প্রচন্ড শীত। গ্রামের বাড়ীতে গ্যাছি বেড়াইতে। চাচাত ভাই আছে এক দঙ্গল। সাথে গ্রামের আরো কিছু পান্ডা। রাইতে পিকনিক করব। হ্যাইডার প্লান হইল। চাউল-ডাইল সবই রেডি। কিন্তু গোস। কারো কাছে বেশি টাকা নাই। কি আর করা, প্লান হইল ছাগল চুরি করন লাগব। কিন্তু কার ছাগল, মোটা-তাজা দেইখা চয়েজ করন লাগব। সবাইরে কওয়া হইল গ্রামে গ্রামে ঢুইকা কার বাড়ীতে ছাগল আছে মোটা-তাজা হ্যাইডা রেকি করে আসনের জন্য। বিকালের মইধ্যে খবর আইল। কিন্তু কোপ যে আমার ঘাড়ে পড়বে, হ্যাইডাই কল্পনাও করি নাই। আমার ছোট দাদার অনেক গুলা ছাগল। সব কয়ডায় মাশা-আল্লাহ খানদানী। দহলিজে থাকে। কি আর করা চোখ-কান বুইজা মাইনা নিলাম। রাত ১২ টার দিকে অভিযান শুরু হইল। আমি আর ৩ জন চাদর মোড়া রওনা দিলাম দাদার দহলিজের দিকে। ২ জনরে বাইরে পাহারায় থুইয়া হান্দাই গেলাম ঘরের মইধ্যে। অন্ধকার দহলিজ। ছাগল গুলা লইড়া উঠল আমাগো সাড়া পাইয়া। অন্ধকারে ছাগল চয়েজ করন শুরু করলাম। ইচ্ছা যেইটারে মোটা মত পাব, হ্যাইডারে নিব। অবশেষে পাইলাম, বহুত তরতাজা। পছন্দ হইল, চাদরের মইধ্যে মুইড়া কোলে তুলে নিলাম। মনে খুশি খুশি ভাব। আইতে আইতে বাকী ৩ জনের লগে ফাল পাড়তে লাগলাম, কেজি ২০ গোস ত হইব। খাইয়া পারুম না মনে লয়। মাঠে আইয়া দেহি, ভাত রান্না শ্যাস। ছাগল জবাইয়ের জন্য রেডি হইয়া বইসা আছে সকলে। বহুত ভাব লইয়া চাদরের তল থন ছাগলডা বাইর কইরা ছাইড়া দিলাম, কিন্তু একি ছাগলডা দেহি গা-ঝাড়া দিয়ে হাইটা যাইতাছে। অমা--------ছাগল কই, দেহি দাদার আদরের কুত্তাডা
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২৫