যুগে যুগে বিভিন্ন ধরনের হত্যাকান্ড ঘটে, বিচার হয় সামান্যতম কিছু সবলের বিরুদ্ধে কিন্তু দুর্বলের বিরুদ্ধে বিচার হয় সবলভাবে। অনেক উদাহরন দেয়া যেতে পারে। ভুল পথে পা বাড়ানো আমার-আপনার ভাই যখন হারায় ইহজগত, তখন আফসোস হয়। চোখ বুঝে কল্পনার অতীতে রিভার্স করলে মনে হয়, কেনো যে তাকে আটকালাম না!
মানুষের মনোজগত নিয়ে যারা কাজ করেন তাঁদের মতে, যখন কোনো কাজে আমরা ব্যর্থ হই, অযাচিতভাবেই আমাদের মন রিভার্স করে পিছনে যায় কোথায় ভুল একটু দেখিয়ে দিতে এবং আফসোসের মাত্রাটা বাড়িয়ে দেয়।
দিনে-দিনে, ক্ষনে-ক্ষনে আমরা ভুলে যাই করা ভুলগুলো, কল্পনায় রিভার্সে করা অনুশোচনাগুলো। আবার চলে আসি এই জগতে যেখানে এক অসম প্রতিযোগীতা, মানুষ-মানবতা নাকি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অমানবিকতা। ফলাফল আমরা মানুষ কমই হতে পারি, হয়ে উঠি এ যুগের এক মেশিন ঠিক যেনো শহরে থাকা কোচিংয়ে পড়া বাচ্চাগুলো, জ্ঞান অর্জনের নামে বই নিয়ে কোচিংয়ে দৌড়াদৌড়ি, অসম জানার আগ্রহে।
এরকম অসম প্রতিযোগীতায় হারায় আমাদের লিটুরা, যেখানে তার থাকার কথা না সেখানে সে থাকে, হারিয়ে গেলে কান্না আর আফসোস ছাড়া কিচ্ছু থাকে না, কিন্তু সেটা কতদিন?
মনোবিদদের মতে, কালের বিবর্তনে সব হারায়, শুধু মানুষ্য উপকারি কীর্তি না রেখে গেলে। তাহলে কি লিটুরা হারাবে?
না, লিটুরা হারায় না, বেচে থাকে নিজ রক্তধারার অশ্রুসিক্ত নয়নে। আর থাকে কিছু মানুষের সুবিধার বস্তু হয়ে, কারো বা বক্তৃতার বিষয় হয়ে…!
অনেক কিছু লেখার ছিলো…সব কি পারি লিখতে…।
লিটু দেখছো তো তুমি ঘুমিয়ে? কার চোখে অশ্রুধারা, আর কারা নীরবে তোমাকে মনে রাখছে? কারা তোমার হত্যাকান্ডকে ব্যবহার করে!
পারো যদি স্বপ্নে এসে চুপিচুপি সবাইকে বলে যেও তুমি কেনো হারালে!
অবশেষে শুধু একটি আর্তি… আর যেনো লিটুরা না হারায়, রক্তধারাকে না কাঁদায়।।
বিষয়বস্তুঃ ছাত্র না হয়েও ছাত্রলীগের নেতা হতে কলেজে গুলিবিদ্ধ হয়ে মা-বাবার একমাত্র ছেলের অকাল মৃত্যু