somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

উপনাম
নাম -রিয়াদ খন্দকার। বয়স -কৈশোর থেকে তারুণ্য পার করে যৌবনে পা দিয়েছি । পেশা- ছাত্র, টিউ ডার্মস্টার্ড, জার্মানী। শখ- মটর সাইকেল চালানো। ঠিকানা- পুরাতন বাংলাদেশের পুরাতন ঢাকা, বাংলাবাজার, নতুন জার্মানীর ডার্মস্টার্ড। ব্লগ নাম- উপনাম।

“কালোজিরা যদি মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের নিরাময় করে তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত জটিল ধাপ গুলোর কেন প্রয়োজন ?”

২৩ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

Abu Hurairah narrated that he heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: “In black seed there is healing for every disease, except the Sam.” "Sam means death. And black seed is Shuwniz."(Ibn Majah)

অনেকে প্রশ্ন করে

“যদি মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের নিরাময় করে তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত জটিল ধাপ গুলোর কেন প্রয়োজন ?”

আমার কথাগুলো হয়তা আপনার কাছে গ্রহণ যোগ্য নাও হতে পারে এবং আমি এই হাদিসকে, হাদিস ব্যাখ্যাকারী আলেমদের মত ব্যখ্যাও করবো না। তাই আমি এতটুকু বলতে পারি আপনি একজন ভাল ইসলামিক আলেম যে কিনা ইসলামের হাদিস এবং চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করেছে বা করছে, তার থেকে জিজ্ঞেস করে নিতে পারেন, যদি তেমন কাউকে চিনেন।না হলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানে ইসলামিক অনলাইন ভিত্তিক ফোরামে প্রশ্ন করতে পারেন। যাইহোক আমি ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করছি আমার ছোট চিন্তা দিয়ে যুক্তিযোগ্য কিছু কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরার। এবং এই দোআ করছি আল্লাহ যেন এই কথাগুলো আপনার কাছে গ্রহণ যোগ্য করে তুলে। আর না হলে আমি ক্ষমাপ্রাথী।
( বলে রাখি এটা কোন উত্তর না শুধু আলোচনা করছি, যাতে করে আমি নিজে কিছু শিখতে পারি)
আলোচনার শুরতে কালজিরা সম্পর্কে কিছু তথ্য আমি উপস্থাপন করছি, যাতে করে আপনার বুঝতে সহজতর হয়।

কালজিরা যে উদ্ভিদ থেকে আসে তার ল্যাটিন নাম "নিগেলা স্যাটুভা" , যা ইসলামিক ঐতিহ্যের জন্য বিপুল বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছে। ১৯৫৯ থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও ল্যাবরেটরিতে অনেক গবেষনা হয়েছে এটা নিয়ে। একটি জার্মান গবেষণায় দেখা গেছে এলার্জি রোগীদের ৭০% এর কারণ হল ধুলো বা ময়লা।কালোজিরা বীজের তেলের দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে (৬ মাস বা বেশী) প্রায়ই খুব ভাল ফল পাওয়া সম্ভব হয়।

এর বীজে ১০০ এর বেশি রাসায়নিক উপাদান আছে, যেমন ব্যাকটেরোলন, বিটা স্যাটেসোস্টেরল, মায়রিস্টিক অ্যাসিড, প্যালাইটিক এসিড, প্যালিটোলিক এসিড, স্টেরাইক এসিড, ওলাইক এসিড, লিনোলিক এসিড, লিনোলনিক এসিড, এরাচাইডোনিক অ্যাসিড, প্রোটিন, ভিটামিন বি 1, ভিটামিন বি ২, ভিটামিন বি 3, ফোলিক এসিড, ক্যালসিয়াম, আয়রন, কপার, জিং এবং ফসফরাস ইত্যাদি। এগুলো মানুষে দৈহিক রোগ প্রতিরোধ থেকে শুরে করে বিভিন্ন ধরনে কাজে খুবই প্রয়োজনীয়। একজন মানুষের প্রতিদিন পরিমান মত সকল উপাদান দরকার দৈনিক।

কালো বীজে পলিউসস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড আছে, যা দৈনিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন, এটা মাথার ত্বকের একধরনে টক্সিন বহন করে যা কিনা চুল পড়া বন্ধ করে , ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখে, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রন করে, শরীরের সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং সুস্থ লিভারের কার্যকারিতা উন্নীত করে। পলিউস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডের অভাবে স্নায়ুতন্ত্রের ব্যাধি, অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং ত্বকের রোগ সহ নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।

কিং কলেজ লন্ডন কর্তৃক পরিচালিত 1994 গবেষণায় দেখা যায় যে ব্ল্যাক সীডের এমন নির্দিষ্ট পরিমান এনজাইম রয়েছে , যা নির্দিষ্ট প্রোস্টেটগ্ল্যান্ডিনের উৎপাদনেও বাধা দেয়।

অনেক প্রাচীন বই এবং পাঠ্য কালো বীজের জন্য নিম্নলিখিত ঐতিহ্যগত ব্যবহারের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু দয়া করে মনে রাখবেন, এই রোগ বা রোগের জন্য রোগের চিকিৎসা বা চিকিত্সা হিসাবে বোঝা উচিত নয়।

যেমন
→ পুষ্টির উৎস
কালোজিরায় মধ্যে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন (প্রো ভিটামিন এ), ক্যালসিয়াম, লোহা, সোডিয়াম এবং পটাসিয়াম। শরীরে খুবই কম পরিমাণে প্রয়োজন হলেও, এই উপাদান বিভিন্ন এনজাইম ফাংশনগুলিতে cofactors হিসাবে কাজ করে। কালোজিরায় আটটি অ্যামিনো অ্যাসিডের মধ্যে আটটি রয়েছে।

→ পাক কি্রয়ার বিকাশ
কালোজিরায় পাক কি্যয়ার বিকাশ করতে পারে, বিশেষ করে প্রতিবন্ধী ইমিউন সিস্টেমের রোগীদের মধ্যে। ইনফ্লুয়েঞ্জা, এডস এবং ইমিউন সিস্টেমের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য রোগের প্রতিরোধের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

→ ক্যান্সার চিকিত্সা
→ Inflammation (বাংলা করে এটা পেয়ছি প্রদাহ) চিকিৎসা
→ কাশি এবং হাঁপানি চিকৎসা
→সাইসটিক ফাইব্রোসিস
→ডায়াবেটিস, উদারময়, শুষ্ক কাশি
→চোখের রোগ এবং অসুখী দৃষ্টি
→ মুখের পক্ষাঘাত এবং টিটেনাস
→ফ্লু এবং অনুনাসিক জমাট বাঁধা চিকিৎসা
→ কিডনি পাথর
→ হাঁপানি, ব্রংকিল এবং শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা
→ দাড়ি বৃদ্ধিতে সহায়তা
→ স্তন দুধের প্রবাহ বৃদ্ধি
→ হাইপারটেনশন জন্য
→হার্টের সম্যসা এবং ভাইরাসের সংকোচন রোধে
→মাথাব্যাথা এবং কানের ব্যথা জন্য
→চুলের ক্ষয় এবং দাঁত ব্যথার জন্য

Link- Click This Link

https://islam.stackexchange.com/questions/32520/did-muhammad-say-that-black-seeds-can-cure-any-disease/35815

http://islam.ru/en/content/story/black-seed-remedy-everything-death


এই ছিল কালোজিরার উপর গবেষনাকৃত কিছু সংক্ষিপ্ত আলোচনা এর বাংলা অনুবাদ, যা কিনা উপরের লিংক গুলো থেকে নেওয়া হয়েছে।


এখন আলোচনা করি, আপনার প্রশ্নটির ব্যাপারে
এই হাদিসটিতে কিন্তু বলা হয় নাই যে আপনাকে চিকিৎসা বিজ্ঞান এর ধাপগুলোর ব্যাপারে জানা লাগবে না। আমাদের প্রিয় নবীর ( সা: ) এর আমলেও কিন্তু মানুষের অনেক ধরনের রোগ ছিল। আর নবীজী ( সা: ) যা বলতো বা করতে তা কখনও তার নিজের কথা বা ইচ্ছা ছিল না। সবকিছুই মহান রব্বুল আলামীনের আদেশে করতো বা বলতো। নবীজী( সা: ) কে আল্লাহ তাআলা সেই জ্ঞান দিয়েছিল বলেই সে বলতে পেরেছে যে এই কালোজিরায় সকল চিকিৎসার ঔষুধ রয়েছে। নবীজীর আমলে ক্যান্সার থেকে শুরু করে অনেক নতুন নতুন রোগ যা কিনা নবীজী ( সা: ) ইতিহাসের বহুবছর পর মানুষ দেখতে পেরেছ এবং সেই সব রোগের প্রতিরোধক এই কালোজিরা, তাও কিন্তু গবেষনা করে বিজ্ঞানীরা এখন বলছে। যাইহোক এখানে যে “healing” বলছে সেটাকে আরবির হুবুহ অনুবাদ কিনা, তা আমার জানা নয়। তবে যারা অনুবাদ করেছে তারা আমার থেকে অনেক বেশি জ্ঞান রাখে আরবী সম্পর্কে। তারপরও যদি ইংরেজীর “healing” এর আরবি ভাবানুবাদ এক হয় তাহলেও আমি মনে করি সত্য। কারণ অনেক গবেষণার ফলই বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্ত দিয়েছে যে এগুলো “healing” করে, এর মানে এটাও যে বিজ্ঞানীরা রোগীদের উপর কালোজিরার সেবন করিয়ে এর ফল পেয়েছে মানে কালেজিরা প্রতিশেধক ও।

এখন চিকিৎসা বিজ্ঞানের ধাপগুলো কেন দরকার? বিশেষজ্ঞ যদি না জানে রোগ কি, তাহলে চিকিৎসা কি দিবে। তাই আপনাকে আগে জানতে হবে, তারপর না ঔষুধ দিবেন। মুসলিমরা কি চিকিৎসা বিজ্ঞানের কোন অবদান রাখে নি? অবশ্যই রেখেছে। নাকি তারা বলেছে, নবী( সা: ) বলেছে কালোজিরা সকল রোগের মহাঔষুধ, আমাদের আর কিছু জানা দরকার নেই, শুধু কাউকে যদি অস্বাভাবিক দেখি, তাকে কালোজিরা সেবন করতে পরামর্শ দিবে। না তারা এটা করে নাই। বরং তৎকালীন মুসলিমরা চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে গবেষনা করেছে এবং চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে তথৎ ও দিয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ধাপগুলোর জানার সাথে আমি মনে করি না এই হাদিসের কোন সর্ম্পক থাকতে পারে।

সবশেষে বলছি এটা কোন ইসলামিক ভাবে উত্তর না, শুধু আমি আমার মতামত প্রকাশ করেছি। এটাকে দয়াকরে উত্তর হিসেবে কেউ ধরবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬
১১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×