিছু আদি অস্ত্র আছে আর তা হলো সেই প্রাচীন কালের লগি বৈঠা। সুতরাং ২৮শে অক্টোবরের হত্যাকাণ্ডের পেছনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অবদান অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। এখন বিচার আদৌ হবে কি না হবে সেটা রাজনীতির ব্যাপার। তাই বলে সত্য উল্টানোর চেষ্টা না করাই উচিত, আর করলেও আর কয়েকবছর পরে করা উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:৪০