এখন বাচ্চাদের সরকারী স্কুলে পাঠানো মানে কতগুলি সরকারী কর্মকর্তার খামখেয়ালী ‘এক্সপেরিমেন্টে’র গিনিপিগ বানানো। বাবামা নিজে না খেয়েও ছেলেমেয়েকে দুধেভাতে রাখতে চায়। আজকাল তাই সামর্থ্যবানরা কোন মিদিয়ামে পড়াবে তা নিয়ে দুবার চিন্তা করাও প্রায় ছাড়ে দিচ্ছে।
ইংলিশ মিডিয়াম দ্রুতই মূলধারা হয়এ যাচ্ছে। কেউ তার ছেলে মেয়েকে মূলধারার বাইরে রাখতে চায় না। বিজ্ঞাপনের নিডো/হরলিকস খাওয়া, সার্ফ এক্সেল দিয়ে ধয়া জামা পরা, বার্জার লাগানো বাড়ীর ছেলেমেয়েগুলির খাতায় এখন ইংরেজীতে অংক করা থাকে।
উচ্চবিত্ত যে পথে যায়,মধ্যবিত্তর চেষ্টা থাকে যথাসম্ভব সে ‘স্ট্যাটাস মেনটেন’ করা।নিম্নমধ্যবিত্ত যদিও পারে না, চেষ্টা করে, শখ করে। যেমন সাধারণ পরিবারের মেয়েটিও আজকাল ওড়না দিয়ে [যদিও খ্যাত] একটা স্কার্ট পরে বেড়াতে বের হয়। মানুষ বড় উড়তে চাইছে আজ। অন্তরঙ্গের চেয়ে বহিরঙ্গে জমকালো হতে চাইছে।
যতই আমি মেধাবী হই না কেন, ফড়ফড় করে ইংরেজী না বললে, বা অন্তত ‘র’ কে ‘ড়’ উচ্চারণ না করলে মানুষ বুঝবে কেনো?মানুষকে বোঝাতে হবে তো।