somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাহাদাত উদরাজী
সাহাদাত উদরাজী'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - 'গল্প ও রান্না' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

গল্পঃ বৌমা

২৬ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি আব্দুস সালাম, বয়স ৬২ ছুই ছুই। বলা চলে আমি একদম পড়ন্ত বেলায় এসে হাজির, বিধাতা যখন ইচ্ছা ডেকে নিবেন, যদিও অনেক বলেবেন এই আর কি বয়স, মানুষ তো ৮০ বছরের বেশি বাঁচে! আমিও এমন ভাবি, ৮০ বছর বাঁচলে আরো অনেক কিছু দেখে যেতে পারতাম, কিন্তু আমার শরীরে যে সব অসুখ বাসা বেঁধেছে তাতে আমি নিজেই আর ভরসা পাই না, একবার হার্টে বাইপাস সার্জারী হয়েছে, তবুও মাঝে মাঝে এখনো বুকে চিন চিন ব্যাথ্যা করে। এখন মুলত আমার তেমন কাজ নেই, ব্যবসাপাতি ছেলের হাতে ধরিয়ে দিয়েছি। আমার সঞ্চয় আমি আলাদা করে রেখেছি, অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে! আমাকে আপনারা দেশের নিম্ম ধনীদের কাতারে ফেলতে পারেন কারন এই ঢাকা শহরের চমৎকার জায়গা পূর্বাচলে আমার নিজের একটা তিন তলা বাড়ি আছে, যৌবনে কঠিন পরিশ্রম ও বিধাতার মেহেরবানীতে আমি এই জায়গা কিনে ছিলাম এবং পরে বাড়িটা বানিয়েছিলাম, অনেক বছর ধরে এই এলাকাতে আছি, বেশ সুন্দর ও আনন্দময় এলাকা।

আজকাল আমার তেমন কাজ নেই, আমার প্রিয়তমা স্ত্রী, কঠিন হৃদয় এখনো বেঁচে আছেন এবং বেশ শক্ত সামর্থ নিয়েই আছেন। যদিও এই বিজ্ঞানের যুগে আছি, তবুও এই দেশের মেয়েরা এখনো তাদের বয়স লুকাচ্ছে, আমার স্ত্রীও তাই করেন! এখনো যদি বলি তোমার জন্ম তারিখ জানাতে পার, জানাবে তো নাই উপরন্তু বেশ কটু কথা শুনতে হবে। তবে আমার মনে হয় সে আমার চেয়ে ১২ বছরের ছোট হতে পারে, সেই হিসেবে এখন হয়ত ৫০ হবে! বিধাতার একদম খাঁটি মৌলিক উপহার আমার জন্য! আমাদের এক ছেলে, তার বয়স ৩২ বছর। এখন মনে হয় আমাদের আরো ছেলে মেয়ে হলে মন্দ হত না, তবে এখনো যৌবনের সেই দিন গুলোর কথা মনে পড়ে। আমার এই ছেলে খুব চঞ্চল ছিলো তার উপরি সংসারিক অভাব অভিযোগের কারনে আর সন্তান নেয়ার কথা চিন্তাও করতে পারি নাই। অর্থ উপার্জনে আমি যে কঠিন সময় দিয়েছি তাও যদি আপনাদের বলি সেটা দিয়েও একটা বই লিখে ফেলা যাবে! সে দিকে যাচ্ছি না, কথা যত সংক্ষিপ্ত করা যায়!

আমার বড় ছেলের বিয়ে হয়েছে তিন বছর। মেয়েটা আমার ছেলের পছন্দ মানে তারা একজন অপরজনকে বেছে নিয়েছে, প্রেম করেই, এখন তো আর আমাদের দেশে বাবা মায়ের পছন্দে সন্তানেরা বিয়ে করে না, বাবা মায়ের কথা শোনা আমরাই ছিলাম শেষ জেনারেশন! পরে আমি জান প্রান দিয়ে সবাইকে ম্যানেজ করে মেয়েটাকে ঘরে তুলেছি, অনেক ধকল সইতে হয়েছে আমাকে। মেয়েটা খুব লক্ষী, আমার খুব ভাল লাগে ওকে, আমি মেয়ে সন্তানের পিতা নয় বলে এই অভিজ্ঞতাটা আমার হচ্ছিলো না, এই মেয়ে এসে আমাকে সেই অভিজ্ঞতা দিয়েছে। ওর মুখে 'বাবা' ডাক শুনে আমার মনে আলাদা একটা অনুভুতি হয়, আমি ওকে 'মা' বলে ডাকি। ফুটফুটে এই মেয়েটা আমাকে নানান কথা বলে, সময়ে অসময়ে এসে আমার কাছে বসে, গল্প করে, এতা ওটা বানিয়ে নিয়ে এসে বলে, বাবা খেয়ে একটা রিভিউ দাও! আমি হাসি, ছলছল চোখে বলি, আমার ফুড রিভিউ কখনো ভাল হয় না, আমি সত্য বলি বলে কারোই পছন্দ হয় না! মেয়েটা হাসে, সে কি সুন্দর হাসি। কিন্তু কখনো কখনো ওর চাঁদ মাখা মুখের মলিন অবস্থা আমি লক্ষ করি, কিছু জিজ্ঞেস করলে সে লুকিয়ে যায়! আমি বুঝি না যে তা নয়, ওর মলিন মুখের আড়ালে যে মানুষটা কাজ করে তা হচ্ছে ওর শাশুড়ী, মানে আমার স্ত্রী, পাষান হৃদয়! যাই হোক, এই লক্ষী মেয়েটাকে কেহ কষ্ট দিয়ে পারে আমি তা মনেও আনতে চাই না, তবুও বুঝি তবে বেশি কিছু বলি না, বললে সেই কথা যদি দেয়াল পার হয়!

এখন পড়ন্ত বিকেল, আমি ছাদে এসেছি। আমাকে আপনারা অনেকটা সিনেমার শওকত আকবরের মত ভাবতে পারেন, যে বিকেল হলেই ছাদে চলে যেত! ছাদ বাগানের ফুল গাছ গুলোতে পানি দিতে হবে, এই কাজ করে আনন্দিত হই। আমাদের এই ছাদ বাগান বেশ সুন্দর, আমি নিজ হাতে প্লানিং করে করেছি এবং একজন কেয়ার টেকার আছে, তবে সকাল বিকেল দুই বেলা আমি নিজেই এসে দেখে যাই। এই ছাদ বাগানের এক কোনায় বসে আড্ডা দেয়ার ব্যবস্থাও আছে, বিকেলে এখানে বসে গৌধুলি লগ্ন দেখার আনন্দ উপভোগ বলে শেষ করা যাবে না। আমি কবি হলে এত দিনে অনেক কবিতা লিখে ফেলতে পারতাম, তা নই বলে হৃদয়ের কথা হৃদয়ে নিয়েই বসে আছি! ছাদে উঠতে অনেক দিন আমি আমার বৌমাকে বলে আসি, 'মা গো, এককাপ চা আর কয়েকটা টোষ্ট বিস্কুট কাউকে দিয়ে ছাদে পাঠিয়ে দিও।' মেয়েটা হাসে, অনেক সময় শুনি বলে, আচ্ছা বাবা! ফাঁকে একটু বলে রাখি, এখন আর আমি আমার প্রিয়তমা স্ত্রীর সাথে তেমন কথা বলি না, সেই যৌবন থেকে তিনি যে চরিত্রে ছিলেন এখনো সেই চরিত্রেই আছেন। মানে যে কোন কিছুর সরল ব্যাখ্যা আজো উনার ডিকশনারিতে নেই, সব জটিল ব্যাখ্যা! এই তো কিছু দিন আগেও চান্স পেয়ে আমাকে বললেন, মেয়েটার সাথে তুমি এত কথা বলে কেন, এই সব বলে বলে তো মেয়েটাকে তুমি মাথায় তুলছ! আমি আকাশ থেকে পড়ছিলাম বটে, তবে সেই যৌবন কাল থেকে ধৈর্য ধরার কৌশলে নিজকে সংযত করলাম। ভাবছিলাম, এত টুকু ফুলের মত মেয়ের সাথে কেহ কুটু কথা বলতে পারে!

যাই হোক, ঐ যে আমার বৌমা মা জননী আসছে! সিনেমার রোজী সামাদ যেন আপনাদের কল্পনায় রাখতে পারেন! হাতের চা বিস্কুটের ট্রে, নিশ্চয় মনে করে এক বোতল ঠান্ডা পানি নিয়ে এসেছে, আজ খুব গরম, হাল্কা ঠান্ডা পানি পানে মনে আনন্দ জাগবে! মায়ের পরনে কলা পাতার শাড়ি, শাড়িতে যে আমাদের দেশের মা, মেয়েদের খুব সুন্দর দেখায় এটা অনেকে বুঝেন না! আমার এই মায়ের পরনে শাড়ি দেখলে তা বুঝি। আজ মায়ের মুখ ভার, আমি বুঝি, ওর শাশুড়ির সাথে কিছু একটা হয়েছে বা ওর শাশুড়ি এমন কিছু বলেছে যে মেয়েটা আর মন মুখ স্বাভাবিক রাখতে পারছে না!

- কি রে মা, এত জলদি এলে কেন? কাউকে দিয়ে পাঠিয়ে দিলেই পারতে।
; না, বাবা, আপনার ছাদ বাগান দেখতে এলাম, আজ কি কি নুতন ফুল ফুটেছে?

মেয়েটার মুখে এমন কথা শুনে আমার বেশ ভাল লাগে, আমি বুঝি মা আমার সাথে মুলত কিছু গল্প করতে চাইছে। তবে আজ ওর মুখ একটু বেশি মলিন মনে হচ্ছে। কিছু এদিক সেদিক কথা শেষ আমি জানতে চাইলাম-

- মা, আজ তোমাকে খুব মলিন মুখের মনে হচ্ছে, রাসেল কিংবা তোমার শাশুড়ি কি কিছু বলেছে?
; না বাবা, আমি আসলে আপনাকে অনেক দিন ধরে একটা কথা বলবো বলবো বলে ভাবছি।
- বলো, কেন বলবে না।
; বাবা, আমাদের আলাদা করে, আলাদা বাসায় থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া যায় না! আমি আর এই মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে পারছি না!

এমনিতেই আমার কপালে ঘাম জমে উঠেছিল, এই যেন গড়িয়ে পড়ার দশা! একমাত্র ছেলে, এত এত সহায় সম্পদ, এত সুন্দর বাড়ি, সব ফেলে মেয়েটা আলাদা হতে চাইছে, আলাদা সংসার চাইছে! ব্যাপারটা আমি আঁচ করতে পারলেও মেয়েটার চাওয়া এমন হতে পারে বা আলাদা হতে চাইতে পারে, এমনটা আমার মাথায় আসে নাই। চায়ের কাপটা ঠোঁটে লাগাতে ইচ্ছা হচ্ছে না!

- মা গো, আমি বুঝতে পারি, এখানে তুমি কেমন নির্যাতনের মধ্যে আছো! মানুষের জীবনে মানসিক নির্যাতন সব চাইতে কষ্টের, কটু কথা মিশাইলের চেয়েও ভয়াবহ! তোমার শাশুড়ি মুলত আর মানুষ হবে না, আজ এত এত কিছু হবার পরেও আমি তার চরিত্রটা পাল্টাতে দেখলাম না। ছোট ছোট বিষয় গুলো নিয়ে সেই আমাদের প্রথম জীবন থেকেই ভুল ব্যাখ্যা করে আমাকেও মানসিক নির্যাতন করে আসছে, এখনো করছে! আমি পালাতে পারি নাই, অনেক চেষ্টাও ছিল আমার, অফিসের বড় সাহেব হয়েও বাসায় কাজের লোক হয়ে এই জীবন কাটিয়েছি, ছেলের মায়ায় সব ভুলে থেকেছি। যদিও কাউকে বুঝতে দেইনি! কত কত কঠিন সময় পার করেছি। তোমাকে একটা ছোট মানসিক অত্যাচারের উদাহরণ দেই তা হলে তুমি বুঝতে পারবে। আমাদের যখন উঠতি সময়, ছোট এক রুমের বাসায় থাকি, রাসেলকে খাইয়ে দিতে হত। এই ধর এমন হচ্ছে যে, দুপুরের রান্না শেষ, সে গোসল করতে যাবে, আমি বললাম, রাসেলকে খাইয়ে দেই! সে কি উত্তর দিত জান। সে বলত, তুমি খাওয়ালে কম খাওয়াবে, ফাঁকি দিবে! জানো তার এই কথার ভয়ে, আমি পরে আর কখনোই ছেলের জন্য ভাত তরকারী বেড়ে দেয়াও চিন্তা করতাম না, খাইয়ে দিতে চাইতাম না। আমি দিলে নাকি কম দেই, কমেই আমার চিন্তা। এবার বুঝ! ছেলের অনেক বিষয়ে মুলত তার বাঁকা কথার ভয়ে খেয়াল রাখি নাই। তবে বিধাতার ইচ্ছা, ছেলেটা এত কিছুর মাঝেও খারাপ হয় নাই!

কথা শেষ আমি আমার বৌমার মুখে দিকে তাকাই, আমার কথা গুলো সে বুঝতে পারল কি না সেটা বোঝার চেষ্টা করি। কয়লা ধুয়েও যে পরিষ্কার করা যায় না, সেটা কি ও জানে! কয়লার রঙ কালো। মানুষের চরিত্র তেমনি! তবুও বললাম।

- মা গো, আর কিছু দিন আপেক্ষা করো, দেখো।


(মালিবাগ, বাগানবাড়ী, ২৬ জুন ২০২০ইং, সামুতে প্রকাশিত)
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৪
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×