সীতাকুণ্ড,মিরসরাই ট্রেক,ভবঘুরে জীবনের গল্প...(দ্বিতীয় পর্ব)
ইতোমধ্যে সূর্য ডুবে গেছে।সন্ধ্যা পেড়িয়ে রাতের আগমনী বারতা টের পাচ্ছি।শুরু করে দিলাম এক অসম্ভব রোমাঞ্চকর,ভয়ঙ্কর ট্রেকিং।একেতো অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে সাথে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে রাস্তায় হাঁটু পরিমান কাদার পাহাড়।সেই বীভৎস কাদার রাজ্যে হাটাই যেখানে কষ্টসাধ্য সেখানে আমরা রীতিমতো দৌড়েছি ঝর্ণার মাদকতাময় আহবানে।হাতের লাথিটার গুরুত্ত এবার খুব বেশি টের পাচ্ছিলাম।আধো আলো আধারিতে এবড়ো থেবড়ো রাস্তায় কতবার যে চিৎপটাং খেতে হতো তার হিসেব রাখার জন্য হিসাবরক্ষক নিয়োগ দেয়া লাগত। তারপরেও যে দুই এক বার কাদামাটি তে গড়াগড়ি খাইনি তা কিন্তু বলছিনা।গোপন কথা থাকনা গোপন। আমাদের নিজাম ভাই তার মুখস্ত রাস্তায় স্বভাবতই উসাইন বোলটের গতিতে হাঁটছে সবার আগে।পিছনে আমরা দৌড়াচ্ছি।আমি কিন্তু তার পিছনে আঠার মতই লেগে ছিলাম।
কাদার রাস্তার ফাঁকে ফাঁকে মাঝে মাঝেই ঠাণ্ডা ঝিরি পেয়ে যাচ্ছিলাম যা আমাদের জন্য ছিল আশীর্বাদের মত।কখনও কখনও উত্তাল ঝর্না বেয়ে নেমে আসা কোমর পরিমান পানির স্রোত পাড় হতে হয়েছে যা বেশ ভয় পাওয়ার মত বিশেষ করে অনিশ্চিতের রাস্তায় যে সাঁতার পারেনা তার জন্য আধো অন্ধকার রাতে স্রোতস্বিনী পানির পানির ঢেউ পাড় হওয়া সাহসের বটে তবে সেই সাথে নিজেদের কে রিচারজও করে নিয়েছি,ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা মেরে আবার রিলোড করেছি আমাদের।
আমাদের রাস্তা যেন আর ফুরায় না।আমরা নিজেরাও মাঝে মাঝে নিজেদের কে হারিয়ে ফেলছিলাম।একজন এই ট্রেইলে একেবারেই নতুন অন্যজন বেশ অভিজ্ঞ,দলনেতা সে।সবার মধ্যে একই গতি রেখে ট্রেকিং করা খুব মুশকিল বিশেষ করে এরকম যখন দৌড়ের উপর থাকতে হয় কারন সবার ফিটনেস লেভেল এক না যে জন্য আগের জন কে অপেক্ষা করতে হয় পিছিয়ে পড়া ট্রেকারের জন্ন।এটাও একটা অন্য মজা,সবার মধ্যে একতাবদ্ধতা তৈরি করে।এক টা টিম হয়ে কাজ করার,এগিয়ে যাওয়ার।
ঠাণ্ডা পানির শীতল স্রত,কাদাজল মাড়িয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি।কিছুদিন আগে উত্তাল বেগে বয়ে আসা ঝর্ণার পানির উন্মত্ততার নিদর্শন পাচ্ছি একটু পর পরি।কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে পাহাড়ি ঢল তার প্রমান রেখে গেছে সে।তার বিষাক্ত দংশনে বিভিন্ন রকমের বাগান উজাড় হয়ে গেছে,ভেসে গেছে ফলের বাগান থেকে শুরু করে সবুজ ফসলের খেত।নিজাম ভাই জানালো এক মাস আগেই এই এলাকা কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত ভেসে গেছিল পানির ভেলায়।
এতক্ষনে শুনতে পাচ্ছিলাম নোয়াতেখুম ঝর্ণার সুতীব্র আহবান।এক অদ্ভুত গন্ধ ভেসে আসছিল বাতাসে।উত্তগ্ন মাদকতা সেই বাতাসে।যারা ঝর্না ভালবাসেন,যাদের সাধ্য নেই তার উন্মত্ত ডাক এড়ানোর তারাই চিনেন এই গন্ধটা।নেশা ধরিয়ে দেয় সমগ্র শিরা উপশিরায়,এমনি বজ্জাত এই গন্ধ।গন্ধ শুকতে শুকতে আশ্চর্য সম্মোহনের মতো গিয়ে দাড়ালাম অনিন্দ্য রুপসি নোয়াতেখুমের সামনে।তারপরের গল্প নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের ......
এবার চলুন কিছু মন ভোলানো ছবি দেখে নেই
চলবে....
প্রথম পর্ব এখানে :
http://www.somewhereinblog.net/blog/tushar007007/29986875
জীবনের গল্প
মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
অভিমান
" অভিমান "
তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।
আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার কিছু ভুল!
১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...
অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা
আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন