somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুখরা রমণী!

০৩ রা মে, ২০১২ বিকাল ৩:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটি গল্পঃ

শিল্পী! দীঘল চুল, উচু নাক, মায়াবী চোখের লাজুক একজন কিশোরী! জসীম ধনী বাবার একমাত্র বখাটে ছেলে। জসীমের মনে ধরেছে শিল্পীর রুপ! তাঁকে জসীমের চাই চাই! যে করেই হোক!

আজ ২৫ দিন যাবত জসীম শিল্পীর পিছনে ঘুরছে। প্রতিটা দিন শিল্পী না করে দিয়েছে জসীমকে। শিল্পীর এই না না করাই যেন জসীমকে আরও উত্তেজিত করে ফেলছে! এখন যে করেই হোক শিল্পীকে তাঁর পেতেই হবে। জসীম শুধু সেই দিনের অপেক্ষায় আছে। কিন্তু সে তাঁর এই রুপ শিল্পীকে দেখাবে না, সে অপেক্ষায় আছে, অপেক্ষায়! শুধু নিজের অসহায়ত্ব ফুটিয়ে তুলছে শিল্পীর কাছে! শিল্পীর জন্য ভালবাসার(!) কথা বলছে বারবার! এভাবেই হাসিল করতে হবে শিল্পীকে, এভাবেই। ক্রূর চোখে এসব ভাবতে ভাবতে জসীম ঘুমিয়ে গেল।

নরম মনের মেয়েটির ভীষণ কষ্ট হয় আজ কাল! রোজ যখন জসীমকে অসহায়ের মত ঘুরতে দেখে তাঁর চারপাশে! বড্ড ভালবাসা হয় ওর জন্য! কিন্তু কিছুই তো করার নেই? তার জীবনে যে অনেক স্বপ্ন, অনেক সম্ভাবনা! এসব ফেলে বাবা মাকে কষ্ট দিয়ে সে কি করে যাবে? সে হয়তো চলে যাবে, কিন্তু পরিবারের সমস্ত সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে যেতে হবে তাঁকে! তাঁর পাঁচ বোনের কেউ যা করেনি তাই করতে হবে! কিন্তু জসীমের কষ্টও যে তাঁর আর সহ্য হয় না! কেউ কি করে পারে এত, এত ভালবাসতে? এসব ভাবতে ভাবতেই কান্না ভেজা চোখে শিল্পী ঘুমিয়ে গেল।

আজ শিল্পীর জীবনের সবচে সুন্দর রাত! প্রতিটা মেয়ের জীবনের সবচে আকাঙ্ক্ষিত রাতটি হয়তো! কিন্তু আর দশটা মেয়ের মত ধুম ধাম করে আসা রাতের মত না। বিয়ের টুকটুকে শাড়িতে সেজে গুজে বসে অপেক্ষা করার মত না। খুব শাদামাটা। স্কুল থেকে ফেরার পথে জসীম আত্মহত্যার চেষ্ঠা করেছে বলে জসীমের বন্ধুরা তাঁকে অনুরোধ করে নিয়ে আসে। সেও ছুটে এসেছিল! কিন্তু এসে সবকিছুই ঠিকঠাক দেখে অবাক হয়েছিল। খুশিও হয়েছিল জসীমকে দেখে। কিন্তু ততক্ষণে হয়ে গেছে অনেক রাত! বাসায় ফেরার কথা ভাবতেই রাগী বাবার মুখটা ভাসছিল চোখে! কি করবে ভেবে যখন চোখ ফুলিয়ে কেঁদেছিল তখন জসীম অনেক সোহাগ করে হাত বাড়িয়ে বলেছিল “চল বিয়ে করি!” শিল্পী আর না করতে পারেনি! তাঁর ঐ একটি পথই হয়তো ছিল তখন যাবার মত। সমস্ত স্বপ্ন, সম্ভাবনার বিসর্জন দিয়ে সে শুরু করেছিল নতুন জীবন। শাদামাটা ভাবেই। তবুও তাঁর অপেক্ষার প্রহর গুলো ছিল রঙ্গিন! কিছুটা ভয়, লজ্জা মেশানো মিশ্র অনুভূতি! সেই অনুভূতি গুলো দ্বিগুণ করে জসীম এসেছিল তাঁর কাছে! কিন্তু মাতাল জসীমের ঘোলাটে চোখ দেখে সেই রং ফিকে হয়েছিল কিছুটা। তবুও সে সাহস করে জসীমের হাত ধরে কিছু অনুরোধ করেছিল, কিছু ইচ্ছার কথা বলেছিল! বলেছিল সে আরও কিছুদুর পড়াশুনা করতে চায়, আর এখনি সন্তান নিতে চায়না! “ তোর পড়াশুনার ... মারি! সন্তান নিবি না ক্যান? ফুরফুরে পাখি হইয়া আরও দশ ঘাটে পানি খাইবা?হইব না!” বলে জড়িয়ে ধরেছিল শিল্পীকে! সেই স্পর্শে কোন ভালবাসা ছিল না, প্রেম ছিল না, কোন অনুভূতি ছিল না! শুধু ছিল একটা পশুর গোঙ্গানি। শারীরিক তৃপ্তি, সেখানে মানসিক কোন কিচ্ছু ছিলনা! শিল্পীর স্বপ্নময় রাতের সমাপ্তি ওখানেই হয়েছিল, বিয়ের প্রথম রাতেই সে হয়েছিল ধর্ষিতা!

এভাবে আরও কয়েকটি দিন গেল। ভয়ংকর কয়েকটি দিন। শিল্পীর বাবা মায়ের কাছে ফিরে যাবার মুখ নেই, তবু সাহস করে একবার বলেছিল জসীমের পাশবিকতার কথা তাঁর বাবাকে। তাঁর বাবা তাঁকে জানিয়েছিল সে সমস্ত সম্মান মিশিয়ে যখন নিজে পছন্দ করে বিয়ে করেছে তখন যেন সেভাবেই থাকে। তাঁকে ফিরিয়ে এনে বা দ্বিতীয় বিয়ের ব্যবস্থা করে তিনি তাঁর সম্মান আরও হানি করতে পারবেন না!
এই হতাসার মধ্যেই নানান মানুষের নানান মত! অনেকেই শিল্পীকে বলেছে সন্তান নিতে, তাহলে নাকি সব ঠিক হয়ে যাবে। সে অপেক্ষা করে থাকে সেই সময়ের। কিন্তু জসীমকে যখন সে জানিয়েছিল সে অন্তস্তত্বা তখন তাঁকে সহ্য করতে হয়েছে বেল্টের আঘাত! সে অবাক হয়ে খেয়াল করলো জসীম এসব করছে সন্তানের জন্মের সময়ের কোন খরচ না নেবার জন্য! শিল্পী হাতে পায়ে ধরে বলেছিল যে সব খরচের ব্যবস্থা সে নিজে করবে তবু যেন তাঁর পেটে আঘাত না করা হয়! জসীম শুনেছিল! শিল্পীর একটা মেয়ে হয়েছিল, শিল্পীর বোনেরা নবাগত শিশুটির সমস্ত খরচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন।

এভাবেই কেটে গেছে ১১ টি বছর! শিল্পী এখন ২৮ বছরের যুবতী। তিন সন্তানের মা! কিন্তু পরিবর্তন হয়নি অনেক কিছুই! জসীম এখনও আগের মতই আছে। অত্যাচারী স্বামী। শিল্পী সব ইচ্ছা অনিচ্ছা স্বপ্নের বিসর্জন দিয়ে এখনও সেই অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে তাঁর ইচ্ছে হয় ছুটে পালিয়ে যেতে, ইচ্ছে হয় অন্য কারও হাত ধরে দূরে কোথাও চলে যেতে! কিন্তু সে জানে, কেউ শুধু হয়তো তাঁকে সাথে নিতেই আগ্রহী হবে, কিন্তু তাঁর সন্তান গুলোকে নয়! ১১ বছর আগে যেভাবে সে নিজের স্বপ্ন, সম্ভাবনার বিসর্জন দিয়েছে, সেভাবে নিজের সন্তানের বিসর্জন দেয়া সম্ভব নয়! আর অন্য কেউ যে জসীমের মত হবে না সে কি করে জানবে! সব পুরুষই এখন তাঁর কাছে একই রকম, নির্মম, অত্যাচারী। এভাবেই শিল্পীর দিন কেটে যায়। সন্তান গুলোকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে দিন কেটে যায়। ১১ বছর আগের অনেক কিছুই হয়তো ঠিক নেই, শুধু এখনও রোজ রাতে ঘুমোতে গেলে তাঁকে হতে হয় ধর্ষিতা! যেখানে তাঁর সমস্ত শরীর এবং স্বপ্নের ধর্ষণ হয় দিনের পর দিন, রাতের পর রাত!
শিল্পিদের জীবন এভাবেই কেটে যায়!

যেভাবে হতে হয় আদর্শ(!) নারীঃ
১।আদর্শ নারী হবার প্রথম এবং প্রধান গুণটি হল সহ্যক্ষমতা। আমাদের হতে হবে অসীম সহ্য ক্ষমতার অধিকারী। আমাদের স্বামী আমাদের মারুক, কাটুক আর হাঁড়িতে উঠিয়ে মসলা মিশিয়ে রান্নাই করুক, আমাদের সহ্য করে যেতে হবে।
২।এরপর হতে হবে বাঁদর! মুখে হাত দেয়া, চোখে হাত দেয়া, কানে হাত দেয়া তিন বাঁদরের গুণই আমাদের একসাথে রপ্ত করতে হবে। আমরা কিছু দেখবো না, শুনবো না, বলবও না। আমাদের হতে হবে একই সাথে অন্ধ, বোবা এবং কালা।
৩।প্রতিবাদের ছিটেফোঁটা বদগুণও যদি আমাদের মধ্যে থেকে থাকে তবে তা অবশ্যই বিসর্জন দিতে হবে! কারন একজন আদর্শ নারী হবার অন্তরায় আছে এই বদ গুনটি। আমাদের হতে হবে অবলা, আমরা হব বাংলার অবলা নারী!

(আমি ১,২,৩ তিনটি নিয়েই ব্যাপক গবেষণা করলাম। এবং করে আমার মনে হল এই দুনিয়াতে আমার থেকে বড় এরকম আদর্শ অনাদর্শ নারী আর একটিও নেই। তাই আদর্শ নারী হতে আমি অবিরত ঘাম ছুটিয়ে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ কিছুদিনের মধ্যেই আমি হয়ে উঠবো একেবারে বাংলার আদর্শ নারী! )



যেভাবে হতে হবে একজন আদর্শ(!) নারী ব্লগারঃ


(আমার ব্লগ জীবনের বিভিন্ন ঘটনা দ্বারা প্রভাবিত এবং সম্পর্কিত)

১।কোনভাবেই পুরুষবিরোধী স্যাটায়ার লেখা যাবে না। না, না, না। এরকম অনেক পোস্ট দেখেছি আমি যেখানে মেয়েদের কি কি করতে দেখলে থাপ্পড় দিতে ইচ্ছা করে সেই বিষয়ে লেখা হয়েছিল! আমার জীবনে এরকম একটি পোষ্টই লিখেছিলাম যেখানে লেখা ছিল ছেলেদের কি কি করতে দেখলে বিরক্ত লাগে! সেই পোস্টে কিছু পুরুষ ব্লগার হামলে পড়েছিলেন। “আপনি ভাল চটি লিখতে পারবেন” টাইপ কমেন্টও হজম করতে হয়েছিল! একদম নতুন ছিলাম তখন, আর অনেক বেশী আবেগি। কষ্ট লেগেছিল খুব! পোস্টটি মুছে ফেলেছিলাম (এখন হলে যেটা কখনই করতাম না।) আর বুঝেছিলাম স্যাটায়ার লিখতে নেই রে মেয়ে, লিখতে নেই।

২। রাত ১২ টা বা তারপর ব্লগে থাকতে নেই। থাকতে হলেও অফলাইনে বা কমেন্ট না করে চুপ চাপ ঘাপটি মেরে বসে থাকতে হবে। কোন এক রাতে কোন এক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, আমার সেই কমেন্ট দেখে আরেকজন ব্লগার সেই ব্লগারকে জিজ্ঞেস করেছিলেন “এত রাতে আপনার পোস্টে মেয়ে মানুষ কি করে?” কথাটা ভয়ংকর অপমানসুচক ছিল, যতটা না আমার জন্য তাঁর থেকে বেশী সেই ব্লগারের জন্য যাকে এই প্রশ্নটি করা হয়েছিল! বিব্রত থেকেই উত্তর করেছিলাম “এত রাতে ব্লগে মেয়েদের আসতে নেই আমার জানা ছিল না। দুঃখিত।” বুঝলাম, মেয়ে, তুমি তোমার পদার্পণ সংযত করে, করতে শেখো!

৩। লাস্ট বাট নট অন দা লিস্ট। তুমি মেয়ে, তোমার প্রোফাইল পিকে ছোট্ট একটা ফুলের ছবি লাগিয়ে দাও, অথবা পাখির ছবি। নিজের ছবি ঝুলিওনা কোনদিন। নিজের ছবি ঝুলাবে তো বুঝবে চান্দু! তোমার অনেক আবেগ নিয়ে লেখা, কি তোমার কাছের খুব কাছের প্রিয় কোন মৃত মানুষকে নিয়ে লেখা কোন পোস্টে এসে , লেখার ভাল খারাপ বিবেচনা না করে তোমাকে আক্রমণ করা হবে, এই বলে যে ছবি দেখাতে হলে ফেসবুক আছে, ব্লগে কি! বাহ! বাহ! বাহ! তুমি তোমার নিজের পরিচয়ে , নিজের অবয়য়ে ব্লগিং করতে পারবে না! পারবে না! তোমাকে ব্লগিং করতে হবে মুখ ঢেকে। আর এক ছবি দিয়েছ তো ভাল, সেটা যদি চেঞ্জ কর তো কোন কথাই নেই! একশ প্রশ্নের মুখে তুমি! কই কোন পুরুষ ব্লগার যখন পিক চেঞ্জ করে তাঁদের তো কেউ জিজ্ঞেস করতে যায়না? আর যাবেই বা কেন! সামুতে যদি এক পিকেই সবটা সময় কাটিয়ে দেয়ার নিয়ম থাকতো তবে প্রোফাইলে সেটার চেঞ্জের অপশন রাখা হয়েছে কেন? যেহেতু রাখা হয়েছে, সেহেতু কি সমস্যা! কি সমস্যা! বুঝলাম! মেয়ে, তুমি ঢেকে রাখো মুখ!


কিছু কথাঃ


১। উপরের গল্পটি খুব কাছের কারও গল্প নয়, কিন্তু খুব কাছ থেকে দেখা একজন শিল্পীর গল্প! গল্পটি তাঁর নিজের মুখেই শোনা। আমি জানি না কত খানি সত্যি বা মিথ্যা, কিন্তু বুঝতে পারি কেউ এভাবে মিথ্যা বলতে পারে না! চোখে চোখ রেখে! তাঁর কষ্টের কথা গুলো আমার ভাষায় সবার সাথে শেয়ার করলাম।

২। আমি চাইলেই সেসব ব্লগারদের নাম উল্লেখ করতে পারতাম। কিন্তু করলাম না, কারন ক্যাচাল আমার পছন্দ নয়। কোনভাবেই নয়। আর কে আমার সাথে কি করেছে এটার বিচার অন্য কারও কাছে দিয়ে ছিঁচকে কান্নাও আমি কাঁদতে পারিনা। আমারটা আমিই দেখবো। অন্য কাউকে আমার রক্ষাকর্তা হতে হবে না। কারন আমি জানি, শূকরদের সাথে কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়িতে মজাটা শূকরদেরই হয়, মাঝখান থেকে ময়লা আমার গায়েই লাগবে। তাই শূকরদের কোন বিচার দিতে নেই, তাঁদের পা মাড়িয়ে চলতে হয়।

৩। আমার নিজেকে দেখে মনে হচ্ছে আমার আদর্শ নারী বা আদর্শ নারী ব্লগার কোনটাই হওয়া হবে না আর! আমি সেই সেই আমিই থেকে গেলাম, হয়তো যাব! হয়তো শুনতে হবে কটু কথা, অনেক ট্যাগিং এর তিলক জুটবে কপালে! জুটুক। তবু নাহি পিছিবে এ পদযুগল, থামিবে এই আঙ্গুলি!



পরিশিষ্টঃ

মা আমাকে সবসময় বলেন "মিতিন, এরকম হওয়া যাবে না! এরকম হলে জীবনে কষ্ট আছে!" আমি হেসে উড়িয়ে দেই! বলি আমার জীবনে কষ্ট নেই মা, আমার জন্য আমার মতই কেউ আছে! আসলে নেই! আমি কারও জন্য না, কেউ আমার জন্য না! কারন আমি তথাকথিত আদর্শ ভাল মেয়েদের থেকে অন্যরকম! আমার কাছে নিজের ব্যাপারটাতে অটুট থাকা ভুল কিছু মনে হয় না কখনো, কিন্তু তথাকথিত সমাজ সেটাকে গোঁয়ার্তুমি, জেদ বলে বিবেচনা করে। মুখের কথাটা মুখে বলে দিলেই আমি হয়ে যাই মুখরা, ঝগড়াটে! আমি বড্ড আনফিট, আমার এরকম হতে নেই! আমি মেয়ে, তাই আমার মুখ বুজে মিউমিউ করতে হবে, আমি মেয়ে তাই আমাকে মেনে নেয়া শিখতে হবে, পিঠ উপর করে বলতে হবে চাবুক মার, আয় মার চাবুক! কেবল তখনি আমি হব ফিট, তখনি হব এই সমাজের আদর্শ নারী, আদর্শ বউ! পাবো স্বামীর ভালবাসা (সাথে হজম করতে শিখতে হবে তীব্র ধমক, সেই ধমক হজম করতে হবে, তবেই না পাবো ভালবাসা!) আসলেই, আমাকে হতে হবে বিড়াল, লাথি হজম করবো, মিউমিউ খানিও করবো! তবেই না আমি পাবো সুখের সংসার! সবার বাঘিনী প্রেমিকা চাই, কিন্তু বউকে হতে হবে পোষ্য বিড়াল ছানা! বাহ! তবে নাই বা হলাম কারও বউ, আনফিট, অযোগ্যই না হয় থেকে গেলাম! নাই বা পেলাম স্বামীর ভালবাসা! চাই না আমার সুখের সংসার। আমি অযোগ্য, আনফিটই হয়ে থাকবো, তবু মাথা উচু করে থাকবো, এভাবেই, ঠিক এভাবেই। আমি হব না আমার মায়ের মেয়ে, আমি আমার বাবার মেয়েই থেকে যাব, আজীবন। আ-জী-ব-ন!

সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:০১
৫৬টি মন্তব্য ৫৬টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×