বাংলাদেশ যখন কোন বড় দলকে হারায় তখন আমি সেই দলের ফেসবুক পেজে তাদের সমর্থকদের কমেন্ট গুলো পড়ি।এটা এক প্রকার মজা আমার কাছে। বিশেষ করে গত এশিয়া কাপের আগের এশিয়া কাপে ইন্ডিয়া এবং শ্রীলংকাকে হারানোর পর দেখিছিলাম যে এই উপমহাদেশের সমর্থকরা নিজের দেশের হার তো সহ্য করতে পারেই না উল্টো প্রতিপক্ষকে ছোট করার সবদিক দিয়ে চেষ্টা করে। আজকে অভ্যাসবশত ইংল্যান্ডের পেজেও টুই মারি এবং তাদের সমর্থকদের কমেন্টগুলো পড়ি। তাদের সমর্থকরা নিজের দেশের এমন পরাজয়ে স্বভাবত হতাশ তবে তারা তাদের প্রতিপক্ষকে ছোট করেনি। বরং আমাদের অতি উৎসাহী সমর্থক দেখানে গিয়া উল্টাপালটা কমেন্ট করতে থাকে; যা লজ্জাজনক। এছাড়াও জয়ের পর অনেকে অনেক ট্রোল বের করে যেগুলোতে প্রতিপক্ষকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়। মনুষ্যত্ব বোধ মানুষকে মানুষকে সব সময় ধারন করতে হবে সেটা নিজের দলে জয় বা পরাজয়েও।
আজকের জয়ে আমিও অনেক খুশি; বিশেষ করে আমারা কোয়াটার ফাইনালে যেতে পেরেছি বলে এই জয়ের খুশি আমার কাছে অনেক অনেক বেশি। তবে খেয়াল রাখা উচিত আমরা যেন সেখানে বাড়াবাড়ি না করে ফেলি। আমাদের দেশের দর্শকদের ধর্য অনেক কম। একটা ম্যাচ খারাপ খেললে গালির বন্যায় ভাসিয়ে দেয় আবার একটা ম্যাচ জিতলে আসমনে তুলে ফেলে।
অনেক বিদেশি প্লেয়ার আমাদের ব্যাপারে অনেক নেগেটিভ কথা বলেছে, আমাদের ওয়ানডে কিংবা টেস্ট স্ট্যাটাস নিয়ে। সেই কথাগুলো উত্তর মনে করি আমাদের প্লেয়ারদেরকে মাঠে দিতে হবে। যে লারা, বোথাম, শের্ন ওয়ান কিংবা শোয়েব আক্তার আমাদের খেলা নিয়ে খারাপ কথা বলেছিলো তারাই আজকে আমাদের জয়ে বাহ বাহ দিচ্ছে। এটাই পৃথিবীর নিয়ম, সফলদের মানুষ পূজা করে আর বিফলদের নিয়ে সমালোচনা করে। আর জামশেদের মত প্লেয়ারের কথায় কেন আমরা এত উত্তেজিত হচ্ছি? কুকুর ঘেঊ ঘেঊ করবেই। আমরা তো সেই কুকুরের সম পর্যায়ে নই। তাদের যেখানে কোয়াটার ফাইনাল নিশ্চিত হয়নি সেখানে আমাদের কোয়াটার ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেছে দেখে তাদের গাত্রদাহ তো হবেই।