এটা আমি একটি পোষ্টে মন্তব্য আকারে লিখেছিলাম পড়ে মনে হলো সবার সাথে শেয়ার করা যায়।
তখন আমরা সব মাত্র এইচ এস সি শেষ করে ঢাকায় এসেছি কোচিং করতে। আমরা বিশ্ব প্রেমিক বন্ধুটি এখানে এসেও আমরা যে মেসটায় থাকতাম তার পাশের বাসার একটি মেয়ের প্রেমে পড়ে গেলো। কয়েকদিন ঘোড়া ঘুড়ি পর কিছু হয় না দেখে আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম মেয়েটিকে চিঠি লিখে প্রেম নিবেদন করতে হবে। এরপর চিঠি লেখার পালা শেষে হলে আমার বন্ধু মহা আনন্দে সেটা নিয়ে মেয়েটিকে স্কুল/কলেজ থেকে ফেরার পথে চিঠিটি দিয়ে এসে খুশিতে আটখানা। ঘটনাটি ঘটল এরপর। ও যে শার্টটি পড়ে চিঠি দিয়েছিল কিছুক্ষণ পর সেই শার্টটি পড়েই আমার আরেক বন্ধু বাইরে গেলে সিগারেট কিনতে। এবং ফিরে আসল মুখ চোখ অসম্ভব রকম ফুলিয়ে। কারণ জানতে চাইলে ও বলল কিছুই বুঝলাম না। আমি দোকানের সামনে যাওয়ার সাথে সাথে কয়েকটা ছেলে আমাকে ধরে এরকম মারলো। এখানে ঘটনার নায়ক ছিল শার্টটি। মেয়েটির ভাই ছিল উঠতি মাস্তান। মেয়েটি ভাইকে গিয়ে বলেছে এরমক কালারের শার্ট পড়ে একটি ছেলে ঐ বাসার সামনে আমাকে চিঠি দিয়েছে। মেয়েটির ভাই আমার প্রথম বন্ধুটিকে খুজতে বেড়িয়ে দ্বিতীয় বন্ধুটিকে ঐ কালারের শার্ট পরা অবস্থায় দেখে প্রথম বন্ধু মনে করে মেরে মুখে চোখ ফুলিয়ে দিয়েছে। আর প্রকৃত আসামী তখন বাসায় ঘুমায়। এরপর আমরা ভয়ে ঐ মেস ছেড়ে দিয়েছিলাম।
এটা আমির চাকুরিকালীন সময়ের ঘটনা। আমি যে অফিসটায় কাজ করতাম তার ঠিক পাশের অফিসেই এক মধ্য বয়স্ক ভদ্র লোক ছিল। যিনি মাঝে মধ্যে আমাদের অফিসে এসে আমাদের সাথে গল্প করত। একদিন উনি নিজের সেন্ডেল দিয়ে নিজের মাথা পেঠাতে পেঠাতে আমার অফিসে ঢুকছেন আর বার বার বলছেন "তুই আমার মেয়েটাকে নিয়ে যেতি"। আমরা কলিকরা সবাই মিলে উনাকে বসিয়ে কারন জিজ্ঞেস করাতে উনি বলল, সালার ভাগিনা আমার বউকে নিয়ে পালিয়েছে।
এক ছেলে একটি চাকুরির ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছে। প্রথম তাকে জিজ্ঞেস করা হলো,
- আচ্ছা বুলন তো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ব হয়েছিলো কখন
- প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের পরে
আবার জিজ্ঞেস করা হলো। তাহলে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ হয়েছিল কখন
-কেন দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের আগে।
প্রশ্ন কর্তা কিছুটা রেগে আবার জিজ্ঞেস করল। এবার বলুন সূর্যের আলো আছে, চন্দ্রের আলো নেই কেন।
প্রশ্নকর্তার মাথায় পুড়োটাই টাক। ছেলেটা সেই দিকে তাকিয়ে উত্তর দিলো দেখুন সবার তো সব কিছু থাকে না। এই যেমন আপনার চুল নেই আমার আছে।
এটা কামেডিয়াল কাজলের কাছ থেকে শুনা
এক ভদ্রলোক টাউন সার্ভিসে উঠার আগে তিনটি কলা কিনেছে খাবে বলে। গাড়ি তাড়াতাড়ি চলে আসার উনি কলা তিনটি তিন পকেটে ঠুকিয়ে প্রচন্ড ভিড়ের মধ্যেও গাড়িতে উঠে পড়ল। গাড়ি কিছুক্ষণ চলার পর উনি সামনের দুই পকেটে হাত দিয়ে দেখল কলা দুটি নেই। এবার পিছনের পকেটে হাত দিয়ে এই কলাটা আছে বলে শক্ত করে হাত দিয়ে ধরে লাগল হারিয়ে যাতে না যায়। গাড়ি কিছুক্ষণ পর একটি ষ্টেশনে আসায় পিছনের এক ভদ্রলোক উনাকে বলল
ভাই অনেকক্ষনতো ধরে ছিলেন। আমার হয়ে গেছে এবার ছাড়ুন আমি নামব।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:৪৬