আগামী কাল ছুটির দিন।
দিনটিকে কিভাবে উপভোগ করা যায় তা নিয়ে আমার বন্ধু সাথে আলাপ করলাম।
আমার পক্ষ থেকে প্রস্তাব করলাম চল আগামীকাল লন্স ভ্রমণ করে আসি।
পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে দুই বন্ধু মিলে
রওয়ানা হলাম সদরঘাট এর উদ্দেশ্যে।
সদরঘাট পৌঁছে কাউন্টার থেকে টার্মিনাল এর প্রবেশ টিকেট নিয়ে ঢুকে পড়লাম।
বরিশালগামী একটি লন্সে উঠে পড়লাম।
প্রায় ১৫ মিনিট পর লন্সটি বরিশালের উদ্দেশ্যে ছাড়ল।
ছোট ছোট ঢেউ তুলে মাঝে মাঝে হুশেইল বাজিয়ে এগিয়ে চল্ল।
মাঝে মাঝে বিপরীত দিক থেকে আসা লন্সটিকে পাসকাটিয়ে এগিয়ে চলছে আমাদের লন্সটি।
কিছুক্ষন পর লন্সের ছাদে গিয়ে দাড়ালাম।
নদীর বুক চিরে শহরের কোলাহল পিছনে ফেলে নিরব গতি নিয়ে এগিয়ে চলছে সামনের দিকে। ঝির ঝির বাতাস নদীর দুইপারের মনোরম সৌন্দর্য সেই এক অন্যরকম অনুভূতি।
প্রায় ২ ঘন্টা ৩০মিঃ চলার পর লন্সটি কাঠপট্রি নামক ঘাটে এস ভিড়ল আমরা সেখানে নেমে পড়লাম।
সেই জয়গায় কিছুক্ষণ থেকে স্থানীয় বাজারের হোটেল থেকে দুপরের খাবার সেরে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার জন্য ঘাটে এসে পৌঁছলাম।
তখন বিকাল ৩টা
কিছুক্ষণ পর একটি লন্স এসে ঘাটে ভিড়ল আমরা তাড়াতাড়ি লন্সটিতে উঠে পড়লাম।
এর সাথে সাথে আরও একটি লন্স এসে ভিড়ল।
এবং লন্সটি ঘাটে ভিড়ার অল্প কিছুক্ষণ হুইসেল বাজিয়ে ছাড়তে শুরু করল আমর বন্ধুটি বলল মনেহয় এই লন্সটি আগে ঢাকায় যাবে।
আমিও তার কথায় সায় দিয়ে কাউকে কোন কিছু জিজ্ঞেস না করে তাড়াতাড়ি অপর লন্সটি উঠে পড়লাম।
লন্সটি চলতে শুরু করল। লন্সটি চলার কিছুক্ষণ পর বুঝতে পারলাম সেইটি ঢাকার বিপরীত দিকে ছুটে চল্ল।
হায় ! এখন কি করব ?
তাড়াতাড়ি লন্সের সারেং কে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম লন্স কেথায় যাবে ?
তিনি বললেন চাঁদপুর ।
তাকে আমাদের সমস্যার কথা খুলে বললাম।
তিনি বললেন সামনে একটি ঘাট আসে সেখানে নেমে পড়বেন
এবং ফিরতি লন্সে ঢাকায় ফিরে যাবেন।
প্রায় ৩০মিঃ চলার পর আমাদের সেই ঘাটে নামিয়ে দেন
কিন্তু ঢাকাগামী কোন লন্স ঘাটে আর ভিড়েনা।
পরে ছোট ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে মাঝ নদীতে এসে ঢাকাগামী একটি লন্সে উঠে সন্ধার অনেক পরে ঢাকায় পৌঁছাই
সেই দিনটির কথা মনে হলে আমাদের বোকামীর জন্য এখনও হাসি পায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:৪৬