somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তৈ!

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




তৈ গুটিসুটি মেরে বিছানার এক কোণে পড়ে আছে। তীব্র জ্বর তৈ এর সমস্ত স্বত্বাকে একটা ছোট্ট বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত করে রেখেছে। সেই ছোট্ট বিন্দুটি হল চাঁদ! বিশাল চাঁদ তৈ এর কাছে ছোট্ট একটা বিন্দু! বিগত জ্যোৎস্নার পর থেকে প্রতিটা রাতে যেন চাঁদের আকৃতি একটু একটু করে ছোট হয়েছে, বেড়েছে তিমিরের বিশালতা, সমুদ্রের মতন। গভীর এবং বিশাল। শুধু জ্যোৎস্নার ব্যপ্তি অনেক কমে গেছে। অনেক বেশী রকমের কম!
তৈ আরও গুটিসুটি হয়ে গেল, ভয়ংকর রকমের ইচ্ছে হচ্ছে চিৎকার করে ওর প্রিয় কবিতাটা আবৃতি করতে... সব ইচ্ছে পূরণ হবার নয়!


আজ অমাবস্যা!


তৈ এর শরীরের উত্তাপ বাড়ছে। বিগত পূর্ণিমার মত শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে... তৈ প্রতীক্ষায় আছে, তিমিরের প্রতীক্ষা! তৈ জানে, তিমির আসবে না! আসবে না আর! তবুও... প্রতীক্ষা!

আজ অমাবস্যা!

জ্যোৎস্নাবীর নূপুর গুলো ঘরের এক কোণে পড়ে আছে, তবুও নূপুরের তীব্র ধারালো শব্দে তৈ এর মাথা ফেটে যাচ্ছে। তৈ এর ইচ্ছে করছে ছুটে ঘর থেকে অন্য কোথাও পালিয়ে যেতে কিন্তু তৈ জানে এতে সমাধান নেই!

শব্দ নূপুরে নেই, শব্দ তৈ এর আত্মগ্লানিতে, জ্যোৎস্নাবীর দীর্ঘশ্বাসে এবং তিমিরের বিস্ময়ে!

বিগত পূর্ণিমার পর বন্ধুত্যাগে তৈ তারও বিগত বেশ কিছু পূর্ণিমার ক্ষতের ইতি টেনেছিল। পূর্ণিমার ইতি, জ্যোৎস্নার ইতি এবং জ্যোৎস্নাবীর ইতি। পৃথিবীতে তিমিরের রাজত্ব, অমাবস্যার রাজ।
জ্যোৎস্নাবীর শূন্যে মিলিয়ে যাবার কিছু মুহূর্ত পরই তৈ বুঝেছিল তৈ এর সমস্ত স্বত্বাও মিলিয়ে যাবে, কারন তৈ এর সমস্ত সঞ্চয় জ্যোৎস্নায়, তিমিরে নয়।
চাঁদের আলো যত খানি কমেছে, তৈ এর শরীরের উত্তাপ তত বেড়েছে। শুধু সে রাতের পর আর তিমিরের দেখা মেলেনি! তীব্র জ্বরে চাঁদে কেন্দ্রীভূত হতে থাকা চোখ দুটিতে অন্ধকারের নরম স্পর্শ মেলেনি, দীর্ঘদিন ক্লান্ত হয়ে যাওয়া ভেজা গালে রাতের ভালবেসে আলতো করা ঠোঁট মেলেনি!


শুধু রাতের পর রাত প্রকট হয়েছে জ্যোৎস্নাবীর নূপুরের শব্দ!

যদিও এই শব্দ নূপুরে নেই, শব্দ তৈ এর ব্যর্থতায়, জ্যোৎস্নাবীর তীব্রতায় এবং তিমিরের প্রতিশোধে!




এই সিরিজের আগের লেখা দুটিঃ

Click This Link

Click This Link


উৎসর্গঃ আমার প্রিয় সমুদ্রকন্যা আপিকে।
যখন লেখালিখি পুরোপুরি বাদ দিয়ে আমি অলেখক থেকে একেবারে নালেখকে পরিণত হয়ে গেছি, তখনই জানতে পারলাম এখনও কারও মন খারাপ হলে আমার লেখা পড়তে ইচ্ছে হয়! সেদিনই মনে হয়েছিল আমি যাই লিখি, অন্তত একজনের তো এত ভাল লাগে! কেউ তো আমাকে বলে টুকি আবার লিখো! সেদিন আমি আপিকে বলেছিলাম আমি আবার লিখবো, আপির জন্য হলেও শেষ একবার লিখবো। সেই দুঃসাহস আজ করে লিখে ফেললাম! জানি না কেমন হয়েছে, জানার তেমন আগ্রহ নেই, শুধু সমুদ্রকন্যা আপির ভাল লেগে গেলে মনে করবো আমি এখনও অলেখক হবার যোগ্য। নালেখক হবার থেকে অলেখক হওয়া ভাল।
২৩টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×