হাছেনা বলেন:
আমি কাউকে ভয় করিনা। আমি বার বার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি। মৃত্যুকে আমি ভয় পাইনা। আমার আর কি হারানোর আছে। আমার মা-বাবা জীবন দিয়েছেন, লাখো মানুষ দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন। আমি একজন ক্ষুদ্র মানুষ। আমার জীবনের কি মূল্য আছে। (১৫ ই অগাস্ট ২০১৪)
বাস্তবতা:
শেখ মুজিব পরিবারের সদস্যদের আবাসস্থলে সুরক্ষিত ও নিরাপদ বেষ্টনী প্রস্তুত রাখা ছাড়াও আবাসস্থলের চার দিকে নিরাপত্তাকর্মীদের অবস্থান নিশ্চিত করা হবে। আশপাশের কোনো ভবন, স্থাপনা বা অবস্থান থেকে কোনো ধরনের হুমকি সৃষ্টির মতো অবস্থা থাকলে তা অপসারণ অথবা পরিবর্তন করে দেয়া যাবে। আবাসস্থলের আশপাশে সুউচ্চ ভবনে বসবাসকারীদের ওপর সার্বণিক গোয়েন্দা নজরদারি রাখতে হবে। আবাসস্থলের ভেতরে যেসব স্থানে তারা চলাফেরা করেন সেসব স্থানে সব সময় ‘সুইপিং’ নিরাপত্তা রাখতে বলা হয়েছে। আবাসস্থল সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা ছাড়াও ভেতরে-বাইরে নিরাপত্তা এলার্ম বসানো, আবাসস্থলে প্রবেশের সময় সবাইকে মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে পরীক্ষাসহ যেকোনো বস্তু, দ্রব্য বা সরঞ্জাম ঢোকানোর আগে স্ক্যান করতে হবে এবং তাৎক্ষণিক নির্গমণের (পালানোর জন্য!!) জন্য এক বা একাধিক বিশেষ পথের ব্যবস্থা রাখতে হবে। (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন: বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তায় ১৯ সুবিধা)
কার্যত:
হাছেনা ও তার পরিবার ভয়ে অস্থির। আর ভয়ে অস্থির থাকে কেবল মাত্র অন্যায়কারীরাই। মিশরের সিসি, সিরািয়ার বাশার, জিম্বাবুয়ের মুগাবে জাতীয় ডিক্টেটররাই এমন অভিনব নিরাপত্তার কথা ভাবে। ন্যায়পরায়ন শাসকরা নিজের নিরাপত্তার কথা না ভেবে জনগনের নিরাপত্তার কথা ভাবে সবার আগে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ৩:০৫