somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাহাদাত উদরাজী
সাহাদাত উদরাজী'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - 'গল্প ও রান্না' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

ব্রাত্য রাইসুঃ এই সময়ের সেরা চিন্তাবিদের একজন

২৮ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্রাত্য রাইসুকে আমি কখনো সরাসরি দেখি নাই বা কোন মাধ্যমে কথাও হয় নাই কিন্তু দীর্ঘদিন অনলাইনে থাকার কারনে কোন বা কোনভাবে তার লেখা বা চিন্তা গুলো আমার কাছে আসে এবং পড়ি, যেমনি আরো অনেকের লেখাও পড়ি এবং সেই সব চিন্তাজীবি মানুষের সাথেও নিজকে জড়িয়ে রাখি। আর একথা সত্য যে, তার উপর চোখ আছে গত ৩০ বছর ধরেই। আমি মনে করি, বেহমিয়ান একটা জীবনযাপন করেন এই লেখক (লেখকেরা সেরা চিন্তাবিদ) এবং চিন্তার জন্য যে জীবন দরকার, তিনি এমনি একটা জীবন পার করছেন (হিংসা করার মত)। এমন জীবন যাপন, এটা ভাল বা সুষ্টু চিন্তা করার জন্য খুব দরকারী কারন এই জীবন যাপন করলে কারো কাছে হাত পাতা লেখা লিখতে হয় না বা ফরমায়েশি লেখা বা চিন্তার দরকার পড়ে না!

অন্যদিকে আমি দেখেছি তার কথা বলার বিষয় বেশ স্পষ্ট এবং লেখার গুন গত মান স্পষ্ট। যে কথাটা আমি লিখি সেটা হয়ত সাহিত্যিক চিন্তা মান ভাল হবে না কিন্তু একই বিষয়ে তিনি যখন লিখেন সেটা এত স্পষ্ট এবং সাহিত্যিক ভাব এত থাকে যে আপনি সেটা পড়ে ভাবতে বসবেনই! এটাই মুলত একজন লেখকের কাজ! অনেক লেখক এই কথাটা বুঝেন না, বইয়ের পর বই বের করলেই যে লেখক নন, এটা হয়ত তার মাথায় থাকে না! ব্রাত্য রাইসু কম লিখেছেন তবে লেখার পুরাই ফয়দা লুটেছেন বলে আমি মনে করি। বিশেষ করে ব্রাত্য রাইসু অনলাইনের মজাটা একটু ভালই নিয়েছেন, তিনি স্পষ্ট বলে বলে তার চিন্তার পাঠকে টেনে নিতে পেরেছেন। কোয়ালিটি চিন্তা করে বেশ এগিয়ে আছেন তিনি।

ব্রাত্য রাইসু নিয়ে অনেক বড় কিছু লেখা বা বলা যায়, এবং সেটা পরবর্তি প্রজন্ম করবে বলে আমি মনে করি। তাকে নিয়ে এক সময়ে অনেক গবেষণা হবে নিশ্চয়। আমি দেখছি বা অনুমান করছি ব্রাত্য রাইসুর কাছে এখনো এমন সুযোগ আছে যে, একটু কোন দলে ভীড়ে গেলেই বা তাদের একটু তেল দিলেই, ব্রাত্য রাইসু তার জীবনের একটা হিল্লা করে ফেলতে পারেন, কিন্তু এত বছরে ধরে দেখলাম, তার সেই চেষ্টা নেই! তবে শিল্পের বা অভিজ্ঞতার খোঁজে তার পদচারনা আবার কোথায় নেই! যাই হোক, তাকে আরো দেখি, যদি কোনদিন তাকে নিয়ে আরো ভাবতে পারি তবে আবারো লিখবো। সঠিক বা উন্নত চিন্তা করার যে জীবন দরকার, সেটা আমার এখনো নেই। আমি নিজেও সেই মুক্তির অপেক্ষা করছি! ব্রাত্য রাইসুর লেখা গুলো পড়ে দেখতে পারেন, আনন্দ পাবেন বা নুতন চিন্তার চেষ্টা করতে পারবেন।

আমি এখানে একটা নমুনা পেশ করছি! কয়েকদিন আগে তার অনলাইনে লেখা ছোট একটা লেখা আপনাদের জন্য তুলে দিচ্ছি। পড়ে দেখতে পারেন, এমন চিন্তাটাই মুলত তাকে সামনের সারিতে রেখেছে!

বই ও অতীতের আবর্জনা ~

বেশির ভাগ লেখক নানা ভাবে সমাধা হইয়া গেছে এমন সব একটু বেশি অতীত সমস্যার সমাধান আবিষ্কার ও প্রচার কইরা থাকেন তাদের বইগুলিতে।

নিকট অতীত লইয়া আলাপ খুব কম বইয়ে পাইবেন।

এর এক কারণ, মানুষের শৈশব।

শৈশবে যেই সব জিনিসরে প্রবলেম মনে হইতো, সেগুলি আসলে সেই শৈশবেরও অতীতের প্রবলেম। তখনও সলভ হইছিল না, এমন সব প্রবলেম।

মানুষ এগুলি লইয়া বড় হয়। একটা সময় বোধবুদ্ধি বাড়ে। তারপরে লেখকেরা, প্রধানত সাবজেক্টের অভাবে, অতীতের এইসব সমস্যা লইয়া ঝাপাইয়া পড়ে।

অনেক ক্ষেত্রে জানেও না এগুলি আর প্রবলেম আকারে নাই, সামজিক ভাবে বা বিশেষজ্ঞদের বরাতে সমাধান হইয়া গেছে এইসবের, বা বোঝা গেছে সমাধানের অতীত এইসব প্রবলেম।

তো বিগ হইয়া লেখকেরা শৈশবকালীন অতীতের সমাধান করতে বসে। নানান ধরনের সমাধান দেয় লেখার মধ্য দিয়া। বই আকারে সেগুলি বাইর করে।

বইগুলি গল্প, উপন্যাস, কবিতা বলেন আর নন ফিকশন ইত্যাদি যাই বলেন এইসব আকারে আমাদের সমসাময়িক টাইমে প্রকাশ হইতে থাকে। আমরা এগুলি পড়ি!

ভালো বই হয় না তা বলতেছি না, বা সমসাময়িক প্রবলেম নিয়া সমাধান হাজির করতেছে না কেউ, তাও বলতেছি না।

বলতেছি বেশির ভাগ বইই এইসব দূর অতীতের না-সমস্যা ধরনের সমস্যার আবর্জনায় ভর্তি থাকে।

— ব্রাত্য #রাইসু, ২৫/৫/২০২০

আমি তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ জীবন কামনা করি। আগামী দিন গুলোতে তিনি আরো উজ্জ্বল হয়ে আমাদের কাছে ধরা পড়ুক। ভুল চিন্তায় তিনি যেন তার সন্মান না হারান!


(ছবি নেট থেকে, অন্তরকথন সাইট থেকে নেয়া)
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:৪৩
১৮টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×