somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দ্বিচারিণী একজন......[শেষ পর্ব]

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কিন্তু আমি কি আসলেই বেঁচে যেতে পেরেছিলাম??


বাঁচতে পারা শব্দটা মনে হতেই আমার ঠোটে এক চিলতে কষ্টের হাসি ছলকে উঠল। কাছটা একটু যেন শক্তও হয়ে গেলো।
আমি কাত করে শাওয়ারের নিচে ঘাড় পেতে দিলাম। নেমে আসা গরম পানির ধারায় এবার আর খুব একটা কাজ হলো না। হিমশীতল স্মৃতির পুরনো অনুভবে আমার পুরো শরীর কেঁপে কেঁপে উঠল। মনে পড়লো
এই দেশে প্রথম নিজের থাকার যায়গাটা দেখে, পড়ার ইউনিটা দেখে মন ভরে উঠেছিলো। মনে হয়েছিলো আমি পারবো।
তোমাকে, নিজের পেছনকে ভুলে যেতে না পারলেও আবার আমি নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত হতে পারবো।

সারাদিন ক্লাস, ল্যাব করতাম আর সন্ধ্যায় ইউনির পাশেই হোস্টেলের ছোট্ট নিজের ঘরটায় এসে বসে থাকতাম। ভাবতাম তোমাকে, পেছনের দিনগুলোকে, ভাবতাম বাড়ির সবাই এখন কী করেছে?
কত সম্ভব অসম্ভব ভাবনাই যে ভিড় করত আমার মনে সেই সময়। আর চোখ বেয়ে অঝরে ঝরেই যেত। কাঁদতেই থাকতাম আমি। কাঁদতে কাঁদতে এক সময় বিছানার এক কোনায় গুটিসুটি হয়ে ঘুমিয়ে পরতাম নিজের অজান্তেই।
পরদিন আবার সেই একই নিয়ম। এভাবেই চলছিলো।
কিন্তু সপ্তাহ দু এক এর মাথায় আমার মনে হলো পড়াশুনার জন্যে না হলেও নিজের বেঁচে থাকার জন্যে একটা কাজ দরকার আমার। শুরু হলো কাজ খোঁজা।
প্রচণ্ড শীতের মধ্যে আশেপাশের প্রতিটি দোকানে গিয়ে বলা তাদের লোক লাগবে কিনা?
পরের পাক্কা দুটো মাসের প্রতিটি ফাঁকা সময় আমার গেছে দোকানগুলোর দরজায় দরজায়। কিছুই হলো না।
হতাশ আমি এক বিকেলে স্প্রী নদীর কাছটায় বসে ছিলাম। ভাবছিলাম কি করব? কান্নায় ভরে ওঠা ঝাপসা চোখে খেয়াল করলাম দূরে নদীর একদম ধাঁর ঘেঁসে একটা রেস্টুরেন্টে বেশ ভিড়।
মনে হলো খুব নামকরা রেস্টুরেন্ট বোধহয়।
এগিয়ে গেলাম, আরও একবার না হয় চেষ্টা করে দেখি। ভেতরে যাওয়ার পর একজন ওয়াটের এসে জিজ্ঞেস করাতে বললাম ওদের মালিকের সাথে কথা বলতে চাই। কিছুক্ষণ পর মালিক ভদ্রলোক এলেন এবং নিজের দেশের লোক হিসেবে সাথে সাথে আমাকে কাজেও নিয়ে নিলেন।
আর সেই মালিক ভদ্রলোকই এখন আমার বর।

ধীরে সময় চলছিলো এভাবেই। আমার ছিল ক্লাস আর কাজ। নিজের ভেতরেই নিজে গুটিয়ে থাকতাম। ততদিনেও নিজের ইউনিতে একজন বন্ধুও হয়নি তাই। নিজের হোস্টেলেও কারও সাথে কথাই বলতে চাইতাম না খুব একটা। সখ্যতার তো প্রশ্নই ওঠে না।
তবুও লুকোতে পারলাম না। রেস্টুরেন্টের মালিকের চোখে পরে গেলাম। প্রথম প্রথম ভদ্রলোক সবকিছু শিখতে বেশ সাহায্যই করেছিলেন। কিন্তু একসময় ঠিকই টের পেয়ে গেলেন আমার অসহায়ত্ব।

একদিন একটা প্রাইভেট পার্টিতে খাবার আর পানীয় ডেলিভারি দিয়ে ওনার গাড়িতে ফিরছিলাম। হঠাৎ মাঝ রাস্তায় উনি গাড়ি থামিয়ে দিলেন। বলতে শুরু করলেন, বিদেশ বিভূঁইয়ে একা মেয়ে মনুষের যে কত যন্ত্রণা তাতো বুঝাই যায়। তোমার কষ্টও বুঝি। তবে তোমার ভাগ্য ভালো যে তুমি আমার এখানে এসে পরেছ। এখন তুমি যদি চাও.....
বলতে বলতে উনি আমার উরুতে হাত রাখলেন।
বিস্ময়ে ভয়ে ক্ষোভে যেন পাথর হয়ে গিয়েছিলাম তখন। লোকটার আঙ্গুলগুলো ঠিক যেন সাপের মতই কিলবিল করছিলো আমার পায়ের উপর। ঘৃণায় মুখ কুচকে উঠল আমার। আমি এক ঝটকায় হাতটা সরিয়ে দিয়ে ওনাকে আর কোনও কথা বলার সুযোগ না দিয়ে গাড়ি থেকে নেমে গেলাম। কয়েক মূহুর্তের একটা ঘটনা কিন্তু আমার মনে হচ্ছিলো যেন আমি কয়েক যুগ ধরে ওভাবেই গাড়িতে বসে ছিলাম। আমি ভুলে গেলাম কণকণে ঠাণ্ডা কিংবা মধ্যরাতের কথা। আমি হাটতেই থাকলাম। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় আমার দুচোখও জমে গিয়েছিলো যেন। কাঁদতে পারছিলাম না আমি। তবু আমি হেটে চললাম ধোঁয়াটে আধারের রাতের পথে। কানের দু-পাশ দিয়ে শোঁ শোঁ আওয়াজে হিম বাতাস তার জানান দিয়ে যাচ্ছিলো। প্রচণ্ড শীতে আমার নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিলো। বারবার আমি দোষ দিচ্ছিলাম তোমাকে। কেন তুমি নেই। কেন নেই?
কেন চলে গেলে এভাবে...........।
কেন আমাকে রেখে চলে গেলে তুমি?
কেন আজ ঐ লোকটি থেকে বাঁচাতে পারলে না আমাকে? সে রাতে হোস্টেলে ফিরে নিজের বিছানায় থম ধরে আমি বসে ছিলাম সারাটি রাত।

পুরো রাস্তা হেটে হোস্টেলে ফেরায় পরদিন ঠাণ্ডা লেগে আমার নিউমোনিয়া হয়ে গেলো। ওদিকে কদিন পরই আমার ফাইনাল টার্ম পরীক্ষা। কিন্তু আমি পরে রইলাম হাসপাতালে। কেউ নেই সাথে। না বন্ধু, না কোন আত্মীয়, না পরিচিত কেউ। যদিও এদের চিকিৎসা ব্যবস্থা এতই ভালো যে রোগীর সাথে কেউ না থাকলেও কোনও ক্ষতি নেই। কখনো সজ্ঞানে কখনোবা জ্ঞানহীন পরে রইলাম আমি।
একসময় বোধ ফিরে আসার পর খুব অবাক হয়ে দেখলাম সেই রেস্টুরেন্টের মালিক আমার কাগজপত্র নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছেন খুব। সে নিজে থেকেই আমার অসুস্থতার কাগজ আমার স্কুলে জমা দিয়ে এলো পরীক্ষা না দেয়ার কারণ হিসেবে। তাছাড়াও আমার পরিচর্যা থেকে শুরু করে নিয়মিত আমাকে দেখতে আসা সবই সে করল দায়িত্বপূর্ণ ভাবেই। অদ্ভুত ব্যাপার হলো সে কদিন হাসপাতালে তাকে দেখে একবারও মনে হয়নি এই লোকই সেই রাতের লোভী লোকটি। তার আচরণে একবারের জন্যেও প্রকাশ পায়নি যে সে কোন লাভের আশায় বা কোন বাজে চিন্তা করে আমাকে সাহায্য করছে।
আমি আজও অবাক হই। নিজেকে বারবার প্রশ্ন করেও কোনও উত্তর পাই না আমি। যার প্রতি আমার এতটুকু শ্রদ্ধা ছিল না, ছিল না একটুও আগ্রহ বা মায়া। শুধু একটা নিঃস্পৃহ অনুভূতি ছিল যেই লোকটির প্রতি তাকে সেই সময় আমি বিয়ে করেছিলাম।
কেন এমনটা করেছিলাম তখন? কি ভেবেছিলাম সেই সময়, একা পেরে উঠবো না এই রুক্ষ দেশে। নাকি একটা নিশ্চিন্ত জীবন চেয়েছিলাম। কি করে এতটা স্বার্থপর হয়েছিলাম আমি নিজের সাথে। কিভাবে এতটা নিচে নেমেছিলাম শুধু একটু নিশ্চিন্ত নির্ভরতার আশায়। কি করে আমি ভুলে গিয়েছিলাম যে তুমি চলে যাবার পরও দেশের বীভৎস অবস্থা থেকে নিজেকে বের করে নিয়ে এসেছিলাম আমি একাই।
দেশে থেকে যাওয়াটাও কি তাহলে এর চেয়ে অনেক সহজ হোতো না? আমি জানি তুমি ঘৃণা কর। আমাকে তুমি ঘৃণা ছারা অন্যকিছুর পাওনাদার মনে কর না তা আমি ভেতরে ভেতরে বুঝি।

কখন যে মার্বেলের মেঝেতে বসে পরেছি বুঝতেও পারিনি। হাঁটুতে মুখ গুজে থাকতে থাকতে নিঃশ্বাস আটকে আসায় বোধ হলো। আমার চারপাশে শুধু ধোঁয়া। ছোট্ট শাওয়ার রুমটায় গরম পানির পাক পাক ধোঁয়া জমাট বেঁধে আছে। তার মাঝে আমি দুই হাঁটুতে মুখ গুজে ভেবেই যাচ্ছি। আর আমার খোলা পিঠে গরম পানির স্রোত তার অদৃশ্য মায়ার হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
আমি ভাগ্যহীনা। এই মায়ার আশা করার মত সাহসী আর হওয়া উচিত না আমার।
আমি দীর্ঘশ্বাস ফেলে উঠে দাঁড়ালাম। নব ঘুড়িয়ে থামিয়ে দিলাম পানির স্রোতের উষ্ণ আদরটুকুও। একটা বাথ রোব গায়ে জড়িয়ে বের হয়ে এলাম বাথরুম থেকে। ছবির মত একটা বাসা আমার। যেখানে যতটুকুন আসবাবের দরকার ঠিক ততটুকুনই আছে। আবার প্রয়োজনীয় আরামটুকুর প্রতিও পুরোপুরি খেয়াল রাখা হয়েছে বাড়ির প্রতিটি কোণে। এতটাই টিপটপ এই বাড়ি যে এখানে কিছুতেই নিজেকে আপন মনে হয় না আমার। এতগুলো বছর থেকেও এ বাড়িতে আমার নিজেকে যেন অচেনাই ঠেকে।

ড্রেসিং কেবিনেটের সামনে চামড়ায় মোড়ানো টুলটায় এসে বসলাম। তাকালাম আয়নায়। নিজেকে দেখি, দেখি নিজের ভেতরটা। আয়নার ভেতর দিয়ে নিজেকে দেখতে দেখতে পেছনের বিছানাটায় চোখ চলে গেলো। এই বিছানা আমার কাছে খুব ভয়ের একটা যায়গা। এই বিছানাতে কেটেছে আমার অগণিত নির্ঘুম রাত। যখন সারাদিনের ভীষণ কাজের পর আমার বর সুখি একটা ঘুম দিতেন, পাশেই আমি কাঠের টুকরোর মত পরে থাকতাম ঘুমহীন।
নড়তেও ভয় হতো। মনে হতো নড়লেই উনি জেগে উঠবেন। যদি ওনার জেগে উঠেই আমার স্বাদ নিতে ইচ্ছে হয়। যদি বলে ওঠেন এদিকে ফেরো তো একটু?
ঘুমের ঘোরে ওনার হাত আমার উপর পরলেও কেঁপে উঠতাম আমি।

আয়না থেকে চোখ সরিয়ে নিলাম বিতৃষ্ণায়।
ভালো লাগছে না। কিছুই ভালো লাগছে না আমার। আর কতদিন এই বন্দি গুমট জীবন কাটাবো আমি। এমন একটা জীবন যেখানে আমি আছি কিন্তু বেঁচে থাকা ছাড়া এই জীবনের আর কোন অর্থ নেই। একজন লোকের বউ হয়ে আছি যে মাঝে মাঝে মাঝরাতে জেগে গেলে আমার শরীর ছাড়া আর কিছুই আশা করেন না আমার কাছ থেকে। না, তার প্রতি আমার কোন অভিযোগ নেই।
তিনি আমাকে কিছু দিতে কার্পণ্য করেন নি কখনোই। একজন মানুষ বেঁচে থাকতে যা যা চাইতে পারে তার চেয়ে অনেক বেশি কিছুই দিয়েছেন তিনি আমাকে। দিতে পারেন নি শুধু একটি সংসার।

ওনার সংসার উনি রেখেছেন আমার থেকে বহুদূরে, ধরা ছোঁয়ারও বাইরে। তবে কি আমি তার কাছে একটা সংসার আশা করি। না তাও তো না। নইলে কেন আমি পাগল হয়ে গেলাম যখন বুঝতে পারলাম আমার ভেতরে অন্য প্রাণের অস্তিত্ব। কেন নিজের প্রতি হিংস্র হয়ে উঠলাম আমি? পৃথিবীতে সঞ্চার হতে দিলাম না আরেকটি প্রাণের। তাহলে কী চাই? কেন এই বেঁচে থাকা.....

আকাশে সুন্দর একটা চাঁদ উঠেছে আজ। পূর্ণ চাঁদ।
ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘগুলোর ভেতর দিয়েও সে তার দ্যুতি ছড়িয়ে দিচ্ছে।অদ্ভুত মায়াবী জ্যোৎস্নার আলো। এমন রাতে তুমি আমায় ফোন করতে। বলতে বিয়ের পর এমন রাত গুলোয় আমরা ঘুমবো না। গল্প করব। ছাদে গিয়ে এক চাদরের নিচে বসে পূর্ণিমার কবিতা পড়ব আমরা রাতভর।
বিয়ে হয়েছিলো আমাদের। কিন্তু এমন রাত আসেনি। আসতে পারেনি।

এমন কোনও রাত আর কোনদিন আসবে না আমাদের। তবে কেন আমি জেগে আছি। কিসের আশায় আছি আমি?

কি চাই নিজের জীবন থেকে.....
আর কি চাই? আর কি পাওয়ার আছে আমার। তুমি নেই। নিজের পরিবারের কারও সাথেই আর কখনো যোগাযোগ হয়নি আমার। সবসময় একটা অভিমান কাজ করে। হয়তো এই অভিমানেরও কোনও মূল্যও নেই। হয়তো কোন মানে হয়না। তবুও পারিনি আমি.....
তারাতো হয়ত জানেও না আমি বেঁচে আছি কিনা আদৌ। পড়তে চেয়েছিলাম। মাস্টার্স শেষ। কদিন পর পি এইচ ডি শেষ করব।
তারপর। তারপর আর কি??

আমি ঘুমিয়ে গেলে........ আমি ছাড়া একটা নতুন ভোরে কি খুব বেশি কষ্ট হবে আমার বরের। হয়ত তিনি পাকাপাকি ভাবে ফিরে যাবেন সংসারে কিংবা আরেকটা আমি...
হোকনা তাতেই বা আমার কি?
আমি ঘুমিয়ে গেলে ওপারের জীবনে তোমায় কি খুঁজে পাবনা একবার?
তোমার সামনে গিয়ে দাঁড়ালে কি তুমি ফিরিয়ে দেবে আমায় অন্যের বউ বলে? না তুমি ফিরিয়ে দেবে না, দিতে পারোনা তুমি।
আমি কি এখনো তোমার নই। আমি কি এক মূহুর্তের জন্যেও অন্য কারও হয়েছিলাম?

কেউ ফিসফিস করে উত্তর করলো, তোমার ভেতরে তাকিয়ে দেখতও ওনার জন্যে কি তোমার ভেতরে কোনও যায়গাই নেই?
আমি দেখলাম আমার সামনেই আমি যেন দুটো ভাগ হয়ে গেলাম। আমি চিৎকার করে উঠতে চাইলাম।

দুটো বছর একসাথে থাকার পরও কই আমি তো কখনো বুঝতে পারিনি তার প্রতি আমার ভেতরের কোথাও কোন অনুভূতি তৈরি হয়েছে। আমার ভাবনায় দুই সত্তা আমার দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসতে থাকলো।

আমার কেমন যেন অসহায় মনে হচ্ছে নিজেকে।

আমি ধীরে কেবিনেটের ড্রয়ারটা খুললাম।
তিনটে ডক্সিলামাইনের কৌটো পরপর রাখা। আমি একবার আকাশের দিকে তাকালাম। ভাবলাম এমন ভরা চাঁদের রাতেও কি আমার এবারের পথ বন্ধুর হবে?
কৌটো গুলকে বিছানায় রেখে মনে হোলো একটা সিডি খুঁজতে হবে। সিডিটা খুঁজে পেয়ে প্লেয়ারে রবীঠাকুর চালিয়ে দিয়ে বসলাম বিছানায়। সাইড টেবিলে রাখা পানির গ্লাসটা হাতে নিয়ে চুপচাপ কিছুক্ষণ বসে থাকলাম।

তারপর অনেকটা সময় পরে, একসময় হাতে রাখা ওষুধের কৌটাগুলো কেবিনেটের ড্রয়ারে ফের রেখে দিয়ে গ্লাসটা আবার নামিয়ে রাখলাম টেবিলে।
পাড়লাম না আমি জীবনটাকে ছুড়ে ফেলে দিতে.....

দীর্ঘশ্বাস ফেলে বাতি নিভিয়ে শুয়ে পরলাম।
আলোর বন্যায় ভেসে যাচ্ছে আমার ঘর। আমার সব বোধগুলো কি ফিকে হয়ে আসছে। নাকি ঘুম পাচ্ছে আমার?

একটু ঘুমোতে চাই আমি। শান্তির একটা ঘুম।
আমি ধীরে চোখ বুজলাম।

প্লেয়ারে গায়িকা তার দরদ মাখা গলায় গাইতেই থাকলো.......

যাব না গো, যাবো না যে,
রইনু পরে ঘরের মাঝে,
এই নিরালায়
রবো আপন কোনে
যাব না এই মাতাল সমীরণে
আজ জোছনা রাতে সবাই গেছে বনে.............।।









সমাপ্ত...

















সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৩
৫১টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×