ঈশ্বর ঘোঁৎ করে একটা আওয়াজ করলেন
ইদানিং তাঁর মেজাজ চড়ে থাকে । ভেবেছিলেন ইবলিশের সাথে দু'দান দাবা খেলে একাকীত্ব লাঘব করবেন। কিন্তু হারামজাদা শয়তানটা প্রতিবারই তাঁকে হারিয়ে দেয়। আজকে তার ব্যতিক্রম হয়নি সেটা ঘোঁৎ করে ওঠাতেই স্পষ্ট।
আমি আবার বললাম, "মহাপ্রভু"
ঈশ্বর এবার দপ করে জ্বলে উঠলেন । তিনি জ্বলে উঠলে চোখ নামিয়ে ফেলার নিয়ম। ঈশ্বরদের প্রশ্ন করার নিয়ম নেই। তারা বাই ডিফল্ট সর্বোজ্ঞ।
"দুনিয়া যে উচ্ছন্নে গেল... সবাই যে আপনার অপেক্ষায়"
ঈশ্বর এবার ফোঁস করে উঠলেন, সমূহ বিপদের লক্ষন। একবার ভাবলাম কেটে পড়ি, এমন সময় মহাপ্রভূ হাওয়ায় মিলিয়ে গেলেন। এরকম কিছু হলে আমি গন্ধম গাছের পিছে লুকাই। রেগে গেলে ঈশ্বরের ঢিল ছোড়ার অভ্যাস আছে। তখন এই গাছটাই সেরা রেফিউজ। ডানা ঝাপটা দিয়ে যেই গাছের দিকে যাচ্ছি তখন আবার সেই ফোঁসফোঁসানি, মহাপ্রভূর পুনরাবির্ভাব।
"জ্বী, মহাপ্রভূ?", মাথা নিছু করে বলি আমি
প্রবল শক্তিতে তিনি কি যেন ছুড়ে মারেন আমার দিকে । তারপর আবার সেই ঘোঁৎ। ঈশ্বর মিলিয়ে যান হাওয়ায়।
আমি বেকুবের মতো হাঁ করে দেখি সামনে। ইহাই কি জগৎ সংসারের অন্তহীন হানাহানির পরম দাওয়াই?
ঈশ্বরকে সেই প্রশ্নটা জীজ্ঞাসা করার সাহস হয়নি আমার । ঈশ্বর এক মনে দাঁতে দাঁত চেপে ইবলিশের সাথে দাবা খেলেই গেছেন । আমিও আমার মতো রামছাগলটাকে পৃথিবীতে পৌছে দিয়ে এসেছি। জগৎ সংসারে ঘাসের অভাব হয় না..
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০০৭ রাত ২:২৩