যে সব দেশ [অর্থাৎ দেশের এলিট ] দ্রুত উন্নয়নশীল এবং উন্নতদের কাতারে নিজেদের দেখতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য ইংরেজী প্রায় উন্নয়নের সমার্থক হয়ে গেছে।
যেমন বাংলাদেশ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইস্ন হয়ে পালটে যাওয়ার আশা করছে...।ইংরেজী নাম একটা আলাদা গুরুত্ব এনে দিচ্ছে,যেটা বাংলা পারছে না। যে কোন পাবলিক রিলেশন্সের লোকই জানেন জিনিসটা কতোখানি মানসিক।
ইংরেজী জানা হয়েছে গ্ণগানের সমর্থক, যোগ্যত্তার সমার্থক। প্রকৃত অর্থে যারা মেধাবী ও/বা যোগ্য তারা দ্রুতই নিজেদের ইংরেজী বিদ্যা সময়োপযোগী করে নিচ্ছে, কারণ এ ছাড়া আর চারা নেই।
শুধু ইংরেজীই বা কেন, বাংলা বিদ্যার বহর দেখেও তো দীর্ঘশ্বাস ফেলতে হ্য, যে বাংলা আমরা হাতে খড়ি থেকে শিখি, সেই বাংলা। শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, এবং নর্থ সাউথ [নিদর্শন স্বরূপ] এ যদি বাংলা জ্ঞানের অপর একটা জরিপ চালানো হয়, ফলাফল দেখে শিক্ষা কর্মকর্তারা লজ্জা পাবেন। তাহলে বঝুন, এই এভাবেই যদি ইংরেজী শেখানো হয়, সেই মহাযঞের ফলটা কী রকম হবে।
আমাদের গোটা শিক্ষা ব্যাবস্থাটাই অত্যন্ত বাজে অবস্থ, এটা পাল্টাতে হবে- এক্ষুনি।
শুধুমাত্র SAT ও GRE করে একজন শিক্ষার্থী যে পরিমাণ শব্দ শিখে নেয়, তার বাংলা ততোগুলি প্রমিত শব্দ জানা নেই। আরো যত দিন যাচ্ছে মানুষের শব্দভান্ডার ছটো হয়ে যাচ্ছে, প্রতিদিন প্রচলিত শব্দ অপ্রচলিত হয়ে যাচ্ছে, নতুন শব্দ তৈরী হওয়া তো দূরাশা, প্রতিশব্দ, প্রবচন, প্রবাদ প্রভৃতি মানুষের মুখের থাকে ঠাঁই নিচ্ছে বাংলা দ্বিতীয়পত্র বইয়ে।
বদলে একটা সরল মৌখিক ভাষা তৈরী হচ্ছে। ভাষা পাল্টাবেই। জীবন্ত ভাষা পাল্টাতে বাধ্য।কিন্তু বাংলা সমৃদ্ধ না হয়ে সরলীকৃত হচ্ছে। যেটুকুতে কাজ চালাবার মট মনের ভাব প্রকাশ করা যায় ততোটুকুই মানুষ শিখতে আগ্রহী। পত্রিকা, তভ চ্যানেল, চটুল সাহিত্য সবকিছুতেই এই সীমাবদ্ধ ভাষা ব্যবহৃত হচ্ছে।
ব্যবহার না করলে স্বাভাবিক ভাবেই ভাষা দূর্বোধ্য লাগবে। পরিচিত শব্দ যতোই কঠিন হোক, অর্থ বহন করে, অপরিচিত তিন অক্ষরের শব্দও দুর্বোধ্য।