নাম তরিকুল ইসলাম, শিক্ষাগত যোগ্যতা দেশের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স সাথে শিক্ষক নিবন্ধন সার্টিফিকেট। কৃষক পরিবারের বড় ছেলে যে গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করেছে পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করে। বছরের পর বছর সরকারি চাকরির লিখিত পরীক্ষা পরবর্তী ভাইভা দিতে দিতে এখন চাকরীর বয়স শেষ সীমায়। এ সময় আশীর্বাদ নিয়ে আসে তার নিজ এলাকায় একটি স্কুলে সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষাতে প্রথম হয়ে সে সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগ পেতে যাচ্ছে....
হঠাত জানাগেল সে বিরোধী রাজনৈতিক দলীয় মতবাদের, তাই নিয়োগ আটকে গেল। তরিকুলের বন্ধু, যে সরকারী দল সমর্থক সে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি সনদ এনে দিল যা তার সরকারী দলের সদস্যপদের প্রমাণপত্র।
এ নিয়ে স্কুল কমিটি এবং স্থানীয় সরকারি দলের নেতা কর্মীরা আবার মিটিং করে এবং বের হয়ে আসে তরিকুলের দুর সম্পর্কের এক মামা বি.এন.পি করে তাই তাকে চাকরি দেয়া যাবে না। কি চমতকার......
নিয়োগ পরীক্ষায় ৩য় স্থান অধিকারী শিক্ষক হবে দেশ আলোকিত হবে !!
স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মীদের মাধ্যমে জানাগেল ৩য় স্থান অধিকারী ২ লক্ষ টাকা দিয়েছে, তাই তার থেকে বেশী টাকা দিলে দলীয়ভাবে কোন বাধা দেওয়া হবে না। এই হল আমাদের স্বাধীনতা, গুষ্টিমারি আমি এই স্বাধীনতার..... এই স্বাধীনতার জন্য নিশ্চয় আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা ১৯৭১ এ যুদ্ধ করেনি...!!
১৯৭১ পূর্ববর্তী পাকিস্থানী শোষন, পরাধীনতা আমি দেখিনি কিন্তু বর্তমান সরকার দলীয় শোষন, পরাধীনতা আমি দেখছি..... ক্ষমতার পালাবদল হয়, কিন্তু শোষন, পরাধীনতা থেকে যায়.... গরীব কৃষক, সাধারণ পাবলিক চিরজীবন শোষিত ই থেকে যাবে..... হায়রে স্বাধীনতা.... হায়রে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি.....
*** শুধুমাত্র তরিকুল নামটি রুপক, বাকী ঘটনা জীবন থেকে নেয়া