ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মামলা করার কথা ভাবছে সচেতন মুসলমানরা।
১. শেখ হাসিনা ও তার দলের লোকজন শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক বলে আখ্যা দিয়ে থাকে। বিষয়টি সরাসরি কুরআনের সাথে সাংঘর্ষিক। কুরআনে পরিষ্কারভাবে মুসলমানদের জাতির পিতা হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে হযরত ইবরাহীম (আ.) কে।
২. সম্প্রতি এক পুরুষ বিদেশী কুটনীতিকের সাথে হ্যান্ডশেক করেছেন শেখ হাসিনা। কোন মুসলিম নারীর জন্য কোন অনাত্মীয় পুরুষের হাত স্পর্শ করা অবৈধ।
৩. শেখ হাসিনা ভারত গিয়ে পুরুষ্কার গ্রহণকালে কপালে সিদুর পড়েছিলেন। কোন মুসলিমের জন্য কোন ভিন্নধর্মীয় চিন্হ গ্রহণ করা স্পষ্টত নিষিদ্ধ।
৪. আওয়ামী লীগের এক মন্ত্রী সম্প্রতি বলেছিলেন, আল্লাহ যদি কোটি কোটি বছর পর বিচার করতে পারে, আমরা চল্লিশ বছর পর পারবোনা কেন? বিষয়টি আল্লাহর সাথে আওয়ামী লীগের তুলনা বলে মনে করছেন সচেতন ব্যক্তিগণ।
- সম্প্রতি মুসলামনদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মামলায় বিচারকগণ যে অভূতপূর্ব সাড়া দিয়েছেন তাতে বিচার বিভাগের ইসলামপ্রীতিতে ধর্মপ্রাণ দেশবাসী যারপর নাই উৎসাহিত। তারা মনে করছেন বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের ধর্মীয় অধিকার রক্ষায় জেগে উঠেছে। এজন্য যথাযথ বিচার পাবে এই আশায় শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতের অভিযোগে মামলা করার বিষয়টি ধর্মপ্রাণ দেশবাসীর একটি অংশ সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছেন বলে জানা গেছে।