ঢালিউডের নায়িকা কেয়া দাবি করেছেন, ষড়যন্ত্র করেই তাকে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। নতুন করে ক্যারিয়ার চাঙ্গা করতে ব্যস্ত হয়ে উঠায় তাকে নাটকীয়ভাবে ফাঁদে ফেলা হয় এবং মিথ্যে অপবাদ দিয়ে হয়রানি করা হয়।
সম্প্রতি গ্লামারাস নায়িকা ও মডেল কেয়াকে রাজধানীর গুলশান নিকেতনের একটি বাড়ি থেকে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে আটক করে পুলিশ। তার সঙ্গে একই অভিযোগে আটক করা হয় আরো সাতজন নারীকে। পরে কেয়াসহ গ্রেফতারকৃতদের আদালতে চালান দেওয়া হয়। ঢাকা মহানগর হাকিম কামরুন্নাহার রুমীর আদালতে তাদের জনপ্রতি ৫০০টাকা জরিমানা করে মুক্তি দেওয়া হয়। নায়িকা কেয়ার গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম প্রথম প্রকাশ করে।
এই অনভিপ্রেত ঘটনাটি সম্পর্কে নিজের বক্তব্য জানানো জন্য নায়িকা কেয়া এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ক্যারিয়ার শুরুর প্রথম থেকেই আমি ষড়যন্ত্রে শিকার হয়েছি। একটি মহল দীর্ঘদিন ধরে আমার ক্যারিয়ার ও জীবন ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। যখনই আমি আমার ক্যারিয়ারকে চাঙা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি ঠিক তখনই একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে পড়ে। নানান রকম মিথ্যা, বানোয়াট মনগড়া কথা লিখে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা অফিসে দিয়ে আসে। আমার ছবির প্রযোজক-পরিচালকদের কাছে পাঠায় যাতে করে তারা আমাকে তাদের ছবি থেকে বাদ দিয়ে দেয়। কিন্তু তাদের ওই সব ষড়যন্ত্র প্রযোজক পরিচালকেরা কখনওই বিশ্বাস করেননি। আমার বিশ্বাস সে দিনের সেই ঘটনা ওই ষড়যন্ত্রেরই বহিঃপ্রকাশ। সংবাদ সম্মেলনে কেয়ার আবিষ্কারক বাণিজ্যিক সফল ছবির পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবর, প্রযোজক-পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার ও কেয়ার মা সুফিয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।
পুরো ঘটনাটি সম্পর্কে নায়িকা কেয়া বাংলানিউজকে বলেন, ষড়যন্ত্র করে নাটকীয়ভাবে আমাকে ফাঁদে ফেলা হয়েছিল। একজন প্রযোজকের নাম বলে প্রথমে আমার মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরে আমাকে জানানো হয়, বিগ বাজেটে লন্ডনে নির্মিতব্য আন্তর্জাতিক মানের একটি ছবিতে আমাকে নায়িকা হিসেবে তারা সিলেক্ট করেছে। আমাকে বলা হয়, প্রডিউসারের অফিসে এসে ছবির স্ক্রিপ্ট শুনে যাওয়ার জন্য। স্ক্রিপ্ট আর ক্যারেকটার পছন্দ হলে সেদিনই আমাকে চুক্তিবদ্ধ করা হবে এবং সাইনিং মানে দেওয়া হবে।
কেয়া আরো বলেন, আমি একজন শিল্পী হিসেবে আমার মাকে নিয়ে সরল বিশ্বাসে নিকেতনের অফিসে যাই। কিন্তু সেখানে কোনো প্রযোজক ছিলেন। তারপর অপ্রত্যাশিতভাবে নাটকীয় সব ঘটনা ঘটতে থাকে। এই ঘটনাগুলো পরিকল্পিতভাবে সবাইকে জানানো হয়। আমি ও আমার মা ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে পড়ি। বিষয়টি থানা এবং আদালত পর্যন্ত গড়ায়। আমি শপথ করে বলতে চাই, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ বানোয়াট, মিথ্যা ও সাজানো।
প্রযোজককে খুঁজে পাইনি। তার পরের ঘটনা তো আপনারা জানেন। বিষয়টি থানা এবং আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। কেয়া বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা।
ফাঁদে পড়ে আটক হওয়া প্রসঙ্গে কেয়া সবশেষে বলেন, ক্যারিয়ারের প্রতি আমি এখন অনেক বেশি যতœবান। তাই ভালো একটি কাজের কথা বলায় কিছু না ভেবেই আমি অচেনা প্রযোজকের সঙ্গে দেখা করতে যাই। টের পাইনি যে এটি একটি সাজানো ষড়যন্ত্র। ভবিষ্যতে আমি এসব বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবো। কিশোরী বয়স থেকেই আমি চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি বিজ্ঞাপন চিত্রের মডেল হিসেবেও সবার ভালবাসা পেয়েছি। আমি সবার ভালবাসা নিয়েই পথ চলতে চাই।
কেয়া ষড়যন্ত্রের স্বীকার: কেয়াকে আমি খুব ভাল পাই, এর পর এমন ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে!
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
১২টি মন্তব্য ৬টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।