আপনারা যারা আমাকে চিনেন আপনার জানেন যে, আমি কলম্বিয়া ফুটবল দলের একনিষ্ট একজন বাংলাদেশী সমর্থক, বিশ্বকাপ এলেই আমি আমার পছন্দের এই দেশের ফুটবলে দল নিয়ে নানা পোষ্ট ও লেখালেখি করে থাকি এবং একটা ফেইসবুকের পেইজ চালাই!
কথা সেটা না কথা হচ্ছে, আমি ঢাকায় বসেই কলম্বিয়ার নানা শহর দেখে থাকি এবং রীতিমত সপ্তাহের পর সপ্তাহ দেখেই যাই। এটা অনেকটা আমার ভ্রমণ মনের ইচ্ছা পূরন হয়, আমি ইউটিউবের ভিডিও গুলোতে যখন থাকি মনে হয় আমি নিজেই কলম্বিয়ার সেই রাস্তায় আছি, সেই মার্কেটে আছি, সেই সমুদ্রের ধারে বসে আছি এবং আমি নিজেই দেখে দেখে এগিয়ে যাচ্ছি। আজকাল এমন কিছু নেই যে আপনি ইউটিউবে পাবেন না, ঘরে বসেই আপনি পৃথিবীর যে কোন স্থান ভ্রমনে বের হতে পারেন, ব্যাপার না! ওয়াইফাই সংযুক্ত বড় টিভি হলেই হল, এই মজা অবশ্য মোবাইলে নেয়া চলে না, পর্দা যত বড়, আনন্দ তত বড়!
বাংলাদেশে বসেই আমি যেমন কলম্বিয়ার মার্কেটের কোনায় বা পার্কের কোনায় কি হচ্ছে বলতে পারি, তেমনি সেই দেশের মানুষের জীবনযাপন নিয়েও কথা বলতে পারি। অপ্রাসঙ্গিক হলেও বলি, দুনিয়ার সেরা মেয়েগুলো থাকে কলম্বিয়াতে। আপনি হয়ত আমার কথা মানতে পারছেন না, জানি! না পারারই কথা! কারন আপনি হয়ত এই দেশের মেয়ে গুলোকে দেখেন নাই, বা এদের প্রসঙ্গে তেমন জানেন না!
কলম্বিয়ার অন এন্ড এভারেজ মেয়ে গুলো শারীরিকভাবে বেশ শক্ত পোক্ত এবং এদের অনেকেই পুরুষদের উপর নির্ভরশীল নয়।এই দেশের মেয়েরা সেই দেশের পুরুষের তুলনায় অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে, যদিও সার্বিক দুনিয়ার চিত্রে নারীদের অবস্থান যেমন কলম্বিয়াতেও তেমনি। কলম্বিয়ার পুরুষদের মুল ফোকাস থাকে নেশাতে, নেশা করে না এমন পুরুষ সেই দেশে পাওয়া যায় না বললেই চলে!
যাই হোক, কথা কম বলে বেশি কিছু বুঝাতে চাই, এটা আমার পুরানো অভ্যাস! হা হা হা। যা বলছিলাম, কলম্বিয়ার নানান শহরের মার্কেটের উনমুক্ত স্থানে, পার্কে, পাবলিক প্লেসে বেশ সুন্দর কাপড় পরা মেয়ে দেখা যায় যারা কফি গার্ল বলে সারা দুনিয়াতে পরিচিতি পেয়েছে। এরা কিশোর বয়সি, বেশ ভুশায় চমৎকার, পরিপাটি, হাসিখুশি, এরা ফ্লাক্সে নানান প্রকারের কফি বানিয়ে নিয়ে এক জায়গাতে বা ঘুরে বেড়ায়, যাদের দরকার তারা এদের ঢেকে কফি কিনে খায়। এদের কফি জার গুলোও বেশ সুন্দর এবং খুব একটা বেশি জায়গা বা ময়লা না করে ঘুছিয়ে রাখা যায়। এটা এই মেয়েদের জন্য একটা চমৎকার সৎ পথে উপার্জনের রাস্তা এবং যে যখন ইচ্ছা অহেতুক্ আড্ডা না দিয়ে, বাসায় বসে না থেকে নানান স্থানে এই কফি বিক্রি করে নিজের ও পরিবারের জন্য অর্থ উপার্জন করে থাকে। পাশাপাশি এরা এই অর্থ থেকে তাদের সামনের দিন গুলো,শিক্ষা, স্বাস্থ্য নানান বিষয়ে খরচ করে থাকে।
যেখানে কলম্বিয়ার মেয়েরা চাইলেই পতিতাবৃত্তি সহ নেশার দুনিয়াতে চলে যেতে পারে (এই কাজেও কম মেয়ে নেই) বা এই সব নামের রাস্তা খোলা পড়ে থাকতে পারে এবং এই বিষয়কে যেখানে তেমন কেহ কিছু মনেও করে না, সেখানে এই কফি গার্ল মেয়ে গুলো একটা আর্দশ বটেই! একে সন্মান না করে পারা যায় না, সারা বিশ্ব থেকে আশা পর্যটক সহ তাদের দেশি লোকেরা এদের আলাদা চোখে দেখে এবং প্রয়োজন না হলেও এদের থেকে কফি কিনে পান করে থাকে। ধন্যবাদ সবাইকে।
পুনশ্চঃ এই কফি গার্ল মেয়ে গুলোর নিম্ন সৌন্দর্যও আমাদের দেশের পরীমনিদের থেকে বেশী বলে আমার মনে হয়! কি,কলম্বিয়ার সেই মেয়েদের দেখতে ইউটিউবের লিঙ্ক গুলো কি চাইবেন না দিয়ে দিব!
বাকী গুলো নিজেরাই খুঁজে বের করুন। আবারো ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:১৩