somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শ্যামল কান্তি মুখ ঢাকবেননা প্লিজ

০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সকাল ১০:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শ্যামল কান্তি, আপনার অসহায় ছবিটিই এখন বাংলাদেশের
শাশ্বত মুখ।যতদিন যতবার আমরা এই বিশেষ ছবিটির দিকে
তাকাব বিবর্ণ ক্যানভাসের অন্তরালে দেখতে পাব শ্যামল কান্তির
অবয়ব নিয়ে আমরা সবাই দাঁড়িয়ে আছি কান ধরে আর
আমাদের চারপাশে চলছে দুর্বৃত্তের আদিম উল্লাস, এবং
সে উল্লাসে যখন ধর্ষিতা হয় একাত্তরে আমাদের নাড়ির
ভেতর স্পন্দিত ধ্বণি ‘জয়বাংলা’ তখন লজ্জায় মুখ ঢাকে
একাত্তরের রক্তভেজা স্বপ্ন স্বাধীনতার সকল প্রাপ্তি ষ্টেনগান কাধে
দৃপ্তপায়ে হেঁটে যাওয়া মৃত্যুঞ্জয়ী মুক্তিসেনা আমাদের অযুত
নিযুত স্বপ্নের বাংলাদেশ।শ্যামল কান্তি; আমরা এখন এক
ভুতুড়ে শহরের অধিবাসী।আমাদের ঘাড়ের উপর প্রতি মুহুর্তে
ড্রাকুলার তপ্ত নিঃশ্বাস ভয়ে আতংকে ঠানঠান শিরদাঁড়া
আমরা এতটাই নিবীর্য এখন নিজেদেরকে মানুষ ভাবার সাহসটুকু
ও আমাদের নেই পাছে মাথাটা স্থানচ্যুৎ হয়ে খসে পড়ে রাস্তায়।
আমাদের খুলির ভেতর মগজ আছে একথাও আমরা প্রকাশ
করতে ভয় পাই কেননা তা নিমিষে ছিটকে পড়তে পারে বিছানা
বালিশে চামড়া চ্যালা রাস্তার উন্মুক্ত ইটের কোয়ায় প্রকাশকের
বইয়ের তাকে।আমাদের সমস্ত শরীর এখন একিলিসের গোড়ালির
মতো অরক্ষিত দুর্বল হয়ে গেছে। রোদ কোথায় ? আমাদের
গেলাস ভর্তি স্বপ্নের রোদ এক লহমায় গিলে ফেলেছে পুনরুত্থিত
মধ্যযুগ। অদ্ভুত আঁধার এখন ধাপিয়ে বেড়ায় রাজপথ।জয়বাংলা
আর আল্লাহু আকবারের যুগলবন্দীতে বেজে চলে অভূতপূর্ব সহিংস
সংগীত।নেপথ্যে খেলে যান কুশলী কালোয়াত; আমাদের বাস্তুভিটা
থেকে উড়ে যায় ঘর,আমাদের ধড় থেকে ছিটকে পড়ে মাথা,
আমাদের মাথা থেকে ঝরে পড়ে হলুদ মগজ। এক অদ্ভুত সময়
এখন এনাকুন্ডার আলিংগনের মতো ঘিরে ফেলছে চারপাশ।
শ্যামল কান্তি; তবুও জানবেন অন্ধকারই শেষ কথা নয়;
সাগর বেলার একটি বালুকণার ভেতর যে অনূ পরিমান জ্যোতি
লোকিয়ে থাকে তা ই একদিন দেখবেন বড় হতে হতে আমাদের
গ্রহের সমান হয়ে গেছে। দেখবেন আপনার দুই হাত লম্বা হতে হতে
অবলীলায় আমাদের বুকের ভেতর ঢুকে যাচ্ছে ; আপনার দুই কান
আমাদের হৃদপিন্ড হয়ে যাচ্ছে। দেখবেন কান নয়, আপনি খামছে
ধরেছেন আমাদের ঘুমিয়ে থাকা হৃদপিন্ডটাকেই।আপনার স্পর্শেই জেগে
উঠছে আমাদের স্পন্দনহীন ধমনীগুলি।বলখে বলখে প্রতিটি কোষে
কোষে শিরায় শিরায় ছড়িয়ে পড়ছে উষ্ণ রক্তের স্রোত।দেখবেন
আমাদের মরা গাঙ্গে আবার
একাত্তরের বান ডেকে যাচ্ছে, শ্যামল কান্তি।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সকাল ১০:০৭
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×