খুব শখ করে একটা ডানহিল ফাইনকাট ধরিয়ে যখন সুখটানটা দিলাম, মীর্জা ভাই এসে উপস্থিত হলেন।
"তুই শালা একটা মাগী!"
থতমত খেয়ে আমি বলি, "ক্যান?"
"সরু সরু হান্ড্রেডস যে মেয়েদের সিগারেট জানোস না?"
বিষয়টা মাথায় ছিল না। সাড়ে আট ডলার দিয়ে কেনা, না পারি ফেলতে, না পারি ফুকতে। এসব সময়ে প্রসঙ্গ পালটানো জরুরী । জিজ্ঞেস করি, "দেশের অবস্থা কি মীর্জা ভাই?"
"সব হারামীর হোগায় বাঁশ, প্রপার্টির হিসাব দিতে কইছে, অহন পাছা দিয়া ত্যাল পড়ব"
মীজর্া ভাই অস্টিনের কাপাডেলটাপাই, ভিএলএসআই নিয়ে মাস্টার্স করে সাথে একটা এমবিএ বাগিয়েছেন ওয়ার্টন থেকে । অনেক জল ঘোলা করে ফরচুন ফাইভ হান্ড্রেড কোম্পানীর সাপ্লাই চেইন সিস্টেমস ম্যানেজার হলেও, ভাষার ব্যাপারে এখনও ফরিকাপুলের সেই মীর্জা মোহাম্মাদ রব্বানী রয়ে গেছেন।
"আবার কি হল, বস?"
"ওই যে, তুমার চাচায় পোংগা মারছে! এখন সব কয়টারে খাসী বানায়া ইউনুসরে বসাইবো ক্ষ্যামতায়"
"তো ক্ষতি কি? উনি তো লোক ভালো। এইট পাশ না, পিএইচডিটাও জেনুইন। ভালো ব্যবস্থাপক। মনে তো হয় না খারাপ হবেন। একটু চেইঞ্জ মন্দ কি?"
"হ তোরে কইসে!"
আজকে প্রচুর কাজ হাতে । দিনের শুরুতে মীজর্া ভাই এর সাথে ক্যাচালে যাওয়া ঠিক না। আমি দৃষ্টি ফিরাই লোটাস নোটসের দিকে।
"দেশটা শালার ধান্দাবাজ, রাজাকার আর সুদখোরে ভইরা গেল!", মীর্জা ভাই গজগজ করতে থাকেন...
কিছু করার নাই। সারাদেশে হাজার হাজার মীর্জা ভাই ড্রয়িং রুমে চায়ের কাপ হাতে নিয়ে দিনরাত গজরগজর করে যাচ্ছেন । আমি ভাই কামলা মানুষ । দাতমুখ খিচে আবার ঝাপ দেই কাজে...
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০