সূরা আত তাগাবুনের সার সংক্ষেপ
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
এ সুরাটিতে মূলত: মু'মিন হবার পরে মুসলিম হবারই তাগিদ দিয়েছেন আল্লাহ সুবহানাল্লাহ তাআলা।
প্রথমে সবাইকে ঈমান আনতে হবে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (স এর উপর. তাহলে একজন বান্দা হবেন মু'মিন. এরপরই এসব ঈমানদার ব্যক্তিদেরকে কতিপয় গুরুত্বপূর্ন হেদায়াত দান করা হয়েছে। হেদায়াতগুলো হলো:
১. দুনিয়ার যে বিপদই আসে তা আল্লাহতাআলার অনুমতিক্রমেই আসে. এরূপ অবস্থায় যে ব্যক্তি ঈমানের উপর অবিচল হয়ে থাকবে, আল্লাহ তাআলা তার দিলকে হেদায়াত দান করেন। নতুবা ঘাবড়ে গিয়ে বা হতাশাগ্রস্থ হয়ে যে ব্যক্তি ঈমানের পথ হতে বিচ্যুত হবে, তার বিপদ আল্লাহর অনুমতি ছাড়া দূর তো হতে পারে না, অবশ্য সে এরূপ করে অপর একটি অতি বড় বিপদ ডেকে আনে. আর সে বিপদ হলো- তার দিল আল্লাহর হেদায়াত হ'তে বঞ্চিত হয়ে যায়.
২. মু'মিন ব্যক্তির কাজ কেবল ঈমান আনাই নয়, ঈমান আনার পর কার্যত: আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের(স আনুগত্য -অনুসরণ করা তার একান্তই কর্তব্য। আনুগত্য স্বীকার এবং বাস্তব আনুগত্য এড়িয়ে গেলে যে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে, সে জন্যে সে নিজেই দায়ী হবে. কেননা রাসুলে করিম (স তো প্রকৃত ও সত্য দ্বীন পৌঁছে দিয়ে দায়িত্ব মুক্ত হয়ে গেছেন।
৩. মুমিনের ভরসা, নির্ভরতা নিজের শক্তি সামর্থ্য বা দুনিয়ার কোন শক্তির উপর থাকে না. মু'মিনকে ভরসা এবং নির্ভর করতে হবে কেবল এক আল্লাহর উপর.
৪. মু'মিন ব্যক্তির জন্য তার ধন-মাল এবং বংশ-পরিবার একটা বহু বড় পরিক্ষার ব্যাপার। কেননা সাধারনত: এসব জিনিসের মায়ায় পড়েই মানুষ ঈমান ও খোদানুগত্যের পথ হতে বিরত থাকে ও বিপরীত পথে চলতে বাধ্য হয়. এ কারণে ঈমানদার লোকদের কর্তব্য নিজের নিজের পরিবারবর্গ সম্পর্কে বিশেষ সতর্কতা করতে অবলম্বন করা, যেন কোন আপনজন তাদেরকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে খোদার পথ হতে বিভ্রান্ত করতে না পারে। তাদের ধনমাল খোদার পথে ব্যয় করতে থাকা কর্তব্য, যেন তাদের মন অর্থপুজার কঠিন রোগে নিমজ্জিত হতে না পারে এবং তা হতে সুরক্ষিত হতে পারে।
৫. প্রত্যেকটি মানুষ তার সামর্থনুযায়ী শরীয়ত পালনের জন্যে দায়িত্বশীল। মানুষ নিজের শক্তি সামর্থে বাইরে কাজ করবে, এটা আল্লাহতা'আলা চান না. অবশ্য প্রত্যেককে নিজের শক্তি-সামর্থ অনুপাতে খোদাকে ভয় করে চলতে হবে. সে জন্যে প্রত্যেককে প্রাণ-পণে চেষ্টাও করতে হবে. যতদূর সম্ভব খোদাকে ভয় করেই জীবন-যাপন করা তার কর্তব্য। এ ব্যাপারে এক বিন্দু ত্রুটি করা উচিত নয়. তার কথা বলা, কাজ-কর্ম করা ও নৈতিক ভুমিকা পালনে নিজের ত্রুটির কারণে খোদা নির্ধারিত সীমা যেন লংঘিত না হয় - সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে.
শব্দার্থে আল কুরআন মজিদ, অনুবাদ মতিউর রহমান খান অবলম্বনে।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ মিসড কল
নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়
সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।
হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন
আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই
সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ
গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।
... ...বাকিটুকু পড়ুন
৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…
১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন