এরকম বিব্রতকর পরিস্থিতির জন্য ঐ অ-শ্লীল "মায়েরা"ই দ্বায়ী
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
একটা বড় প্রশ্ন আছে ঃ -মেয়ে হোক ছেলে হোক যার মাথায় আছে "রাত ১০টায় পড়া শেষ করে আমি মার সাথে কম্পিউটারে গেমস খেলবো" প্রেমিকের সাথে গল্প করতে রমনা পার্কে যাওয়ার মত একটা প্রগ্রাম মাথায় থাকলে তো ১০ বছরের একটা সন্তান পড়াতেই মন বসাতে পাড়বে-না , বার বার তাকাবে ঘড়ির দিকে , কখন বাজবে রাত ১০-টা ?
একটা প্রতিবেদনে পড়লাম বাংলাদেশের ঢাকায় এক বাংগালী মা "রাত ১০টার পর ছেলে পড়া শেষ করলে প্রতিরাত মা ছেলে কম্পিউটারে গেমস খেলে" যে ছেলেটি মাত্র ক্লাশ ফোর-এ পড়ে , এই ফোর-এ পড়া ছেলের বয়স"ই বা কত হবে ? খুব বেশী হলে ১০ বছর ! আমি ভাবতে পারছি না প্রতিবেদনটি আমি সজাগ অবস্থায় আমার নিজের চোখে পড়েছি না ঘুমন্ত অবস্থায় স্বপ্নে দেখেছি , -যে সব দেশ কম্পিউটার এবং কম্পিউটার-গেমস আবিস্কার করেছে সে-সব দেশ ; -যেমন আমেরিকা , ইউরোপ বা জাপান "সে-সব দেশের কোন একটা সম্ভ্রান্ত পরিবারের "মা" তো কল্পনাই করতে পারে-না বা পারবে-না কি"করে সম্ভব ক্লাশ ফোর-এ পড়া তার সন্তান-কে নিয়ে রাত ১০ টার পর "মা-ছেলে মিলে কম্পিউটারে গেমস খেলবে ? তা ছাড়া রাত ১০টায়"ই-বা ছেলে পড়া শেষ করবে কেন ? স্কুল থেকে ফিরে ছেলে করেছে-কি ? স্কুল থেকে ফিরে ছেলে নাস্তা শেষ করে তারপর তার "হোম-ওয়ার্ক" শেষ করবে , তার-পর খেলা করে এসে ( যদি সে খেলতে যায় বা খেলা করে ) রাতের খাবার খাবে । রাত ১০টা তো দূরের কথা রাত বা সন্ধ্যা ০৮ টার মধ্যে খাওয়া শেষ করে ০৯ টার মধ্যে তো ক্লাশ ফোর-এ পড়া সন্তানের বিছনায় থাকবে ! এটাই তো স্বাভাবিক !আমাদের দেশের মেয়েরা পশ্চিমের মডেল নেয় এবং ভিন্ন কোন দেশের মডেল নেয়া অন্যায়-ও নয় বরং তা মুক্ত বিনিময়ের একটা অংশ যা আমরা বিনা মূল্যে আদান প্রদান করতে পারি , তাতে দেশের শিপ্ল এবং স্বাংকৃতি পাবে নূতন আলো-বাতাস ! কিন্তু দেশে ফিরে যখন « ঢাকার রোকেয়া-হল বা ঢাকায় কোন আত্মীয়-স্বজনদের বাসা "উত্তরা "বসুন্ধরা বা বাড়ী ধারাতে যাই "তখন রাস্তায় বের হলে যে-সমস্ত সেক্সী বা অদভুত রকমের মেয়ে নজরে আসে তা দেখে হাসি-ও আসে আবার কিছু বলতে-ও পারি না , কি বলতে কি হয়ে যাবে , তার উদাহরন-তো মেয়েদের গায়ে ভুতুরে ধরনের পোষাক , অদভুত রকমের হেয়ার কাটিং এবং ম্যাক-আপ করা মেয়ে দেখেই বুঝতে পারলাম , শুধু যে আমি"ই বুঝলাম তা"ই নয় , চলতে পথে রাস্তার আশে পাশে দাড়িয়ে থাকা ছেলেরা পর্যন্ত বুঝছে এবং তারা তাদের প্রতিকৃয়া ব্যাক্ত করছে মেয়েদের "হাই-সেক্সী" বলে সন্মান জানিয়ে , যে ধরনের পোষাক পশ্চিমের মডেল বলে ব্যাবহার ঢাকার মেয়েরা করছে তা কিন্তু তাদের মধ্যে এই ধারনাটা নাই -যে " আমরা পশ্চিমের মডেল ব্যাবহার করছি ঠিক , কিন্তু আসলে কোন ধরনের মেয়েরা এই অ-শ্লীল পোষাক ব্যাবহার করে ও হেয়ার কাটিং এবং ম্যাক-আপ করে ? যদি সত্যি-সত্য"ই জানতো তা"হলে এই পোষাক-গুলো তারা ব্যাবহার করতো-না , কারন তারা এতো খারাপ মেয়ে-নয় বা হয়ে যায়-নাই বলে আমার বিশ্বাষ আছে । একটা মেয়ে অ-শ্লীল ধরনের পোষাক ব্যাবহার করবে বা কোন মাতা-পিতাই চাইবেন-না তাঁদের মেয়ে নিন্ম-শ্রেনীর পোষাক পড়ে ঢাকার রাস্তায় বের হউক ! কোন মেয়ে বা কোন মাতা-পিতা তাঁদের প্রিয় সন্তানদের না-জেনেই ঐ অদভুত রকমের হেয়ার কাটিং করতে দিয়েছেন যা পশ্চিমের বুড়ী-গন করে , কারন তাদের বয়সের ভার সাম্যতা রখ্যার জন্য ঐ রকম করে হেয়ার কাটিং , অ-প্রিয় পোষাক-গুলো ব্যাবহার এবং ম্যাক-আপ করতে দিচ্ছেন যা সাধারনত পশ্চিমের "নিশিদ্ধ-পাড়া"র মেয়েরা পড়ে বা করে অথবা ইউরোপে স্থায়ী বা অস্থায়ী ভাবে বসবাস রত এ্যারাবিয়ান দেশের নষ্ট মেয়ে-গুলোর কপি হলো এই ধরনের পোষাক, তারপর-ও ডিপেন্ট করে কোন মানের "নিশিদ্ধ-পাড়া" বা এ্যারাবিয়ান দেশের নষ্ট মেয়ে-গুলোর "গেট-আপ" ? মান -১ , মান -২ না মান -৩ ? আমাদের মেয়েরা পশ্চিমের মডেল নেয় ঢাকার রাস্তায় এমন মেয়েদের অভাব নাই , ঢাকার "রোকেয়া-হল "উত্তরা "বসুন্ধরা বা বাড়ী ধারার মেয়েরা পশ্চিমের মডেল বলে -যে ধরনের পোষাক , আচরন ও অঙ্গ-ভঙ্গি করেন তা আবার "ধান মন্ডির" মেয়েদের মধ্যে দেখা যায়-না ( "ধান মন্ডি" বলতে কিন্তু আমি স্বাধীনতা-পূর্ব "ধান মন্ডি"র কথা বলছি , এখনকার "ধান মন্ডি" নয় , এখনকার "ধান মন্ডি"-তো হলো সাভারের "আমিন বাজার" , এই রকম"ই আর-কি ) , কেন এই ব্যাতিক্রম "ধান মন্ডি" আর « ঢাকার রোকেয়া-হল "উত্তরা "বসুন্ধরা বা বাড়ী ধারার মেয়েদের মধ্যে ? তার জবাব অনেক কঠিন কিন্তু সত্য ! আর আমার ধারনা আমরা সবাই"ই সত্য-কথা বলি এবং সত্য শুনতে-ও পছন্দ করি এবং আমি জানি এই স্মার্ট যুগে এসে আজ আমরা সত্য মেনে নেয়ার-ও মনমানষীকতা আমাদের মধ্যে তৈরী হয়েছে তাই আমি কঠিন কিন্তু সত্য জবাব"ই দিচ্ছি ; -তার কারন "ধান মন্ডির" অধিকাংশ পরিবার"ই হলো আদি এবং সম্ভ্রান্ত পরিবার , আর "উত্তরা "বসুন্ধরা বা বাড়ী ধারার প্রায় সব পরিবার"ই স্বাধীনতার পর "অ-বৈধ উপায়ে পয়সা উপার্যন করা লোকদের আবাস-স্থান যারা স্বাধীনতা-পূর্ব জীবনে নিন্ম ভিত্ব বা নিন্ম পরিবারের লোক ছিলো ! যার ফলে ন্যাচেরাল এই পরির্বতন এবং স্বভাব চরিত্রের এই ভিন্নতা ! এই রুচিবোদের কারনে কি তারা করছে তার বিচার না করেই এমন সব নৈতিক চরিত্র তাদের মধ্যে প্রবেশ করেছে যা নেদারল্যান্ড বা হলান্ডের রাজধানী আম্সটার্ডামে "নিশিদ্ধ-পাড়া"র মেয়েরা-ও
"ঢাকার রোকেয়া-হল উত্তরা-বসুন্ধরার" মেয়েদের তুলনায় বেশ সংরখ্যিত এবং ওরা কখন-ও অ-রুচিশীল পোষাক পড়ে রাস্তায় ঘুড়বে তো দূরের কথা , "ওদের "শো-রুমটিতে-ও বসবে-না ঐ ধরনের "পোষাক "গেট-আপ করে যা ঢাকার মেয়েরা পরে বা করে ! তো আমরা ঢাকার বা বাংলাদেশের মেয়েরা পশ্চিমের এই অ-রুচিশীল মডেল কপি করতে যদি পারি -তা"হলে পশ্চিমা সম্ভ্রান্ত পরিবারের মায়েরা তার ক্লাশ ফোর-এ পড়া সন্তানের জন্য কি ত্যাগ শ্বীকার করে সেই সভ্যতার মডেল-টা কেন নিতে পারি-না অথবা তাঁদের সভ্য মডেলটাকে নিজেদের চরিত্রের সাথে যোগ করতে পারি-না ? আমি আরো পড়েছি , ছেলে মা-কে প্রশ্ন করেছে "মামনি , মা ছেলের রসালো গল্প কি ? চটি গল্প কাকে বলে ? আমাকে একটি চটি গল্প শোনাবে ?" তাতে ছেলেটির মা নাকি এক বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পরেছিলেন ! মায়ের এই বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পরার আর -ছেলের এই বিব্রতকর ও অদভুত শ্রশ্নের জন্য কে দ্বায়ী " ছেলে না ছেলের মা ? কে অনুমতি দেয়েছে ছেলেকে রাত দশটার পর মায়ের সাথে কম্পিউটারে গেমস খেলার ? কম্পিউটার আবিস্কার হয়েছে অবশ্বই পড়া-লেখার জন্য , খেলার জন্য-ও তা মানলাম কিন্তু তা করার জন্য চাই সুষ্ঠ একটা ব্যাবস্থা ও সময় , কিন্তু ছেলের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে রাত দশটায় ছেলেকে মার মুখে চটি-গল্প শুনানোর জন্য এবং শুধু মায়ের সাথে গেমস খেলার জন্যতো কম্পিউটার আবিস্কার করে-নাই ? আমার পরিস্কার বক্তব্য ঃ "এরকম বিব্রতকর পরিস্থিতির জন্য ঐ অ-শ্লীল "মায়েরা"ই দ্বায়ী ! নিঃসন্দেহে । আমার মত ঃ আগামীতে এই রকম বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাইতে হলে সব কিছুর আগে প্রয়োজন আমাদের মিথ্যা অহমিকা , অহংকার এবং আবেগ ত্যাগ করে সত্যকে শ্বীকার এবং অন্যের সুন্দর আর ভালো-কে মেনে নেয়া বা গ্রহন-করা ! যা জানি-না তা জানা , অন্যে কি করছে তা সে কেন করছে তা প্রথমে জানা , তারপর সঠিক সিদ্ধ্যান্ত নেয়া "আমর কি তা করা প্রয়োজন ? অন্যে চশমা ব্যাবহার করছে তাই বলে আমার-ও তার মত একটা নিতে হবে তা-তো হতে পারেনা , তার চোখে সমস্যা বা দৃষ্টি-শক্তি লোপ পেয়েছে তাই সে তা নিয়েছে , আমার বেলায় তার মত চশমার প্রয়োজন না-ও হতে পারে , আর যদি মনে হয় আমার একটা চশমার প্রয়োজন তা"হলে প্রথমে আমার কি করতে হবে ? চশমা নেয়ার আগে আমাকে "চখ্যু-ডাক্টারের কাছে যেতে হবে এবং আমার চোখ পরিখ্যা করে ডাঃ সাহেব সিদ্বান্ত নিবেন কি বা কেমন পাওয়ারের শচমা নিতে হবে , এমন-ও হতে পারে আমার চশমার দরকার"ই হবে-না , এমন কিছু-কিছু চখ্যু সমস্যা আছে যা শুধু ব্যায়ামেই সেরে যায় "চখ্যু-ব্যায়াম" তার জন্য চশমার কোন প্রয়োজন-নাই ! কিন্তু আমরা তা না করে যদি আমি আমার ইচ্ছামত যে কোন পাওয়ারের একটা শচমা নিয়ে নিলাম তাতে তো চোখ ভালো না হয়ে বিপরিত-ও হতে পারে , এমন-কি আমার মূল্যবান দৃষ্টি-শক্তি-ও হারিয়ে ফেলতে পারি ! সুতরাং কিছু করার আগে "আগে আমাকে ভাবতে হবে যা করতে যাচ্ছি তা করা আমার প্রয়োজন এবং শোভা-পায় কি-না ?
৭টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।
ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।
সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা
সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না
...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না
ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়
প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন