somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইউএনও র প্রতি উপজেলা চেয়ারম্যান: ‘উপজেলার মালিক আমি, না তুই?’

৩০ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন সবচে উপরের স্তরের পদ ধারী, কিন্তু সে মর্যাদা বা সে দায়িত্ব পালনের মত যোগ্যতা কি বাংলাদেশের অধিকাংশ উপজেলা চেয়ারম্যানদের আছে ? যদি সর্বময় কর্তৃত্ব তাদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয় তবে কি হবে ? নিচের খবরটি খুব ভাল কোন ভবিষ্যতের কথা বলে না: ক্ষমতার গন্ধ পেয়ে চেয়ারম্যান সাহেব দেশের প্রধানমণ্ত্রী কেও অস্বীকার !
মুল খবর:
‘উপজেলার মালিক আমি, না তুই?’ দিনাজপুরের বিরল উপজেলার চেয়ারম্যান মো. মোকাররম হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে গিয়ে ইউএনও এ কে এম আজাদুর রহমানের সঙ্গে এভাবেই কথা বলে তাঁর কক্ষে ভাঙচুর চালিয়েছেন। ইউএনও চেয়ারম্যানকে একটি চিঠি দেওয়ায় তিনি অপমানিত বোধ করে এমন আচরণ করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিরলের বাসিন্দা দিনাজপুরের এক কলেজছাত্র জানান, বাবার চিকিত্সার জন্য সাহায্যের আবেদন নিয়ে তিনি ঘটনার সময় ইউএনওর কক্ষে বসা ছিলেন। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত অবস্থায় ইউএনওর কক্ষে ঢোকেন এবং ইউএনও আজাদুর রহমানের দিকে একটি কাগজ ছুড়ে মারেন। তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘উপজেলার মালিক আমি, না তুই? আমার কথায় উপজেলা চলবে, না তোর কথায় চলবে?’ তিনি ইউএনওকে বকাঝকা করেন। একপর্যায়ে পেপারওয়েট দিয়ে ইউএনওর টেবিলের কাচ ভেঙে ফেলেন। টেবিলের ওপরে থাকা একটি ল্যাপটপ মেঝেতে ছুড়ে মেরে ভেঙে ফেলেন এবং টেবিলের সামনের চেয়ারগুলো উল্টে ফেলেন।
এ সময় ইউএনও চেয়ারম্যানকে জানান, উপজেলা পরিচালনার বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছেন। তিনি উপজেলার চেয়ারম্যানকেও সে অনুযায়ী কাজ করতে বলেন। এতে চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কথায় নয়, আমার কথায় বিরল উপজেলা চলবে।’ এরপর তিনি ইউএনওর কক্ষে টাঙানো প্রধানমন্ত্রীর ছবি লক্ষ্য করে একটি পেপারওয়েট ছোড়েন। এতে প্রধানমন্ত্রীর বাঁধানো ছবিটি দেয়াল থেকে মেঝেতে পড়ে এর কাঠামো ভেঙে যায়। এ ঘটনার পর উপজেলা চেয়ারম্যান ইউএনওর কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান।
এ ব্যাপারে ইউএনও এ কে এম আজাদুর রহমান বলেন, তাঁর ব্যবহূত গাড়িটি কয়েক মাস ধরে অকেজো হয়ে আছে। সম্প্রতি তাঁর (ইউএনও) জন্য নতুন গাড়ি এসেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান পুরোনো গাড়িটি চেয়েছেন। তিনি লিখিতভাবে গাড়িটি নেওয়ার জন্য উপজেলার চেয়ারম্যানকে একটি চিঠি দেন। এতে উপজেলার চেয়ারম্যান অপমানিত বোধ করে ওই ঘটনা ঘটান। এ ঘটনায় মামলা করবেন বলে জানান ইউএনও।
উপজেলার চেয়ারম্যান মো. মোকাররম হোসেন ইউএনওকে লাঞ্ছিত করার কথা স্বীকার করলেও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুরের কথা অস্বীকার করেন। মোকাররম হোসেন বলেন, ইউএনওর নতুন গাড়ি এসেছে। পুরোনো গাড়িটি বারবার চাওয়ার পরও তিনি তা দিতে টালবাহানা করছেন। শেষ পর্যন্ত চিঠি দিয়ে তিনি গাড়ি নিতে বলায় তিনি এটিকে ইউএনওর ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ হিসেবে গণ্য করে তাঁকে বকাঝকা করেছেন। এর বেশি কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি দাবি করেন।
এদিকে বিরল উপজেলার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত উপজেলার সব কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ইউপি চেয়ারম্যানেরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন শুরু করেছেন।

সুত্র প্রথম আলো
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×