সেনা নিয়োগ হলেই পরাজয় নেমে আসে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন থেকে আওয়ামী লীগ আরেকবার শিক্ষা পেল। ভোলার নির্বাচনে সেনা ছিলনা। পেশির জোড়ে কেন্দ্র দখল করে বিরোধীদের হাত পা ভেঙ্গে সেখানে বিজয় নিশ্চিত করেছিল আওয়ামীলীগ। মেজর হাফিজের বাসা হয়েছিল মোবাইল হাসপাতাল। সে নির্বাচন ইসির নিরপেক্ষতায় চূড়ান্তভাবে কালি লেপন করে দিয়েছিল। পিঠ বাঁচাতে এবার তাই সেনা নিয়োগ করা হয়েছিল। ফলাফল হাতে নাতে।
দুর্বোধ্য কারণে আওয়ামী লীগ সব সময় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিরোধীতা করে এসেছে। অবশ্য কারণটা সকলেই জানে। এবার অনেকটা আত্মবিশ্বাসী হয়ে এবং নির্বাচন কমিশনের ভাব মর্যাদার চূড়ান্ত পতন ঠেকাতে সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ কিছুটা নমনীয় ছিল। কিন্তু যা বোঝার তা বুঝে গেছে আওয়ামী লীগ। এ জাতিকে সোজা করে নৌকার দিকে নিয়ে যেতে হাত পা ভাঙ্গার যে বিকল্প নেই তার প্রমাণ এ নির্বাচনের মাধ্যমে তারা আরেকবার পেয়ে গেল। সুতরাং ন্যাড়া দ্বিতীয়বার যেমন বেল তলায় যায়না, আ.লীগও আর ভুল করবেনা বলাই বাহুল্য। অতীতের মত আগামী নির্বাচনেও সেনা নিয়োগের চরম বিরোধীতাই যে তাদের করতে হবে, সে বুঝ তাদের ভালো মতই হয়েছে। সুতরাং এই নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য অতীতের মত ভবিষ্যতেও দূর্বোধ্য কারণে নির্বাচনে সেনা নিয়োগের চরম বিরোধীতার নীতিতে অটল থাকতে বাধ্য করবে। দ্বিতীয়বার এ ভুল করতে আওয়ামীলীগের মত ট্যালেন্ট দল আর রাজি হবেনা, এটি নিশ্চিত।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৫:১৪