রোববার দুপুরে শার্শা উপজেলা সদরে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হামলায় দৈনিক যায়যায় দিন ও ঢাকানিউজ২৪.কম এর বেনাপোল প্রতিনিধি আহম্মদ আলী শাহিন গুরুতর আহত হয়েছেন্ স্থানীয় ব্যবসায় ও সাংবাদিকরা জানায়, দুপুরের দিকে শার্শা উপজেলা সদরে পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে শার্শার স্বরুপদাহের চিহ্নিত সন্ত্রাসী লুৎফর রহমান ও হরিনাপোতার পুলিশ মারধোরের প্রধান নায়ক সন্ত্রাসী সৈয়দ হোসেন সৈয়দার নেতৃত্ত্বে একদল সন্ত্রাসী তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। মারাত্নক আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন আহম্মদ আলী শাহিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। শার্শা ও বেনাপোলে কর্তব্যরত আহম্মদ আলী শাহিনসহ বেশ কয়েকজন জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিককে কিছুদিন ধরে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল সন্ত্রাসীরা। জানা গেছে, কিছুদিন আগে বেনাপোলের ফটোস্ট্যাট ব্যবসায়ী ওসমানের একটি ট্রাক লুৎফরের নেতৃত্ত্বে সৈয়দ হোসেন, দুলাল, সগির আহমেদ শার্শার স্বরূপদাহ গ্রাম থেকে চুরি করে নিয়ে যায়। পুলিশ টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থেকে উদ্ধার করে। চোরচক্র এ মামলার বাদীকে তুলে নিতে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। অপরদিকে পুলিশ প্রসাশন এ মামলাকে পুজি করে অর্থ বানিজ্যে মেতে উঠে। এ ঘটনার সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় শার্শা থানার সামনে পুলিশের ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক আহম্মদ আলীর উপর হামলা চালায়।
এদেশে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা অহরহ ঘটে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, অসৎ রাজনীতিবিদ, মাদক ব্যবসায়ী থেকে গডফাদারদের সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায় সাংবাদিকদের উপর। আর যাতে মদদ জোগায় অসৎ শ্রেনী যারা অবৈধ উপায়ে বিত্ত বৈভব তৈরিতে ব্যস্ত। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুলিশ এমন কোন উদ্দোগ নেই না যাতে সাংবাদিক সহ আমরা সাধারণ মানুষ নিরাপদে নিজেদের মতামত উপস্থাপন করতে পারি। এদেশে সাংবাদিক টিপু সহ অনেক সাংবাদিক নির্যাতিত হয়েছে। পুলিশের হাতে আহত হয়েছে অনেক নামকরা সাংবাদিক। বিচার কি একটিরও হয়েছে?
সুষ্ঠু গনতন্ত্র প্রসারে প্রয়োজন সাংবাদিকতার সাহসী কলাম। সাংবাদিকের কলমের রক্তই আমাদের সামনে প্রকাশ করে দুর্নীতির গোপন তথ্য। কবে আমরা সেইদিন পাব যেদিন এদেশের কোন সাংবাদিক আর নির্যাতনের স্বীকার হবে না?