somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

৩৬ নাম্বারের জানালায়-বিকেল (ছোটগল্প)

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



শূন্য
মিরপুর রোডে জ্যাম। একটু একটু করে ঝরে পড়ে বিকেল; রাস্তায় কচ্ছপের কামড়, আটকে থাকে একটা ৩৬ নাম্বার বাস। বালিকাদের মত করে কুতকুত খেলতে খেলতে দু-চার দশ মিটার যাবার পর লাজ ফার্মার ঠিক উল্টোপাশের রাস্তার ফোঁড়া হয়ে ফুলে থাকা ডাস্টবিন এর পাশে বাসটা আবার আটকে যায় এবং নির্ঝরের সহযাত্রীগণ নাকে রুমাল কিংবা আঙ্গুল চাপা দিয়ে আস্তাকুঁড়ের প্রতি নগ্ন বিত্রিষ্ণা প্রদর্শন করা শুরু করে। ঠিক এই সময়ে বাস থেকে গলাটা বের করে একদলা থুতুকে জিহবা দিয়ে দশাসই একটা ধাক্কা দিয়ে সর্বাধিক দূরত্বে পাঠায় নির্ঝর। ৩৬ নাম্বারের ছায়ায় শেষদুপুরের রোদটা যেখানে মুমূর্ষু, সেই ছাইরঙ্গা পিচের মাঝে সেঁধিয়ে যাওয়া থুতুর দলাটা ক্লাস নাইন-টেন এ থাকতে বহুবার আঁকা এমিবা এর মত একটা কিম্ভূতকিমাকার অবয়ব ধারণ করলে নির্ঝরের ঠোঁটটা একটু বেঁকে যায় এবং নির্ঝর তার কিঞ্চিত বিবমিষার কারণ খুঁজতে থাকে। অন্যমনস্কতায় দ্যাখে-সানগ্লাস চোখে, পেশিবহুল একটা যুবক ভারী একটা মোটরসাইকেলের অজগর শরীর নিয়ে এঁকেবেকে চলছে। পথিমধ্যে সেই যানের টায়ারের সাথে চুইংগামের মতন লেপ্টে যায় নির্ঝরের থু। যুবকের পিছে পা ফাঁক করে বিচ্ছিরিরকমভাবে দৃষ্টিচুম্বক দুটো নিতম্ব পরস্পরকে বিকর্ষণ এবং নির্ঝরের উষ্ণ চোখদুটোকে আকর্ষণ করলে তার মাঝে ঘাপটি মেরে থাকা গুহামানব করোটির মাঝে চিৎকার দিয়ে ওঠে – “যা শালা, শুয়োরের জাত, আমার থু নিয়া যা’... নির্ঝর দ্যাখে-মেয়েটার বুক লেপ্টে আছে ছেলেটার পিঠে। এক অকারণ নিশ্চয়তায় পৌছায় নির্ঝর-এই তেল পোড়ানো এবং পিঠে সুডৌল বুকের আছড়ে পড়ার মাঝে একটা বাণিজ্য বিদ্যমান। মনে পড়ে যায়, বছর দুই-তিন আগে কলেজে পড়ার শেষ দিকে টিনএজটাকে কিছুটা বাংলা মদ আর গাঁজার মাঝে ডুবিয়ে কিংবা উড়িয়ে দেবার সময় অপেক্ষাকৃত উঁচুক্লাসের বড়লোকের ছেলে, দু-চারটে বেশি বই পড়া রিয়াসাত তার গবেষণালব্ধ ফলাফল দিয়েছিল- বুঝলি, মেয়েদের দুধের বোঁটার নিচে একটা পয়সা থাকে, বৃন্ত। বয়স বাড়ার সাথে কয়েনের সাইজ বড় হতে থাকে। প্রথমে ধর, পঞ্চাশ পয়সার মত ছোট, তারপর আস্তে আস্তে এক,দুই করে পাঁচ টাকার পয়সার মত। আর আসিফ ছিল রিয়াসাতের একটা রাইভাল। আড়ালে গিয়ে নির্ঝরকে বলেছিল- ঐ শালা রিয়াসাত খালি ভাব চুদায়। বোকচোদ, তুমি তোমার ল্যাওড়া হাতে নিয়া বুঝতে পারো না, ডলা ক্যাম্নে দিবা আর তুমি জাইনা ফালাইসো মায়াদের দুধের ভূগোল !!

এই এখন, ৩৬ নাম্বারের শার্সিতে উদাসিন দার্শনিকতা মাখানো চোখটাকে লেপ্টে রেখে নির্ঝরের মনে হয়-বৃন্ত সংক্রান্ত রিয়াসাতের উপপাদ্য হয়তো ভুল না, কারণ নির্ঝর রিয়াসাতের অন্যান্য কথাগুলি চিন্তা করতে গেলে খেয়াল করে- রিয়াসাত ভুল কিছু বলে নাই। সেই যে সেই রাতেই অফ-হোয়াইট জোসনায় রিয়াসাত ভাসিয়ে দিয়েছিল স্বগতোক্তি কিংবা অনুসিদ্ধান্ত, ক্ষুধা আর কাম দুনিয়ার সবচাইতে পিওর আবেগ এবং তারা নিজেদের মাঝে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। তখন গা না করলেও এই এখন মনে হচ্ছে- কথাটা শতভাগ সত্য। কারণ, এই যে জ্যামটা সামনের দিকে একটু এগিয়ে গেলে, মাথাটা বাম দিকে কাত করে একটু উঁচু করলে রাস্তার পাশে একটা বিলবোর্ড দেখতে পায় নির্ঝর। উঠতি কোন ফ্যাশনহাউজের। সেখানে লাস্যময়ী তরুণী, ঢাকার গড় তরুণীদের চেয়ে খুব ভালোমতই স্বল্পবসনা। নির্ঝর ধুরন্ধর খলনায়ক হাসি দেয় একটা- রোমহীন পা; কিন্তু তুমি জানো না বালিকা, ঐ রোমকূপের মাঝে কত পাপ।
তো এই বিলবোর্ডের মাঝে মূর্তি হয়ে থাকা নারীর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর নির্ঝরের জিভে জল চলে আসে। আরে কী আশ্চর্য, এ তো কোন খাদ্যদ্রব্য না, তাহলে জিভে জল আসে কেনো ? ঐ যে রিয়াসাত বলেছিল- ক্ষুধা আর কাম। শিশ্ন খেতে চায়। তৎক্ষনাত মনে পড়ে, এই ‘শিশ্ন খেতে চায়’ বাক্যটা নির্ঝর কোন একটা মডার্ণ কবির কবিতায় পেয়েছিলো, তখন মনে করেছিল, সম্ভবত বাক্যটা হবে, ‘শিশু খেতে চায়’; বইয়ে টাইপিং মিসটেক। এখন এইসব মনে পড়লে হাসি পায়।
আর কোন একজন লেখক বলেছিলেন- ক্ষুধা আর কাম কাউকে শিখায়া দিতে হয় না। কোথায়? নির্ঝর তো শিখেছিল এলাকার উঠতি কিশোর মাস্তান, ক্লাস সিক্সে থাকার সময়ই একটা বেশ মোছ বানিয়ে, তার ঘ্রাণ নিতে নিতে এগলি-ওগলি ঘুরতে থাকা জুয়েলের কাছে। বৈচিত্রহীন একটা বিকেলে কিছু রঙ মাখানোর জন্য মাঠে না কাটিয়ে সময়টা সে জুয়েলের বাসায় কাটিয়েছিল। সেই বিকেলে-কোন কোন পজিশনে সেক্স করতে হয়, কীভাবে করতে হয় এইসব কিছু চালমত বুঝানোর জন্য বিশালবক্ষা এক নারী আপাদমস্তক কালো এক লোকের সাথে ঘন্টাখানেক কত কি যে করলো টেলিভিশন বাক্সের দেয়ালে !
সেই রাতে নির্ঝরের চোখে ভেসেছিল নগ্নতা, বিশালবক্ষা অনাবৃতা, অতিকায় শিশ্ন এবং চেতনায় উড়েছিল আব্বা-আম্মার পবিত্রতা ও আলিঙ্গন এর মাঝে এলোপাথারী রহস্য, সংশয় আর ভয়। তারপর নির্ঝরের সে কী উথাল পাথাল জ্বর!!
আবার মডেলের দিকে তাকায় নির্ঝর, রোমহীন পা এর গলি, সেই গলির প্রান্তে একটা দীঘি; বিশুদ্ধ ত্রিভূজ। আরেক কোন লেখক লিখেছিলেন- যতই গভীরে যাই মধু, যতই উপরে যাই নীল। কোন গভীরের কথা লিখেছিলেন লেখক ? কোন মধুর লোভ তাঁর? আরেকটা বন্ধু্র কথা মনে পড়ে- আরাফাত, নারীদের শংখশরীর, আরাফাত এক আজন্ম শিকারী। চোখ, চিবুক হয়ে বুকের চিত্রকূট, ঝরে পড়ে মদ, এক সমুদ্রতৃষ্ণা আরাফাতের মদ্যপ শিশ্নের। বন্ধুমহলে বলা হয়-আরাফাত যেই মেয়েকে চোখে দ্যাখে, সেই মেয়েকেই চেখে দ্যাখে।
সেই আরাফাত সম্প্রতি লোভনীয় তনুবিশিষ্টা তরুণী, তন্বীকে প্রেয়সীর মর্যাদা দিয়ে বসলে কি উদ্ভট অসঙ্গায়িত এক অনুভূতির অনলে নির্ঝরের মন পোড়ে! আহা, আরাফাত যদি মেয়েটাকে ছেড়ে দিত নির্ঝরের হাতে। প্রেম? নাকি রিরংসা? বন্ধুর প্রেমিকার দিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দৃষ্টি না দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত, আরাফাতের বন্ধুবাতসল্যে কোন খুঁত খুঁজে না পাওয়া এবং একই সাথে তরুণীর সৌষ্ঠব সৌন্দর্যে স্নাত হয়ে যাওয়া প্রভৃতি অনুভুতিসমূহের মাঝে নির্ঝর দুলতে থাকে। বন্ধুত্ব নাকি কাম ? নির্ঝরের যে শুধু কামের কথা মনে পড়ে। এই আরাফাতের সাথে ঐ যে মফস্বলে দূরন্ত কৈশোর কাটানোর সময়, আরাফাতের খালাতো বোন, দু বছরের বড়; এসেছিলেন। নির্ঝর যখনই সময় পেত, যখনই অসময় পেত, আপুর আশেপাশে ঘুরঘুর করতো। প্রায় বিশ দিন শেষে তিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন- নির্ঝর, তুমি কি চাও ? তখন সাঁঝবেলায় মাথার উপরে চক্কর খাওয়া অনেকগুলো মশা এর মত উত্তরের মাঝ থেকে নির্ঝর একটাকেও উপস্থাপন করতে পারে নাই আপুর সামনে। এই এখন, আহত বিকেলে, ৩৬ নাম্বারের জানলায় ঠেঁস দিলে করোটির কপাট খোলে - এর পার্ফেক্ট উত্তর হয় – কাম চাই ম্যাডাম, কাম চাই। কাম না পেলেও কামস্পর্শ চাই। তো সেই আরাফাতের সাথেই যোগসাযস করে স্নানরত আপুকে দেখেছিল নির্ঝর, বাথ্রুমের দরজা-ফুটোয় চোখে রেখে। ছিটকিনি, তুমি দরজাটা লাগিয়েছো ঠিকই, দরজার ফুটো কিন্তু আটকাতে পারো নি। পরে দুজন মিলে কি হাসাহাসিই না করেছিল ইঁদুরের মুখের মত কিম্ভুতকিমাকার সূচালো স্তন দেখে। এর মাত্র কয়েকদিন পরই নির্ঝর তার শোলক বলা কাজলাদিদি লীনাপার ভুল করে না লাগানো দরজা ঠেলে লীনার ব্যক্তিগত শয়নকক্ষে ঢুকে পড়ে, বড় বোনের অনাবৃত বুক দেখে ফ্যালে এবং মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে দু’দুটো নগ্নতা দেখে দু’রকম অনুভূতির মাঝে পড়ে যায়।

লীনাপার কথা মনে পড়ে, রিয়াসাতের কথা মনে পড়ে, জুয়েলের কথা মনে পড়ে, মনে পড়ে আরাফাত আর আরাফাতের সূচালো স্তনবিশিষ্টা খালাতো বোনের কথা।
মিরপুর রোডে জ্যাম, খুক খুক করে কাশতে কাশতে ধুকে ধুকে চলে ৩৬ নাম্বার।

এক
অতর্কিত অকস্মাত সন্ধ্যা। নির্ঝর দ্যাখে, আকাশের নীল-হলুদ-শাদা আশ্চর্য রংগুলোকে অন্ধকার করে দিয়ে মেঘেরা আসছে। মেঘ আসছে, ঐ দ্যাখা যায় সূর্যটা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলো। মেঘ আসছে, ঝড় আসছে, মিরপুর রোডে ধূলোদের ওড়াওড়ি। ৩৬ নাম্বার বাসের একটা জানালার শার্সিতে নির্ঝরের চোখ, অন্য পাশে বোশেখী ঝড়। মনে পড়ে, বালকবেলায় নির্ঝর আর লীনাপা ঝড়ে ঝরে পড়া কদমফুলদের দেখে সারাটা দিন কেমন মন খারাপ করে বসে থাকতো। বিকালে আব্বা শালবনের মাঝে দু’জনকে দু হাতে ধরে নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন। শৈশবের গল্পগুলো ভাবতে থাকে নির্ঝর।

এবং ভাবতে ভাবতে, নির্ঝর জানে না, নির্ঝরের কেন দু’চোখ বেয়ে কান্না ঝড়ে পড়ে। এত কান্না এই এতটুকুন চোখের কোথায় লুকায় ছিলো? কীসের কষ্ট? কীসের শূন্যতা? নির্ঝর কোন প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পায় না, ঝাপসা চোখে সে জানালার ওপাশের ঝাপসা শহরকে আরো ঝাপসা হয়ে যেতে দ্যাখে।
মিরপুর রোডে জ্যাম, আটকে থাকা একটা ৩৬ নাম্বার বাসের জানালায় একটা তরূণ খুব কাঁদছে।
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×