গহণ অরণ্যে কোনো এক স্তিমিত দুপুরে
প্রথম অনুভব করেছি দুঃখবতী
গাছেদের সঙ্গে মিশে থাকা,
ঘুঘুমুখে চুমু খেয়ে গহণ অরণ্য
আমায় দেখালো মৌসুমী হাওয়ার
অগোচরে প্রবাসী গোলাপর লুটপাট,
দেখালো - উত্ফুল্ল বাতাসের হুইসেলে
কতো নিষ্পাপ চন্দন পুড়ে যায়,
পুড়ে যায় দীর্ঘদিন পাশে থাকা
দু চোখে ক্ষয়ের সঞ্চয়, পুড়ে পুড়ে
নষ্ট নিদ্রায় চোখের দু পাশে আরও সাদা হয়
শ্রাবণ সব জেনেও ভাবতাম দিনদুপুরে
ভ্রমণ মানে ফাঁকির রথে ডুবে ডুবে
দোলন চাঁপার মাঠে নীল খাম হাওয়া;
কথা ছিল নকল সাজে ঘোড়ায় চড়ে
সন্ধ্যার দমকলে আলোর প্রাচীর টপকে
অরণ্যের আরও গহীনে যাবো,
পাখির চোখে ফিরে ফিরে ছুঁয়ে নয়
দূর থেকে তোমায় দেখবো বলে
স্মৃতি রাজ্যের গিট্ খুলে আঁকবো
নিরঙ্কুশ সভ্যতার স্থির ছবি,
এভাবেই এভাবেই বাতি নিভিয়ে
একদিন কথা ছিলো অরণ্যের পোশাক
খুলে ভীষণ মমতায় তোমার জন্যে
উড়িয়ে দেবো হিমালয়ের আশৈশব আদর;
অথচ আমি কিনা আপন মানুষের
ভীড় ঠেলে এখন বসে আছি
হৃদয়ের রূদ্ধ নিরালায়।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৩