আগের পোস্টের(সিলেটী প্রবাদ-প্রবচনসমুহ ) মোটামোটি সাড়া পেয়ে continue করলাম....
অনেকটাই অবজ্ঞা-অবহেলার কারনে এই ডিঠান(ডাকের কথা, ছড়াকাটা, সিললক) গুলো ইদানীংকার যুবসমাজকে আর ব্যবহার করতে তেমন একটা দেখা যায় না।
প্রথম ৩টা ডিঠান আমার ৮০ঊর্ধ্ব নানার কাছে থেকে সংগ্রহ করা
১।।
“বোঢ়ায়-ধুঢ়ায়(বিষহীন সাপবিশেষ) রাজ্য পাইলা,
কালসর্প বিওড়ে(গর্ত) গেলা।”
ভাবার্থঃ-
অযোগ্য লোকের শাসন।
২।।
“ছালিয়ে লেট-পেট দুইকান কাটা,
ত্রিভুবন দেখাইলেরে তুই চিলাবেটা।”
ভাবার্থঃ-
কষ্টসাধ্য কাজ।
৩।।
“জলদি কাম(কাজ) শয়তানী,
আস্তে কাম(কাজ) রহমানী।”
ভাবার্থঃ-
ধীরে-সুস্থে কাজ করা বাঞ্ছনীয়।
৪।।
“চুরে চুরে আলি,
এক চুরে বিয়া করলা আরেক চুরর হালি(শালি)।”
ভাবার্থঃ-
চোরে-চোরে মাসতুতো ভাই।
৫।।
“বাপে নায় গুতে,
চুঙ্গা ভরি মুতে।”
ভাবার্থঃ-
আতিসাজ্য।
৬।।
“খাওরা আছইন কররা নাই,
বুড়ি মরলে কানরা নাই।”
ভাবার্থঃ-
সুসময়ের বন্ধু(দুধের মাছি)।
৭।।
“জোয়ানোর জোয়ানকি,
আর বুড়ার এক ধামকি।”
ভাবার্থঃ-
অভিজ্ঞতা সব জায়গায়ই কাজে লাগে।
৮।।
“চেমা ইমানদার থাকি,
খাড়া বেইমান বালা।”
ভাবার্থঃ-
স্পষ্টভাষী শত্রু,
নির্বাক মিত্র অপেক্ষা শ্রেয়।
৯।।
“দুই নাওয়ে চড়ে যে,
উপোইত হইয়া মরে সে।”
ভাবার্থঃ-
এক সাথে দুই কাজ কখনো ঠিক ভাবে হয় না।
১০।।
“ঘাট পার হইলেও,
খেওয়ানি হালা।”
ভাবার্থঃ-
Selfish।
১১।।
“হুটকির ভাড়ারও,
বিলাই চকিদার।”
ভাবার্থঃ-
যে রক্ষক সেই ভক্ষক।
১২।।
“যে যারে নিন্দে,
হে তার পিন্দে।”
ভাবার্থঃ-
অকৃতজ্ঞ।
১৩।।
“আধ মন তেলো হইতো নায়,
আর রাধার নাছও হইতো নায়।”
ভাবার্থঃ-
অনিচ্ছা।
১৪।।
“চুন চুন চুনের ঘটি,
রাইত পোহাইলে উজান-ভাটি।”
ভাবার্থঃ-
অস্থায়ী।
১৫।।
“যার হাতো(সাতো) হয় না,
তার হাতাইশোও(সাতাইশ) হয় না।”
ভাবার্থঃ-
সময়ের কাজ সময়ে করতে হয়।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫৬