খবরটার শিরনাম "একটি স্কুল ড্রেসের জন্য"।
নির্যাস সংবাদ হল ১৩ বছর বয়সী একজন স্কুল শিশু হাসান, যার বাবা মারা গেছে বিনা চিকিৎসায়। সে দৌলতদিয়া ঘাটে বড়লোকের গাড়ী মুছে দেয় বিনিময়ে ৫/১০ টাকা পায়। স্কুল ড্রেসের অভাবে সে স্কুলে যেতে পারছেনা তাই কাজ করে টাকা জমাচ্ছে।
এ পর্যন্ত খবরটা ঠিক আছে, আমরা অভস্ত এমন খবর শুনে। কিন্তু নিজেকে আর ঠিক রাখা যায় না যখন পড়লাম সে লেখাপড়া শিখে সরকারী চাকরি করতে চায় !!
গরীবের ছেলে আবার সরকারী চাকরী ! আমি থাকলে বলতাম “বেটা, তোর চাকরি করবার দরকার নেই তারচে তুই কোন শ্রমিক হোস, তোর সাথে তোর দরিদ্র পরিবারের অন্তত কষ্টে বুক ভাংবেনা যখন শুধু ঘুষ না দিতে পারার জন্য তোর চাকরি হবে না।তুই যখন তোর বস্তির মধ্যে লেখাপড়া শিখে না পাবি চাকরি না পারবি শ্রমিকের কাজ করতে তখন যে কষ্ট, তার চেয়ে অনেক ভাল তোর ওপথে পা না বাড়ানো।
তুই এখনও শিশু, তোর মনে এখন হয়তো আছে লেখাপড়া শিখে চাকরি করে তুই তোর মায়ের মুখে হাসি ফোটাবি কিন্তু এটা যে অসম্ভব বেটা !! ঘুষ ছাড়া শুধু মেধায় যে চাকরি হয় না তা আমি তোর ঐ শিশু মনে কিভাবে জানাই বল ?
আমরা তোকে লেখাপড়া শিখে মানুষের মত মানুষ হবার কোন সুযোগ রাখিনি। ক্ষমা করিস আমাদের!!
এর পরও যদি লেখাপড়া শিখে চাকরি পেতে চাস তাহলে বলি রাজনীতি কর !! কপালজোরে যদি বেচে থাকিস চাকরি পাবি রাজনীতির জোরে, তোর মেধার জোরে নয়..........
মুল খবর